রবীন্দ্রনাথের শেষপর্যায়ের কাব্য | Rabindranather Sheshparjayer Kabya

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
অবতরণিকা--দ্বিতীয় পর্ধায় ১৩ পলায়ন করে জীবনকে ভোগ করতে চান নি, কিংবা! কল্পলোকের উচ্চসৌধে বাস করতে রাজী নয়-_জীবনকে তার সামগ্রিক সত্য rw’ স্বীকার করতে চান | তাই এই জীবনশিল্পীর সাধনা হোল-_-সীমিত এই খণ্ডজীবনের মধ্যে সৌন্দর্যের, প্রেমের, সত্যের আদর্শলোককে প্রতিষ্ঠা করার। তুচ্ছ এই মানবজঙন্মের মধ্যে অপূর্ণতা apt; কিন্তু এই অপূর্ণতাকে মূল্য দেওয়াই আমাদের একমাত্র কাজ নয়। যে সৌন্দর্য প্রেম AS আমাদের কল্পনায় আদরশলোকের সামগ্রী--সেই 'সুন্দর'কে যদি ক্ষণস্থায়ী এই মানবজন্মে সার্থক করে তোলা যায় তবেই 'অসীম'কে 'সীমা”র বীধনে Ae সম্ভব। এই পূর্ণতার সাধনাই মানবসভ্যতার তথা মহামানবের সাধনা। এর থেকেই কবিমনে জাগ্রত হয়ে ওঠে মানবপ্রেম, স্বদেশপ্রেম এবং মানবজীবনের বিভিন্ন আশা-নিরাশ৷ কর্ম-চেষ্ট চিনস্ত-ভাবনার Fz ৷ কৰি পরবর্তা যুগে (“কথা ও কাহিনী”, “কল্পনা”, “নৈবেছা' প্রভৃতি ) মানবইতিহাসের সাধনসত্যটিকে GVA করার চেষ্ট করেছেন । অতীত তারতের সাহিত্য-শিল্প-সংস্কৃতির ইতিহাস থেকে মানবতার একটি পরিপূর্ণ চিত্রের were করেছেন। মানবের এই কর্মসাধনা৷ কবির কাছে বিশেষ তাৎপর্যমণ্ডিত। এই জীবনসাধনাকে দেশকালের অবিচ্ছিন্ন ধারার সঙ্গে যোগযুক্ত করে দেখার চেষ্টায় বলিষ্টতর। এক্ষেত্রে মহধির শিক্ষা এবং উপমনিষদের বিশেষ জীবনদর্শন তার উপর গভীর প্রভাব বিস্তার করেছে। মধ্যযুগের “খেয়া, গীতাঞ্জলি”, গীতিমাল্য', গীতালি' প্রভৃতি কাব্যের মধ্যে পূর্ববর্তা যুগের এই সমস্ত ভাবধারাই অনেক বেশি বলিষ্ঠ স্থদঢ় উপলব্ধিতে প্রকাশিত। কৰবিমন প্রচলিত ঈশ্বরবিশ্বাস a ধর্মবোধকে . স্বীকার করেনি, মানবকে ভালবাসাই জীবনের শেষ্ট ধর্ম বলে মনে করেছে | তাই wat, মঙ্গলচিস্ত৷ এবং সত্যপ্রতিষ্টা তার নিকট জীবনের শ্রেয় ধর্ম। এ সম্পর্কে কবির নিজস্ব মতামত এইরূপ-_ “আমার ঠাকুৰ মন্দিরেও নয়, প্রতিমাতেও নয়, বৈকুণ্ঠেও নয়,-__আমার ঠাকুর মানুষের মধ্যে--সেখানে ক্ষুধা তৃষ্ণা সত্য, পিত্তিও পড়ে, ঘুমেরও দরকার আছে.* -.. দেশের লোকের শিক্ষার জন্যে, Wear জন্যে, আরোগো্যের aca এরা কিছু দিতে জানে al, অথচ নিজের অর্থসামর্থ্য সময় প্রীতি ভক্তি সমস্ত fre সেই বেদীমুলে যেখানে তা নিরর্থক হয়ে যাচ্চে। মানুষের প্রতি মানুষের এত নিরৌতস্থক্য,. এত ওুঁদাসীন্য অন্য কোন দেশেই নেই ।”১ তার কর্মের--চিন্তার সমস্ত ধারাই যে এসে ঠেকেছে মানবের মধ্যে, তার প্রধান কারণ. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর--"চিঠিপত্র”, ৯ম খণ-_প্রীমতী হেমস্তবাল৷ দেবীকে fares | (সংসবিশ্বভারতী--১৯৬৪ ) পত্র সং-১৯, ১৪ জুন ১৯৩১। পৃঃ ৪২-৪৩-৪৪.



Leave a Comment