ঐতিহ্য ও ইতিহাসের পথে ত্রিপুরা [খণ্ড-১] | Aitijya Itihaser Pote Tripura [Vol. 1]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
মহারাজা বীরচন্দ্র ? জাত-পাত আন্দোলন ও উনবিংশ শতাব্দীর বাংলা প্রহসন । উনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে বা বিংশ শতাব্দীর প্রারনম্তে ভারতবর্ষে জাতিভেদ প্রথা দেখা দেয়। এ সম্পর্কে ১৩০৮ বঙ্গাব্দের ৩রা শ্রীবণ “রূপ ও রঙ ” পত্রিকা লিখেছিল জাতিভেদ ভারবর্ষের মাটির গুণ, ভারতবাসীর শোনিত সম্পর্ক। ভারতবর্ষে জাতিভেদ উঠাবার চেষ্টা ব্যর্থ চেষ্টা মাত্র ।” এই জাতিভেদ APN থেকে আরম্ভ করে সমাজের প্রতিটি স্তর ছুঁয়ে ছুঁয়ে চামার, ডোম প্রভৃতি জাতের মধ্যেও অনুপ্রবেশ করে। তাই এক সম্প্রদায় অন্য সম্প্রদায়ের ঘরে GAG] গ্রহণ করে না | এমন কি বৈবাহিক সম্বন্ধও অচল। এবং এই জাতিভেদ প্রথার সবচেয়ে মারাত্মক দিকটা ছিল — - একে অন্যের জল স্পর্শ করত না, করলে তার স্ব-সমাজে তাকে একঘরে করা হত | ধোপা - নাপিত তার কাজ করত না । এবং পুনরায় প্রায়শ্চিত না করে সমাজে ফিরে আসতে পারত না । এই যে জাতপাতের আন্দেলন তা থেকে ত্রিপুরা রাজবংশও বাদ পড়েনি। মহারাজা বীরচন্দ্র মাণিক্যেব বাজত্বনকাল। সে সময় অবিভক্ত বাংলায বিভিন্ন অঞ্চলেব পন্ডিতগণ AAAs রাজবংশকে রাজবংশী বলে অভিহিত করতেন | অপরদিকে ত্রিপুরার রাজবংশ নিজেদের ক্ষত্রিয় বলে দাবী করতেন। এবং তাঁরা বলতেন তাঁরা চন্দ্রবংশ জাত । কিন্তু সেদিন অবিভক্ত বাংলার পন্ডিত সমাজের একটা বৃহৎ অংশ তাদেরকে WHAT বলে স্বীকার করতেন না | কিন্তু অপরদিকে কিছু সংখ্যক ব্রাহ্মণ অর্থলোভে রাজ পরিবাবে অন্লগ্রহণ করে তাঁদেব চন্দ্রবংশীয় বলে স্বীকৃতি দান করেছিলেন। সুতবাং পক্ষে - বিপক্ষে দু'পক্ষ থাকায সেদিন আন্দোলনটা খুব জোবদার হয়েছিল। সেদিনেব সে আন্দোলন সম্পর্কে রাজবিহারী দাস প্রণীত “ জীবন-কাহিনী'র প্রথম ভাগে ১৮২ পৃষ্ঠা থেকে কিছু উদ্ধৃতি তুলে দিলাম - “১৮৮২ খৃঃ অন্দে , মহারাজা বীরচন্দ্র দেব বর্দ্মন মাণিকা বাহাদুর কতিপয় স্বার্থপর কুচক্রি Thea কুপরামর্শে পর্ব্বতবাসী সমগ্র টিপরাজাতিকে ক্ষত্রিয় বংশোদ্ভূত বলিয়া প্রচার করেন এবং রাজপরিবারের লোক বলিয়া তাহাদের সংস্পৃষ্ট জল সকলকে পান কবিতে দেন | তদনুসারে কতকগুলি অর্থগৃধু পন্ডিত পূঙ্গব ও চাকুরী প্রার্থী উমেদার, ত্রিপুরাজাতির সংস্পর্শ জলসহ কিঞ্চিৎ মিষ্টান্ন ভোজন করেন। ইহা লইয়া ত্রিপুরা, ঢাকা, বরিশাল, ফরিদপুর, ময়মনসিংহ, নোয়াখালি, চট্টগ্রাম ও শ্রীহট্রবাসী হিন্দুগণের মধ্যে দাবানল প্রায় ত্রিপুর জাতির জাতি ঘটিত এক ঘোরতর সামাজিক গোলযোগ উপস্থিত হয় এবং ভীষণ সমাজ - যুদ্ধে মহারাজা বাহাদুর বিশেষরূপে লাঞ্ছিত ও পারজিত হয়েন। তাহাব কর্মচারী ও SHAY ATF GAY SA ত্রিপুরা হইতে পলায়ন করে। এই জলাচরণ ব্যাপার উপলক্ষে অপবিমিত অর্থ ব্যয়িত হওয়ায়, খণজালে রাজ-সংসার ডুবুড়ুবু হইয়া উঠে ।” এই আন্দোলনকে কেন্দ্র কবে সেদিন ত্রিপুরা রাজ্যে যে কযটি প্রহসন লিখিত হয়েছিল - তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য 'জলযোগ' পপ্রহারেণধনঞ্জয়” “ত্রিপুরা শৈল” ও “ গোবর্ধন” । * জলযোগ' প্রহসনটির লেখক ছিলেন ঈশানচন্দ্র SA | ১৮৮২ খৃষ্টাব্দে ঢাকা থেকে অভয়াচবণ দাস ইহা প্রকাশিত করেন। জলযোগেব ঙ৬



Leave a Comment