শতাব্দীর ত্রিপুরা | Satabdir Tripura

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
আমাদের সম্মুথেই নাটমন্দির ; বেশ বড় একখানা আটচাল! ঘর চারিদিকে খোলা। ঘর পাতা, ফুল, aie ইত্যাদি দ্বারা বেশ সাজান, চারদিকের বারান্দাটি বাদ দিয়া ভিতারের স্থানটি দুইটি বৃহৎ চত্রাকারে সঙ্জ্তিত. একটি বড় চক্রের মাধ্য আর একটি bar ৷ ory স্তম্ভগুলির মাথার দিকে অল্প প্রশস্ত লাল কাপড় দ্বারা চারিদিক বেষ্টিত | ভিতরের চক্রের মধ্যস্থলে কাগজও কাপড় দ্বারা সাজান। একটি উচ্চ কাষ্ঠাসন, তাহাতে শ্রীরাধাকে বামে লইয়া শ্রীকৃষ্ণ দাড়াইবেন। এই sry মঞ্চটি চারিদিকে ঘুরান যায়। এই চক্রদুইটির উপরিভাগ উপর হইতে ঝুলান পাতা দ্বারা সুশোভিত, ভিতরে দাঁড়াইলে মাথার উপরে কেবল পাতা দেখা WY | বনভ্রম জন্মাইবার জনাই এই সকল পাতা-লতার আযোক্তন। ইহাতে স্থানটি সুদৃশ্য হইয়াছে এবং কতক পরিমানে আরণাশাভার বিভ্রম উৎপাদনে সমর্থ হইয়'ছে। আমরা যাইয়া দেখিলাম তখন ঠিক রাসলীলা আরম্ভ হয় নাই। একদল কৃষ্ণকায় লোক চক্রের মধ্যে খোলকরতালযোগে Sa করিতেছে। শুনিলাম তাহারা নিম্নশ্রেণীর মনিপুরী এবং কীর্তন করা উহাদের ব্যবসা। তাহাদের মধ্যে বঙ্গদেশের কায়স্থদের ন্যায়. দে. দাস, দন্ত, সেন ইত্যাদি উপাধি আছে। তাহাদের রঙ কাল, নাসিকা ইত্যাদি বাঙ্গালীদের ন্যায় | বেশ নাচিয়া নাচিয়া কীর্তন করিতেছিল, বাঙ্গালীদের কীর্্তনের নাচের ন্যায় স্বেচ্ছানুরূপ লম্ফপ্রদান নয় এবং গানও উচ্চস্বরে নয়। সকলেই এক সুন্দর ভঙ্গীতে নাচিতেছিল , অল্প কয়েকজনের হাতে খোল, আর সকলের হাতেই করতাল। আমরা একটু দূরে বসিয়াছিলাম, চতুর্দিকে গোলমাল হইতেছিল, এবং বাঙ্গলা গানের পদ কিছুতেই বুঝিতে পারিলাম না। এই Salo রাসের মঙ্গলাচরণ। ইতিমধ্যে একটি পুরোহিত যুবক ঠাকুরঘরের ভিতর হইতে এক বার শ্রীকৃষ্ণ এবং দ্বিতীয়বারে শ্রীরাধার চন্দন কাষ্টময় মুর্তি দুইটি কোলে করিয়া লইয়া সেই ঘূর্ণমান চত্রাকার মঞ্চে দীড় করাইয়া রাখিল। শ্রীরাধিকাকে গোপীদের মধ্যে একজন সঙ্গে করিয়া রাসচক্লে লইয়া যাওয়ার নিয়ম, কিন্তু অদ্যকার astra মধ্য ব্রাহ্মণবংশীয় কেহ না থাকায় পুরোহিতঠাকুরই লইয়া গেলেন। আবার শুনিলাম দারুময় রাধাকৃষ্ণের পবিবার্তে অনেক সময় বালক বালিকাদের মধ্যে কেহ কেহ রাধাকৃষ্ণের বেশ গ্রহণ AE | ইহার পরেই একটি সুমধুর বংশীধ্বনি হইল | বংশীধ্বনি শেষ হইতে না হইতেই ঠাকুরঘরের বারান্দায় এক পংক্তির পশ্চাৎ আর এক refs, এই প্রকার দুইন্তন করিয়া ১১টি পংক্তি সুসজঙ্জিতা বালিকা রাসমগুপের দিকে মুখ করিয়া রাধাকৃষ্ঞের দিকে দ্থিরদৃষ্টি করিয়া ধীরে ধীরে আসিয়া দীড়াইল। উচ্চতা অনুসারে তাহাদের শ্রেণীগঠন করা হইয়াছে, দেখিতে বড় সুন্দর, বড় হইতে ক্রমে ক্রমে ছোট। ১ম পংক্তিতে বোধ হয় ১২/১৩ বৎসরের বালিকাদ্বয়, HVT কম হইতে শেষ পংক্তিতে বোধ হইল ৫/৬ বৎসরের দুইটি, অথবা তাহা অপেক্ষাও কিছু কম। বালিকাদের অঙ্গাবরণও বড় মনোহর--_পাযাকটি যেন মাড়োয়ারদের ব্রজমায়ীদের এবং মনিপুরীদের পোষাকের মিশ্রণ 1 নাচে একট ঘাগরার ডপরে MSP AWG GH আঢা আর একটি ঘাগরা অথবা পেশোয়াজ্ঞ, উভয়ই Als (সকলেরই যে এক রঙ তাহা নহে) গায়ে একটি হাতকাটা কাঁচগুলির মত তাহাঁর উপরে বক্ষস্থল হইতে কোমর পর্যন্ত খুব শক্ত করিয়া কয়েক MAS সাদা কাপড় জড়ান, কানে কাহারও কৃত্রিম HAAG স্বভাবের ফুল দুলিতেছে, মাথার উপরে pura মত করিয়া খোঁপা aa, তাহা হইতে পুষ্পগুচ্ছ সকল্‌ ঝুলিতোছে, এবং মাথার উপর দিয়া অবগুষ্ঠনরূ'প একটু করা সাদা নেটের কাপড় মস্তক ও মুখ ঢাকিয়া পড়িষ্মা রহিয়াছে। এই আবরণ্টুকুতে একটি মানবাতীত SS আনিয়া দেয়, মনে হয় যাহারা নৃত্য করিতেছে তাহারা স্বামাদের মত কেহ TH, অন্য NEA স্তীব, আমরা হেন ইন্দ্রজাল দেখিতেছি। Ga 4 ছিদ্রময় অবগুষ্ঠন থাকাতে অপেক্ষাকৃত SHANA দুঃখের লাঘব হয়, কারণ রাত্রিতে দীপালোকে 4 কাপড় ফুটিয়া যে গৌরবর্ণের আভা বাহির হয় তাহাতে সকলকেই সুরূপা বলিয়া বোধ হয়, মুখাবয়াবের তারতম্য কিছু লক্ষিত হয় না। হাতে সকলের একরুপ ১৮৪



Leave a Comment