দেশে দশ | Dashe Dash

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
রবি জিজ্ঞেস করল, আপনার বাড়ির নাস্তায় নিশ্চয়ই কিছু মাংস থাকে ? ওসমান বললেন, হিন্দু বাড়িতে কিন্তু সকালে মাংস খাওয়া হয় না। বড় জোর ডিম। তা-ও কোলেস্টেরলের ভয়ে অনেকে ডিমও বাদ দেয়। অতনু বলল, হিন্দুরা তো ভাল করে মাংস রান্না করতেই জানে না। মুসলমানরা আবার মাছটা তেমন ভাল পারে না। হিন্দুরা জানে না মাংসে ঠিক কী-ভাবে মশলা মেশাতে হয়, আর মুসলমানরা জানে না মাছ ভাজার আর্ট। ওসমান সাহেব বললেন, দুপুরে তাড়াতাড়ি ফিরুন, আজ চিতল মাছের পেটি nears | দেখবেন, আমার স্ত্রী কেমন মাছ রান্না করেন। কচুরি-জিলিপি যদি খেতে চান, তাহলে ইস্কুল-মোড়ে চলে যান, ওখানে একটা দোকানে ও-সব ভাল পাওয়া যায়। রাস্তায় এসে ওরা একটা সাইকেলরিকশা থামাল। উঠে বসার পর অতনু কিছু বলার আগেই রবি বলল, বেদাস্ত আশ্রমে আমাদের নিয়ে চলো তো ভাই, যেটা নতুন হয়েছে। অতনু বলল, আগে জিলিপি-টিলিপি খাব না? খাওয়ার চিত্তা আর কামের চিন্তা, এর মধ্যে কোনটা বেশি জোরালো? যাঃ, তুই কী-সব কাম-টামের কথা বলছিস? আমি মোটেই সে-রকম কিছু ভাবিনি। মেয়েটিকে আর একবার দেখার ইচ্ছে হয়েছে ঠিকই | দেখার ইচ্ছেটাও এক ধরনের কাম তো বটেই । হিন্দিতে সব কাজকেই বলে কাম। বাঙালরাও বলে। ঠিকই বলে। সব কাজের মূলেই তো কাম। দেরি করে গেলে আশ্রমে ভিড় হয়ে যাবে। সকাল সকাল যাওয়াই ভাল। খাওয়া-টাওয়া পরে হবে। একটুখানি যাবার পর অতনু বলল, কাল রাত্তিরে ওসমান সাহেব কত কী ব্যবস্থা করেছিলেন। তিন-চার রকমের কাবাব, আমি বোতল এনেছি, তবু নিজের ড্রিঙ্কস খাওয়ালেন জোর করে। বাড়িটা কেনার সময় কী দরাদরিই না করতে হয়েছে। এখন আমাদের জন্য দু'হাতে পয়সা খরচ করছেন। নিজের গাড়িতে জঙ্গলে বেড়াতে নিয়ে যাবেন বললেন। ব্যবসা আর আতিথেয়তা, দুটো আলাদা ব্যাপার। আতিথেয়তায় এঁরা সব সময় ওয়ান আপ। আমরা বাড়িটা শেষ পর্যন্ত যে-দামে' পেয়েছি, তা ABA বলতে হবে। তুই অন্য দু'একটা বাড়ি দরদাম করে দেখেছিস এর মধ্যে? Tt | এটা ডেফিনেটলি ABT | তার একটা কারণ ভূতের বাড়ির বদনাম | এক বছর ও-বাড়ি ভাড়াই হয়নি। দ্বিতীয় কারণ, উনি একটা ফলের বাগান কিনবেন, তার জন্য ক্যাশ HAMS | এখন BOTA খুব লাভজনক। আসানসোলে একটা ফুড প্রসেসিং সেন্টার হচ্ছে। আমরা ভূতের বাড়ির গুজবটা চেপে না গিয়ে বরং পাবলিসিটি দেব। কলকাতার অনেকে ভূত দেখার জন্যই আসবে | এমনকী দু'একটা গ্যাজেট লাগিয়ে অলৌকিক শব্দ-টন্দের ব্যবস্থা করলে মন্দ Ba aT | এখানে বাড়ি কিনে গেস্টহাউস বানাবার আইডিয়াটা তোর না চন্দনার? চন্দনারই বলতে পারিস। গত বছর বেড়াতে এসেছিলাম, কেউ এক জন AERTS করেছিল, জায়গাটা চন্দনার খুব পছন্দ হয়ে গেল। চন্দনাই প্রথম বলল, এখানে একটা বাড়ি ফরলে হয় না? আমরা মাঝে মাঝে এখানে এসে থাকব | তখন আমি বললাম, নিজেদের জন্য বাড়ি কেনার কোনও মানে হয় না। কত দিনই-বা থাকব। তার চেয়ে কোম্পানির জন্য একটা গেস্টহাউস বানানোই ভাল। ভাড়া দিয়ে ক্যাপিটালটা উঠে আসবে, ইচ্ছে করলে, আমরাও এখানে এসে থাকবে পারব। একটি নারীর পুনর্জন্ম ১৬



Leave a Comment