For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand) ্েরপর শ্রদ্ধার সঙ্গে আমার মেলামেশার আর কোনো বাধা রইল না। আমি তখন ইন্টার মিডিয়েট পাশ করে বাংলায় অনার্স নিয়ে বি. এ পড়ছি। কলেজের
সোসাল ফাংশানে যথারীতি অংশ গ্রহণ করছি এবং আমার লেখা দু একটি নাটক অভিনয়ও
হচ্ছে। বাড়ি থেকেই তখন ডেলি প্যাসেঞ্জারি করছি। কারণ শ্রমিকপক্ষ মানে যারা একের পর
এক অক্ষর গেঁথে গেঁথে বইয়ের পাতা তৈরি করে এবং যারা কালির রোলারের মেসিনে
সেগুলি ছেপে প্রকাশ করে, তাদের পক্ষ সমর্থন করায় প্রেসের কাজ ছাড়লাম। কোলকাতায়
যাই কয়েকটি টিউশানী করতে | যখন ফিরি তখন মাঝে মাঝে শ্রদ্ধার সঙ্গে দেখা হয়ে AT | সে তখন প্রতিদিন তার বাড়ির পাশের দুটি মেয়ের সঙ্গে বিকেলে বেড়াতে বের হত।
সীমানা অবশ্য খুব বেশি AT | পাড়ার এ মাথা থেকে ও মাথা ও স্টেশানের প্লাটফর্ম আমায় দেখতে পেয়েই সে ইচ্ছে করে ওদের থেকে পেছিয়ে পড়ত। একদিন চুলে শ্যাম্পু করেছি, রুক্ষ, GR চুল। কোলকাতা থেকে এ অবস্থায় ফিরছি। ও
অনেক দূর থেকে আমায় দেখে ওদের থেকে পেছিয়ে পড়ল। আমি কাছে আসতেই মৃদু
স্বরে জিজ্ঞেস করল —- তোমার কি হয়েছে? -— কিছুই না -- কিছুনা তো চেহারার এ হাল কেন? --আমি আবার মোটা ছিলাম কবে যে, আজ মোটা হব? -_ বুঝলাম, আমার রুক্ষ চুল দেখে ও এই কথা বলছে। ওর কণ্ঠের এই CAMA স্বর
আমাকে অনাস্বাদিত জগতে নিয়ে গেল। কেউ যে আমার কথা চিন্তা করে, আমার অসুস্থতার
খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করে এটা ভাবায় যে কি আনন্দ তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় A | কোনো
তরুণী যদি কোনো তরুণের জন্য এরূপ উদ্বেগ প্রকাশ করে, তবে তো কথাই নেই। OA
তার জন্য তো জীবনও দেওয়া যায়। তখন আমি প্রায় সময়ই ওকে একবার চোখের দেখা দেখতে চাইতাম। যেদিন স্টেশানে
বা পথে ঘাটে ওকে দেখতাম না, সেদিন আর রাতে ভালো করে ঘুম হোত না। এভাবে দু
তিন দিন কেটে যাবার পর ওকে খুঁজতে ওদের পাড়ায় যেতাম। এমনই একদিন ওদের বাড়ির সামনে দিয়ে যেতে গিয়ে দেখলাম ও ওদের বাড়ির বিপরীত
দিকের একটি মাটির দেওয়াল যুক্ত টালির চালের ছাউনির বাড়ির ভিতর ঢুকছে। কিছুক্ষণ পর এঁ পথ দিয়ে ফিরতে গিয়ে দেখি ও বসে রয়েছে এ বাড়ির একটি মাত্র
ছেলে যতীনের সঙ্গে | বাড়িতে যতীন ও তার বৃদ্ধা মা। যতীন বয়সে আমার চেয়ে AG | কাজ
করে একটি মিলে।