ভারতীয় ভক্তিসাহিত্য | Bharatiya Bhaktisahitya

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
ভারতবর্ষের ব্যবহারিক জীবনে ভক্তিধর্ম ও ভক্তিলাহিত্য আলোচনার সার্থকতা ও উপযোগিতা কী ইহাও একটি সঙ্গত প্রশ্ন ৷ ইহার উত্তর রহিয়াছে ভারতীয় সভ্যতার বৈশিষ্ট্য ও সার্থকতার মধ্যে । বিশাল ভারতবর্ষে বিভিন্নকালে এত সব বিভিন্ন জাতি আসিয়াছে যে ইহাদের লইয়৷ একটি ate জাতীয় সত্তা গড়িয় উঠা প্রায় অসম্ভব বলিলেই চলে । তথাপি আমরা দেখিতে পাই বছকাল হইতে এই দেশে একটি সমন্বয়ের সাধন চলিয়] আসিয়াছে | সিদ্ধিলাভ ছখটিয়াছে এমন কথা বলা যায় ন, কারণ সাধনা! এখনও চলিতেছে। ভারতীয় সাধনার সেই বহুমুখী ধারার বহু-বিচিত্র ইতিহাসের মধ্যেও একটি গভীর এক্যের সন্ধান পাওয়। যায়। ভৌগোলিক বিশালতা! সত্ত্বেও এবং ভাষ! ও আচার-আচরণের পার্থক্য থাকিলেও ভারতবর্ষ একটি দেশ, একটি জাতি। ভারতীয় চিত্তের সেই বিশেষ গুণটি প্রকাশ পাইয়াছে তাহার শিল্পে ও দর্শনে, ধর্মে ও সাহিত্যে । ভক্তিধর্ম ও ভক্তিসাহিত্যের আলোচনায় আমরা সেই ভাবগত Acasa সন্ধানে ফিরিয়াছি। এই প্রসঙ্গে একটি বিষয়ের উল্লেখ না করিয়া পারিলাম না। বর্তমানে ভারতবাসী পরস্পরের ভাষা ও সাহিত্যের দিক হইতে মুখ ফিরাইয়া রহিয়াছে বলিলে মিথ্য। বলা হয় না। arate সাহিত্যের চুল-চেরা বিশ্লেষণে আমাদের যতটা আগ্রহ প্রতিবেশী সাহিত্যের খোঁজখবর লইতে ততোধিক শৈথিল্য। ১৯৪৭-এর পরে গত যোলো বৎসরের মধ্যে এই দৃষ্টিভঙ্গীর পরিবর্তন হওয়া উচিত ছিল afar মনে করি। আজ জাতীয় সংহতির দাবি ও প্রয়োজন যেরূপ জোরদার হইয়। উঠিয়াছে তাহাতে অদূর ভবিষ্যতে এই অবস্থার--আমাদের এই মানসিক বিচ্ছিন্নতার--একটা উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটিবে না Sai ভাবিতেও কষ্ট zal আমাদের বিশ্বাস, কেবল পরষ্পরের ভাষাশিক্ষাই নয়, পরস্পরের সাহিত্য সম্পর্কে আগ্রহ, অধ্যয়ন ও গবেষণার ক্ষেত্রও দিনে দিনে প্রশস্ত হইবে | ভারতবর্ষের সহিত প্রথম পরিচয়ের পরে পাশ্চাত্য পণ্ডিতের [ এগার |



Leave a Comment