কখনো কোনো মানুষ | Kakhono Kono Manush

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
10 কখনো কোনো মাছষ 2 সকাল দশটার সময়ে TH] অফিসে চলে যেতেই তার মা কনক সদর দরজায় খিল দিয়ে বড় ঘরের খালি মেজের ওপর পড়ে পড়ে বিকেল চারটে পর্যন্ত কেবল চোখের জল ফেলে | গত এক সপ্তাহ ধরে এই-ই সে করে আসছে | বিকেল চারটের সময়ে গোয়াল! এসে দরজায় Sy) নাড়লে কনক উঠে চোখমুখ ধুয়ে আবার যুধ্প রান্নাঘরের কাজকর্ম শুরু করে, তখনো থেকে থেকে তার চোখের জলের বিরাম নেই | - এক সপ্তাহ আগে একদিন খুব WS হচ্ছিল-_ সেই যেদিন গঙ্গা অফিস থেকে বাড়ী ফিরতে অনেক দেরী করে ফেলেছিল । সেদিনকার মুষলধার বর্ষণে বিনা ছাতায় মেয়ে বোধকরি বাস স্টপেই দাড়িয়ে আছে ভেবে কনক ঘরে তাল লাগিয়ে ছাতি হাতে নিয়ে এক ঘণ্টারও বেশি বাসস্ট্যাণ্ডে মেয়ের অপেক্ষায় দাড়িয়েছিল.-. অবশেষে রাত আটটার পরে বৃষ্টি থেমে গেলে ti অফিসের আসার উল্টো দিক থেকে একটা বাস থেকে নেমে হাটতে ww করেছিল। কনক তার মেয়ের নাম ধরে ডাকার সাহস না| পেয়ে তাড়াতাড়ি করে রাস্তাটা পার হয়ে চুটেছিল। কিন্তু মেয়ের সঙ্গে পাল্লা দিতে না] পেরে শেষকালে বাড়ীর কাছাকাছি এসে গদ্গাকে ধরে ফেলল: বাড়ীর দরজায় Stl ঝুলছে দেখে মেয়ে হকচকিয়ে যায় এই Sry sas তাড়াতাড়ি ay উঠল-- “এই যে আমি এসে গেছি গঙ্গা । সন্ধ্যা থেকেই বৃষ্টি পড়ছে, ছাতাও নিয়ে যাস নি, ভাবলাম একবার ছুটে গিয়ে দেখে আসি মেয়েটা বাস স্ট্যাণ্ডে এসে পৌছেছে কি a fie | ছি! কী যা-তা WS! আলোও নেই MBIT TACT Oso] হোঁচট খেলাম'''বাস স্টপে দেখলাম তোকে**''আমি কি অভতাড়াতাড়ি ইাটতে পারি নাকি! খোঁড়াতে খোড়াতে ছুটে এলাম।” কথাগুলি যদিও মেয়ের উদ্দেশে বলা, fee a একবারও মেয়ের মুখের দিকে না তাকিয়ে যেন অন্য কাটকে বলছে এইভাবে দরজাটা খুলে ফেলল! গঙ্গার জন্য সে যে এত কট স্বীকার করেছে তার বলে মেয়ে কি একবারও তার দিকে হাসিমুখে ফিরে তাকাবে ন!-_ এই আশ। মিয়ে গঙ্গার মুখের দিকে তাকাতেই মা দেখতে পেল যে তার একট! কথাও যেন মেয়ের কানে পৌছচ্ছে না, যেন এইসব তুচ্ছ কথায় যনোযেোগ দেবার মতে! সময়ই তার casi গভীর চিস্তাজালে জড়িত বড়োরা যেমন নিশ্চিন্তে ক্রীড়ারত শিশ্তর দিকে তাকায়, গঙ্গাও তেমনি তার ঠোটের কোণে একটু few হাসি ফুটিয়ে এমনভাবে মায়ের দ্বিকে তাকাল যেন সে বিষম একটা অপরাধ করে ফেলেছে । মায়ের মুখে আর কথা নেই । “ate, পড়ে দেখো গিয়ে এটা...” এই সামান্য কথাটা অসামান্য ক্রোধে



Leave a Comment