দুই পৃথিবীর মাঝের দেশ | Dui Prithibir Majher Desh

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
যে যার শয্যাগ্রহণ করে কিন্তু কারে৷ চোখেই ঘুম আসে না। জানৃল৷ দিয়ে এক ফালি জ্যোগম্ন] এসে পড়ে ঘরে খাটের ওপর । সেই CONTRA মৌন অন্ধকার থেকে অনিক্ুদ্ধকে বহুক্ষণ লক্ষ্য করলো মলয়া। জেগে জেগে বিছানায় খানিক এপাশ ওপাশ ক'রে শেষে বিছানা ছেড়ে উঠে পড়লো অনিরুদ্ধ--বেরিয়ে গেলো বারান্দায়। টাদনী রাতের TAT Sees একটুও কমেনি | OT সুন্দরের নয়নপাতে ঘুম আসে না এই WHA রাতে। জীবন তুচ্ছ মনে হয় মলয়ার। মনে ex অকিঞ্চিংকর এই রোগশয্যার জীবন। তবু বেদনার গুচ্ছ বুকে নিয়েই সে শুয়ে থাকে চিন্তার চিতায়--তৃণহুচ্ছ, অসহায় নিঃস্ব, দেবার কিছুই নেই, ভিক্ষা নেওয়ার ভারেই বিপর্যস্ত, স্বামীর করুণার ভিখারী শুধু | মনের মর্মরে তার ব্যথার রক্তের কলঙ্ক--অনপনেয়। তার WHAT মনের রাজ্যে -বাসবী যেখানে যায় বিজয়িনীর মতো সে সেখানে যায় ভিক্ষাপাত্র হাতে। হাসি দিয়ে মন জয় করার বলিষ্ঠতা নেই ব'লে কি কান্নার জাদু দিয়ে মন ভোলাবার এই স্বৃণ্য প্রচেষ্টা ? নিয়ত করুণা উদ্রিক্ত ক'রে সে তার স্বামীর পাশের স্থানটি নিরাপদ ক'রে রেখেছে সত্য, কিন্তু তার এই প্রচেষ্টার গ্রানিতেই যে ভরে Vien জীবন ! তাদের দাম্পত্য-বন্ধন যে শিথিল নয় এটুকু মলয়] জানে এবং সেইসঙ্গে এও বোঝে যে তার প্রতি স্বামীর প্রেমের চেয়ে অনুকম্পাই বেশি। স্বামীকে নইলে তার চলে না এক মুহূর্তও। কেবল বেঁচে থাকতেই স্বামীর কাছ থেকে প্রত্যাশা করার অনেক কিছু আছে, অথচ বিনিময়ে দেবার মতো তার কিছুই নেই। নিজের এই অসহ CHD মাঝে মাঝে ওর রোগজীর্ণ জীবনকে আরো RPA তোলে! We উত্তরজীবনের সেই পথপ্রান্তের দিকে সে USNS চোখে বেদনার উপশম খোঁজে, পথের যে-প্রাস্ত মরণের সঙ্গে একাকার হয়ে মিশে আছে | অন্ধকার থেকে লৌহজিহ্ব ঘড়িটা মলয়ার পিছনে অবিরত টিক্টিক্‌ করে-_ সময়ের ঢেউ গোনা চলে। মলয় ভাবে, আচ্ছা, কী রকম সেই বাসবী যে অনিরুদ্ধকে শাস্তি দিতে পারতে! ? তার স্বামীর জীবনের স্থখশান্তি সবকিছু অপহরণ করে কোন্‌ অজ্ঞাত দূরত্বে ব'সে আছে এই বাসবী হয়তো নিজ পারি- বারিক স্থখ-স্বাচ্ছন্দ্যের মধ্যেই। মলয়ার ইচ্ছে করে কল্পনার সেই বাসবীকে পারিপাশ্বিক বাস্তবতার মধ্যে ডেকে এনে খুব খানিক বকুনি দেয় এমন নিষ্ঠুরতার -ভান্য | সময়ে সময়ে মলয়ার মনে হয় যে, স্বামীর প্রতি সকল কৃতজ্ঞতার পালা শেষ হয় বারেকের জন্যও এই বাসবীকে ওর কাছে এনে দিতে পারলেই-_কিন্তু 4



Leave a Comment