স্বর্ণলতা [সংস্করণ-১] | Svarnalata [Ed. 1]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
[sa] ভঙ্গিতে নে দূরত্ব ছিল না। তার প্রবল সহাহভূতি চরিত্রগুলিকে যথার্থ ভূমিকায় স্থাপিত হতে দেয় নি। পাপপুণ্যের বণ্টনে লেখক যতটা উৎসাহী ততটা চরিত্র বিশ্লেষণে আগ্রহী নন। ৪ তারকনাথের স্বর্ণলতার কাহিনী খুব দীর্ঘ নয়, জটিল ত নয়ই। বাংলা দেশের পরিচিত ভ্রাতৃকলহ তাঁর কাহিনীর উপজীব্য । এ বিষয়ে ব্যাখ্যা ও টাকা-টিপ্ননীতে বিশদ আলোচনা করা হয়েছে। এখন কাহিনীটি বিশ্লেষণ করলে পাব ছুটি স্পষ্ট বিভাগ। প্রথম অধ্যায়ে স্থান পেয়েছে শশিভূষণ ও বিধুভূষণের গৃহকলহ, ফলে একান্লবর্তী পরিবারে ভাঙন এবং ভাগ্যান্বেষণে কনিষ্ঠের বিদেশ যাত্রা । বিদেশে বিধুভূষণের অর্থোপার্জন এবং শশিভূষণের স্ত্রী প্রমদার চক্রান্তে বিধুভূষণের প্রেরিত অর্থ গদাধর কর্তৃক আত্মসাৎ ও অসহায় সরলার দারিদ্র্য-লান্ছিত জীবনের করুণ আলেখ্য। পরিশেষে বিধুভূষণের গ্রামে আগমন, সরলার মৃত্যু এবং গদাধরের জেল । দ্বিতীয় ভাগে আছে বিধুভূষণের পুত্র গোপাল-স্বর্ণলতা-হেমচন্দ্র প্রসঙ্গ এবং শশাসন্কশেখরের খলতার কাহিনী। নানা দারিদ্র্য বরণ করে stars সাহায্যে গোপালের কলকাতায় জীবনযাপন, পরে হেমচন্দ্রের আশ্রয় লাভ। সেই সুত্রে স্বর্ণলতার সঙ্গে গোপালের পরিচয় ও সেই পরিচয়ে মদনের শরপতন। কিন্তু দৈব প্রতিকূল হওয়ায় স্বর্ণলতা শশান্কশেথরের গৃহে বন্দী ও পরে পলায়ন এবং স্বর্বলতা ও গোপালের মিলন কাহিনী দিয়ে সমাপ্তি। পাপের পরিণাম ঘটল “read, প্রমদ৷ ও প্রমদার মাতার ক্ষেত্রে । এরা সর্বস্বান্ত হয়ে শেষ পর্যন্ত বিধুভূষণের আশ্রয়ে এল। উপন্যাসটির প্রথম অংশই তৎকালীন পাঠককে মুগ্ধ করেছিল । কেননা বইটি যখন নাট্যাকারে (১৮৮৮) মঞ্চস্থ হয় তখন তার নামকরণ হয় সরলা | মঞ্চস্থ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নাটকটি দর্শক সাধারণের মনপ্রাণ লুট করে নেয়। সেকালের ভাষায়, ধর্মের ঢেউ, হরিবোলের ধুম এখন কিছু মন্দীভূত হইতে চলিল। যে অভিনয় দর্শনে আত্মহারা হইয়া অন্ততঃ কিছুক্ষণের জন্যও মন তন্ময়ত্বভাবে বিভোর হয়, যাহা দেখিয়া যুগপৎ বিস্ময়, হর্য, শোক, ক্রোধ, বীভৎস প্রভৃতি রসের আবির্ভাব হইয়া থাকে, সেই ত অভিনয়, সেই ত নাট্যচিত্র। নাটকটির এই সাফল্য! মূলে কেবল তারকনাথের ককতিত্বকে



Leave a Comment