For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)ইস্টভৃতি পাঠানোর সঙ্গে সঙ্গে দুটি ভ্রাতৃভোল্ল্য দিতে হয়। এছাড়া ঠাকুর WA ব্রত, সদাচার ইত্যাদিও কঠোরভাবে অনুসরণ করার
নির্দেশ দিয়েছেন। বর্ণাশ্রম কখনও ভাঙা উচিত নয় এবং বিবাহাদির ব্যাপারে খুব
সর্তকতা অবলম্বন করারই বিধি তিনি দিয়েছেন। এ ব্যাপারে শ্রীশ্রীঠাকুরের বিস্তারিত
বলা আছে। ১৯৪৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর ঠাকুর খানিকটা আকস্মিক ভাবেই পাবনা হিমায়েতপুর
ছেড়ে দেওঘর বৈদ্নাথধামে রওনা হয়ে যান। চিকিৎসকের পরামর্শে বায়ুপরিবর্তনের
জনাই যাওয়া বটে, কিন্তু এই যাত্রার নিহিত অনা কোনও গভীর তাৎপর্য থাকা
সম্ভব। হিমায়েতপুর আশ্রমে তার কৌটি কোটি টাকার সম্পদ পড় রইল। eu
শহ্রের উপাস্তে বড়াল বাংলো নামে একখানি বাড়ি ভাড়া করে সেখানেই বেশ
কষ্ট করে ঠাকুর বাস FACS লাগলেন! তিনি তো কখনও এক! নন, তিনি মানেই
সঙ্গে তার প্রিয় শিষ্যরা। বহু মানুষ নিয়েই থেকেছেন এবং চলেছেন ঠাকুর। তাই
শত কষ্ট হলেও কাউকে পরিত্যাগ করার AS কখনও তার জীবনে দেখা দেয়নি।
দেওঘরে তাকে ঘিরে, তাকে নিয়েই ফের গড়ে উঠল আশ্রম-যা Hey নামে
আজ বিখ্যাত। মনে রাখতে হবে AL) ঠাকুরের প্রয়োজেনই গড়ে উঠেছে,
ঠাকুরের জন্যই সংগঠন। নইলে সংগঠন মূল্যহীন। ঠাকুরের ইচ্ছা রূপায়ণ,
অনুশাসনকে ফলিত করে তোলাই সংগঠনের কাজ। ঠাকুরের সারাটা জীবনই
কেটেছে দুঃখ কষ্টের মধ্যে । WBC এবং ছাত্রজীবনে দারিদ্র্য ছিল প্রকট। পরে
অন্যের দুঃখ দুর্দশার ভাগীদার হয়ে মানুষকে মুক্ত করতে গিয়ে নিজের জীবনে
ডেকে এনেছেন কত BS | নিজে পরমপ্রেমমর আবার ভালবাসার কাঙাল | মানুষকে
ভালবেসে ঠাকুরের কোনও HTS নেই। আবার তিনি চাইতেন আমরাও যেন
ভালবাসাময় হয়ে উঠি। ১৯৬৯ সালের ২৭ জানুয়ারি সকাল চারটে পঞ্চানন মিনিটে পরমদয়াল শ্রীশ্রী
ঠাকুর তার বরতনু ত্যাগ করেন। ১৯৭১-এর ১০ মে প্রয়াণ করেন সরসীবালা। তিনি মানবদেহে এসেছিলেন। মানবদেহের রোগ-ভোগ অবসান তো আছেই।
কিন্তু তিনি যে অমৃতময় জীবনের সন্ধান দিয়ে গেছেন তাতে উত্তীর্ণ হতে পারে
যে কোনও মানুষই। তাঁর অনুশাসনকে তাই কঠোরভাবে এবং আগ্রহের সঙ্গে
অনুসরণ করতে BW চাই গুরুর প্রতি ভক্তি ও নিষ্ঠা। মনে রাখতে হবে ঠাকুরই
একমাত্র Born, তিনি একমেবাদ্বিতীয়ম।