তারাশঙ্কর স্মারকগ্রন্থ | Tarashankar Smarakgrantha

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
সমাজের মাত্রা এবং তারাশঙ্করের উপন্যাস : চেতালী-ঘূর্ণি' ১ শ্শানখানা যেন ঘরের FSS প্রকট হইয়া উঠিল | (পৃ. ২৮) ২ ...শ্শান তো বুকে বুকে WA ঘরে পৃ. ২৯) ৩ CNS বলে, যে বান, গাঁয়ে ঢুকল ব'লে | ক্ষণপরে আবার কহে, আর গাঁয়ের পিতুল নাই, বানেব আগে PANTY এসে গাঁয়ে ঢুকছে। ব্যগ্রভাবে দামিনী প্রশ্ন কবে, আব কত দেরি ? পৃ ৩৯) উপরে উদ্ধৃত সংলাপ আর এ প্রশ্ন দিয়ে ছোটগল্প 'শ্মশানের পথে' শেষ হয়েছিল : তাশা আর মৃত্যুর আচ্ছন্নতায় এর সমাপ্তি | কিন্তু চৈতালী-ঘুরণণি-তে শ্মশান-প্রতীকের এখানেই শেষ ব্যবহার। অন্য এক প্রতীক, অন্য এক মেজাজ সংযোজিত হয়েছে উপন্যাসে | আগেই বলেছি, উপন্যাসে যেন এই প্রসরমাণ শ্মশানের সামনে চাষী-মজুরের প্রতিক্রিয়ার, প্রতিবাদের থীম হিশেবে এসেছে চৈতালি ধূর্ণির প্রতীক, যার ব্যবহার 'শ্বশানের পথে গল্পে একবারও নেই | উপন্যাসে চৈত্রের ঝড়ের প্রতীকের দুটো তাৎপর্য আছে : ১ প্রতিবাদেব এ-ঝড় গতিবেগে তীৰ্‌, কিন্তু অল্লায়ু | চৈত্রেব ঘূর্ণি ক্ষীণজীবী যে : আকাশ বাতাস ধরণী সব আগুন না হইলে ঝড় পবমায়ু পাইবে কোথা ? (পৃ. ৩৪) | ২ এই খণ্ড-খণ্ড প্রতিবাদ ভাবী বিপ্লবের- -কালবৈশাখীব পূর্বাভাস | উপন্যাসের শেষ বাক্যে এই ইঙ্গিত প্রত্যক্ষ, সেটা পরে উদ্ধৃত করছি। চৈতালী-ঘৃণি মাসিকপত্রে বেরুনোর সময়ে একটি বাক্যে (ATR বর্জিত) এই তাৎপর্য স্পষ্টভাবে বিবৃত ছিল | সেখানে লেখক বলছেন, চৈত্র প্রান্তরের ঘূর্ণির মতো গ্রামবাসীর এই ক্ষোভ, এই বিদ্রোহ, 'কালবৈশাখীর ঝড়ের ইঙ্গিতও করে হয়তো' (উপাসনা, কার্তিক ১৩৩৬, পু. ২০৮)। চৈতালি ঘূর্ণির প্রতীক বারে বারে এসেছে-_ খুঁটিয়ে বলতে গেলে সব শুদ্ধ সাত বার (মেঘ বিদ্যুৎময় ঝড়কে একই প্রতীকের রূপান্তর হিশেবে দেখলে দশ বার) । শ্মশানের ছবি দিয়ে যে-উপন্যাসের শুরু, তার শেষ এই চৈত্রের ঝড়ের প্রতীক দিয়ে : অদূবে তখন রেল লাইনেব ধাবে কয়টা কুলিব ছেলে ধর্মঘটের খেলা খেলিতেছিলো, মাটির কলেব উপর লাঠি চালাইয়া একদল কহিতেছিলো, cone দিয়া,তোড় দিয়া। সেই দিক পানে চাহিয়া শিবকালী আপন মনেই বলে, চৈতালির ক্ষীণ ঘূর্ণি, অগ্রদূত কালবৈশাখীর পৃ. ৮২)। এই সব প্রতিমা-প্রতীকের পুরো মানে শুধু উপন্যাসের চতুঃসীমার মধ্যে খুঁজে পাওয়া যাবে না, বাইরের বৃহত্তর পটের সঙ্গেও এদের তাৎপর্যসূত্র পরোক্ষে জড়ানো | আসলে তারাশঙ্করের চেতনা-লোকে আমাদের জাতীয় আন্দোলনের জোয়ার-ভাটা, ঘাত- প্রতিঘাত আর অন্তর্বন্দ্বের ছায়া পড়েছে গোড়া থেকেই । 'শ্শানের পথে” বেরিয়েছিল ১৯২৮ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে ; লেখা নিশ্চয়ই তার আরও কিছুকাল আগে । এর পেছনে যে-অভিজ্ঞতার চাপ, তা ১৯২৮-এর পূর্বকালীন | ১৯২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অসহযোগ আন্দোলন প্রত্যাহারের পর থেকে ১৯২৭ পর্যন্ত কাল-পর্বে আমাদের জাতীয় ২-- ১৭



Leave a Comment