প্রেম ও নিঃসঙ্গতা | Prem O Nihsangata

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
১৮ মঞ্জরী বইয়ের নীচে থেকে একবার কটাক্ষপাত করলো অভিমন্্য । THA বললে, “Al ফেরেন্নি 2” “ফিরেছেন 1’ যাক্‌ বাবা! তাহ'লে অন্ততঃ মঞ্জরীর অপরাধের ower কিছু হ্রাস হয়েছে । «FAC নড়েচড়ে বসে মঞ্জরী সন্ধির সুরে বলে, তুমি গিয়ে নিয়ে এলে বুঝি ? “তাই না তো কি নিজে এসেছেন ব'লে আশা করো ?' আশ] ABA অভিমানে চোখের কোণে জলের রেখা স্পষ্ট হয়ে ওঠে ॥ মঞ্জরীর ভাগে একটা fasig অপ্রধান চরিত্রের ভূমিক। পড়ায় যে অভিমানের মেঘ সঞ্চিত হয়ে উঠেছিলো জামাইবাবুর উপর, সেই মেঘটাই ঝরে পড়তে চায়, অসত্তর্কতার বাতাসে । “আমার আবার আশা! কারো কাছেই কিছু আশা করবার নেই আমার। চিরদিনের একটা সাধ ছিল-_* বইটা মুড়ে পাশে রেখে দেয় BSR ৷ হাতটা বাড়িয়ে অভিমানিনীকে কাছে টেনে CAT | দেখে আপাততঃ মনে হয় we সুন্দর কাচের বাসনখানার গায়ে সেই কালো দাগটা, একটা দাগই শুধু । চিড় খাওয়া নয়। আর সকালে দু'জনকে দেখে মনে হয় নতুন ক'রে প্রেমের জোয়ার এসেছে ছু'জনের প্রাণে । পুৃণিমাদেবী বিরক্ত চিত্তে ভাবেন, ছেলেটা কি অপদার্থ ! দু'দিন একটু শক্ত হয়ে থাক্‌ ? তা নয়, গলে যাচ্ছে একেবারে | ছিঃ! গতকাল অভিমন্যু দিদির বাড়ি গিয়ে কুপিত জননাীঁকে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছে । বৌয়ের হয়ে অবশ্য কিছু কল্পনাপ্রস্তুত ভাষণ দিতে হয়েছে | মঞ্জরী নাকি শুধু ঠাট্টা ক'রে সিনেমা করার কথা জামাইবাবুর কাছে বলেছিলো, তিনি ভোলানাথ মানুষ, ঠাটাকে সত্যি ভেবে সব ঠিকঠাক ক'রে বসে আছেন। Teal যদি এখন “না” করে, সে ভদ্রলোকের আর “Ge থাকবে না। কাজে-কাজেই বাধ্য হয়ে মঞ্জরীকে, ইত্যাদি-ইত্যাদি। ভোলানাথ বিজয়ভূষণ ঠাটাকে সত্যি ভাবলেও ভাবতে পারতেন, কিন্তু তীক্ষবুদ্ধি পুণিমাদেবী মিথ্যাকে সত্যি ব'লে ভুল করেন না। তবু ভুলের ভান করেন, সত্যকে উদ্থাটিত করার প্রয়াস পান না। এ তবু ভালো! এই ছদ্মবেশীর মিথ্যার অবতারণা করেও ছেলে তার কিছু মর্যাদা রেখেছে। অতএব নিমরাজি ভাব রেখে ফিরে যাওয়। চলে | কিন্তু এটুকু তো তিনি আশ! করতে পারেন যে, ছু'চারটে দিন অন্ততঃ ছেলে তার বৌকে কিছুটা অবহেলা করবে। রাগ-রাগ, বিরক্তি- বিরক্তি ভাব দেখাবে। তা নয়--যেন কাল ফুলশয্যা হয়েছে, দু'জনে



Leave a Comment