গঞ্জের মানুষ | Ganjer Manush

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
গল্পটা শুনে নির্মল TI হল না, বিভূতিও sara মন্তব্য করেনি। কিন্ত আমার ধারণা তবু বলবৎ রইল, আমি দারুণ লিখেছি। 'দেশ” পত্রিকার দফতরে সেটা জমা দিতে গেলাম যার হাতে তিনি তখন আমাদের কাছে এক দুরন্ত আকর্ষণ। তাঁকে চোখে catty লোভটাও কম ছিল না। বাংলা কথাসাহিতে! তার অসামান্য নতুন বীধভাঙা গদ্য একটা ভিন্ন খাত রচনা করার চেষ্টা করছে। তিনি বিমল কর। মুখোমুখি গিয়ে দাড়াতে থুব নার্ভাস লাগছিল | তবু চেষ্টারুত সাহসের সঙ্গে দিয়ে আসতে পেরেছিলাম। কিছুকাল পরে গল্পটা অমনোনীত হয়ে ফেরত এল হাতে। উৎসাহটা মিইয়ে গেল । তবু আর একটা লিখে ফের দিয়ে এলাম। সেটাও ফেরত এল। বলতে কি তখন আমাকে ঘিরে ফেরত-এর প্রেতনৃত্য। “পরিচয়” থেকেও সেই দুটো গল্প ফেরত পেলাম। বিশ্ববিদ্ঠালয়ের পত্রিক৷ 'একতায়” নতুন লেখা একটা গল্প দিয়ে এলাম ছাত্রসম্পাদক দীপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে, সেটাও মনোনীত হল না। অর্থাৎ লেখালেখি আমার হওয়ার নয়। বুঝতে পেরে পরাজয়ের বিশ্বাদে ভরে গেল ভিতরটা। শুনতে পেলাম ‘eeu? পত্রিকায় সেবার রেকর্ডসংখ্যক গল্প ছাপা হচ্ছে চারটে | চারটেই বাংলা ক্লাসের ছেলেদের । সেই চারজনের মধ্যেও ঠাই না পেয়ে পিছিয়ে আসা ছাড়া কি করার আছে? সাহিত্য শিল্প তো গায়ের জোরে হয় না। তবু শেষ একটা] চেষ্টা করন বলে জেদবশত একটা গল্প লিখে Micra acs দিয়ে নির্লজ্জের মতো] বললাম-_যদি এখনো ছাপার আশা থাকে তো পড়বেন | উনি বললেন-_-আশা] কম। তবু যদি গল্পটা দারুণ কিছু হয়ে থাকে তো যেমন করেই হোঁক ছাপব। তিনি ছেপেছিলেন। ata বার তিনবার । তৃতীয় গল্পটা লিখে দুবার, অমনোনীত হওয়ার লজ্জা আঁর সন্কোচ নিয়ে আবার ‘om’ পত্রিকায় দিয়ে এলাম। রুমালে মুখ ঢেকে রেখেছিলাম কিনা মনে নেই । তবে এই গল্পটা “দেশে' বেরিয়েছিল | এইভাবে CF | প্রগোপাল মল্লিক লেন-এর SHA হোস্টেলের এদেো অন্ধকার ঘরে বসে খন কেবলই সাহিত্যের স্বপ্ন দেখা। পড়াত্তনো গোল্লায় দিয়ে ভুতের মুতো লেখার পিছনে খাটতাম। আর সেই .সাহিত্যজরের বিকারে এম-এ পরীক্ষা আমাকে ফাকি দিয়ে গেল। কোনোদিনই সেটা] আর দেওয়া হল ai, পিতৃদেবের অনেক আকাঙ্ক্ষা থাকা সত্বেও | se



Leave a Comment