পঞ্চমা | Panchama

& পঞ্চমা চোটটা একটু বেশি রকমই হইয়া গেল; তা ছাড়া রাস্তার পাথরে ছড়িয়া এক জায়গায় রক্ত পড়িতেছিল। কেশরের পড়াটা বালামণি দেখিতে পাইয়াছিল, তার পর রক্ত দেখিয়া সে, হায়, হায়, করিতে করিতে চঞ্চলপদে একবারে নিকটে attr কেশরের দুই বাহু মূলে ছুই হাত fer তাহাকে একেবারে তুলিয়৷ দাড় করাইয়া জিজ্ঞাসা করিল, চলিতে পারিবে কি তুমি? ততক্ষণে তাহার Sore আসিয়৷ পড়িল এবং তাহার আজ্ঞায় কেশরকে কোলে তুলিয়া তাহার দাওয়ায় আনিয়া বসাইয়া দিল তৎক্ষণাৎ জল আনাইয়া রক্ত ধোয়া মুছানো হইলে, তাহার দাসীকে একটা কি আনিতে বলিল । কাচের কোটায় দাসী যাহ! aaa আসিল, তাহা কেশরের পায়ে ক্ষত স্থানে লাগাইয়া নিজ হাতে পটি বীধিয়া দিল । দেখিলাম, নিজের হাতে কাজ করিতে তাহার কি অপুর্ব মনোযোগ, এত যত্ব আমি দেখি নাই। তার পর আমায় বলিল, তুমি এ আঘাতের চারিদিকে একটু হাত বুলাইয়া দাওঃ ক্রমে একটু জোর দিয়া টিপিতে থাক, খুব শীদ্রই যন্ত্রণা কমিয়৷ যাইবে । নিজে সর্বক্ষণ পাথা হাতে বাতাস করিতে লাগিল | কেশর অল্পক্ষণেই সুস্থ হইয়া উঠিল। তাহার মুখে একটা সহজ আনন্দ লক্ষ্য করিয়৷ বালামণি তখন আমাদের সঙ্গে কথা সুরু করিল । আমি ইহাই চাহিতেছিলাম। আমরা কে, cri থাকি, কি করি, কতদূর পড়িয়াছিঃ-_প্রতিবৎসর মন দিয়া রাত জাগিয়া পড়ি কিন,-_আমাদের স্বভাব প্রকৃতির খুটিনাটি প্রশ্ন করিয়া ofa aga) এই সব এক পালা! হইয়া গেলে--আমরা তাহার কি কি অভিনয় দেখিয়াছি-__তারপর কোনটা ভাল লাগিয়াছে জিজ্ঞাসা! করিল। প্রশ্ন করা মাত্রই আমি বলিলাম, দশাবতার নাটক এবং তাহার নাচটা মারাজীবন দেখিতে পাইলেও সাধ মিটিবে না। শুনিয়া সে খুবই খুসী হইল। তারপর সে কৌশলে অনেক কথাই জিজ্ঞাসা করিল, অর্থাৎ সে জানিতে চায় আমাদের . জীবনে কোন বিশেষ উদ্দেশ্য গড়িয়| উঠিয়াছে কিনা, কিন্তু আমর! বিশেষতঃ: আঁমি, তখন খুব স্ফুপ্তি ও সহজ জীবনযাত্রার অঙ্রাগীই ছিলাম, কাজেই সে উত্তরে কিছুতেই wes হইতে না পারিয়৷ আপন মনেই বলিতে লাগিল : মনুষ্যজন্ম গ্রহণ করিয়া কি হইল যদি মানুষের ছুঃখ কিছুমাত্র দূর করিতে না পারা যায়। লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি টাক! উপার্জন করিয়া,-- নিজের ভোগে ও আপন জনের সঙ্গে সখের সাগরে ভাসিয়া এতটা দুর্লভ এই মানব জীবন শেষ করিলেই বা কি হইল, যদি কারো! দুঃখ দূর করিতে না পারিলে ? যে যেমনই অবস্থায় থাকুক না কেন তাহার দ্বারা সমাজের সেই স্তরের মানুষের উপকার