For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)সেদিন তে-ভাগার দাবি আদায় করা যায় নাই। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ ওই সংগ্রামকে
কৃষকদের রক্তের বন্যায় ডুবিয়ে cA! তবুও সেদিন ওই সংগ্রাম সাম্রাজ্যবাদ সৃষ্ট
জমিদারি-জোতদারি শোষণ ও ভুমি ব্যবস্থাকে সমস্ত দেশবাসীর সামনে আসামির কাঠগড়ায়
দাঁড় করিয়ে দিয়েছিল। আর ওই সংগ্রাম ছিল ইদানীং কালের সবচেয়ে বড় সংগঠিত কৃষক
সংগ্রাম। কমিউনিস্ট কর্মীরাই তা পরিচালনা করেছিলেন। স্বাধীনতা সংগ্রামী কমিউনিস্ট
কর্মীরা দিনাজপুর জেলাতে ১৯৩৭-৩৮ সাল থেকেই গ্রামে গ্রামে কৃষক সমিতি গড়ে
তুলেছিলেন। দুর্গম গ্রামাঞ্চলে পশ্চাৎপদ, দারিদ্্যপীড়িত, শোষিত ও নিরক্ষর কৃষকদের
মধ্যে দিনের পর দিন পড়ে থেকে, তাঁদের দুঃখময় জীবনের ভাগীদার হয়ে তাঁদেরকে তাঁরা
গঠিত BAC! রাজনৈতিক শিক্ষা দিয়ে ওই কৃষকদের মধ্যে থেকেই তাঁরা এক বিরাট
সুনিশ্চিত কর্মীবাহিনী সৃষ্টি করে কমিউনিস্ট পার্টি গড়েছিলেন। ওই কর্মী বাহিনীই ছিল
তেভাগা সংগ্রামের এলাকাভিত্তিক নেতা এবং সংগ্রামের মূল শক্তি।
তে-ভাগার দাবি সেদিন ওই জেলার নিপীড়িত আধিয়ার কৃষকদের মনে কত গভীর
রেখাপাত করেছিল সে সম্পর্কে ছোট্ট একটি ঘটনা উল্লেখ করলেই বোঝা যাবে। খাঁপুরে
গুলি চালনায় যে সব কৃষক গুরুতরভাবে আহত হয়েছিলেন তাঁদেরকে বালুরঘাট
হাসপাতালে স্থানাস্তরিত করা হয়। হাসপাতালের মেডিকাল অফিসার মৃত্যু-পথযাত্রী একজন
কৃষককে তাঁর শেষ ইচ্ছা জানবার জন্য জিজ্ঞাসা করলেন-_'আপনি কী চান?” ক্ষীণ অস্পষ্ট
কণ্ঠে সংগ্রামী কৃষকটি উত্তর দিলেন-_'তে-ভাগা চাই”। পর মুহূর্তেই তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ
করেন। ১৮