অন্ধকারের হাত | Andhakarer Hath

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
মাটন তড়কা? না এগ? মাটন তড়কা। বয় চলে যেতেই একজন পকেট থেকে সেলুলার বের করলো। এদিক-সেদিক তাকিয়ে ঝটপট করে বোতাম টিপলো। এবার কানের সঙ্গে চেপে ধরলো বাঁ হাত। সঙ্গের লোকটা উৎসুক চোখে তাকিয়ে। ধাবায় যে-সব ড্রাইভার ও খালাসীরা খাওয়া-দাওয়া করছিলো, তাদের অগোচরেই সেলফোনে কথা বলার চেষ্টা করছে লোকটা। হ্যালো, তোমরা কোথায়? হ্যা, আমরা টাউনে ঢুকে পড়েছি। গাড়িতে আছি। কোথায় উঠবো? একই জায়গায়। কোন চেঞ্জ হয়নি। স্পটের খবর কি? কাছে যাওয়া যাচ্ছে না। পুলিস আর মিলিটারি ঘিরে ফেলেছে। বোম স্কোয়াড নেমে পড়েছে। গ্রামের লোকজনের কাছ থেকে পরিষ্কার খবর পাওয়া যাচ্ছে না। রিস্ক নিতে হবে না। কাল বাস ধরে জায়গামতো চলে যাবে। সব যখন ঠিকঠাক ছিলো, কাজ হয়েছে ঠিকই। Oi, আমরা সময় মেপে ঠিকমতই কাজ সেরেছি। কোনও ভুল হয়নি। বাবু, রুটি তড়কা।-_ ধৌয়া ওঠা গরম দুটো তড়কার প্লেট এনে রাখলো হোটেল-বয়। ফের দৌড়ে গিয়ে দুটো প্লেটে রুটি নিয়ে এলো। এবার জলের গ্লাস। ধাবার মালিক কাউন্টার থেকে জোরে চিৎকার করে বয়কে ডাকলো, আরে এ wal, দু'নম্বর টেবিলে জল দিসনি এখনো! যাচ্ছি, যাচ্ছি! টেবিলের লোকটা তখনই সেলুলার বন্ধ করে পকেটে পুরলো। এক পলক ধাবার মালিকের নজরে পড়লো তা। মনে রাখার মতো তেমন কোন ব্যাপার নয়। মালিক ফের দোকান সামলাতে ব্যস্ত হয়ে পড়লো। কুড়ি-পঁচিশ মিনিটের মধ্যে খাওয়া দাওয়া শেষ করে লোকদু'টো উঠে পড়লো। কাউন্টারে গিয়ে টাকা-পয়সা মিটিয়ে ওরা রাস্তায় নামলো। ধাবার কাছাকাছি রাস্তার পাশে ছটা ট্রাক দাঁড়িয়েছিলো। দু'জন সেগুলো পেরিয়ে আরো সামনে এগলো। এবার অন্ধকার দু'জনেই বেশ সতর্কভাবে এদিক- সেদিক দেখে নিচ্ছিলো। ধাবার জমজমাট এলাকাটুকু পেরিয়ে ওরা একটু জোরে হাঁটতে শুরু করলো। খানিক এগিয়ে একটা গাছের ঘন ছায়ায় আড়াল নিয়ে দু'জনে চুপচাপ দীড়িয়ে পড়লো। খানিকক্ষণ দাঁড়ালো। ওরা বুঝতে চাইছিলো, কেউ ওদের ১৮



Leave a Comment