দুই কাননের পাখি | Dui Kananer Pakhi

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
“অবেদনক।রিণী লিখছেন : “আয়োজনে কোন ফাকি ছিল না । দক্ষিণখোলা ঘর, কোণে-কোণে গুচ্ছ গুচ্ছ ফুল, কিছু বিছানাতেও ছড়ানো | মৃদু-সুরভিত বাসরে একটি feat আলো ৷ বন্ধুদের বিদায় দিয়ে আমরা সেই ঘরে এলাম। আমাদের চার চোখ এক হল | “কিন্তু “যা স্বাভাবিক, তা ঘটল না। আমি এক পা ছ'পা করে পছিয়ে গেলুম । যেন হঠাৎ fas} গরম পড়েছে, আমার খুব কষ্ট হচ্ছে । 'সাজপো শাকে বিলাসের যেটুকু বাড়াবাড়ি ছিল, আড়ালে গিয়ে AAT খুলে সহজ হযে এলাম ৷ ঢিলে জামা-কাপড় পরে খানিকটা aie casa ফিরে পেলাম ৷ বাধা চুলের রাশিও এর পর দিলাম খুলে, চরুনি হাতে বসলাম আয়নার সামনে | “আড় চোখে ওকে দেখছিলাম। চেনা সেই মানুষটি সহসা কমন যেন অচেনা, যেন দূরের হয়ে গিয়েছে । দৃষ্টি অপলক-_এই বৃষ্টিকে আমি চিনি না। একবার ভাবলাম, ও এবার আমাকে কাছে ডাকবে, কিংবা নিজেই কাছে আসবে ৷ তাই ত' হয়ে থাকে গ্লানি । কিন্তু সে সব কিছু আমাদের বেলা হল না। ও হেলান- চয়াবে শুষে শুয়ে নিবিকার ভাবে সিগারেট টানছিল, টানতেই থাকল । “সে দিনই মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে যে আমার স্বামী হয়েছে, StF এই আচরণ একটু অদ্ভুত comers যে হাসি-খুশি-হৈ-চে-করা মানুষটাকে আমি চিনতাম, সে কই! এই কি সেই ! কী জানি! সামি ভয় পেলাম। অপরিচিত একটা মানুষের সঙ্গে একলা একটা Ica, এই রাত্রে ঢুকে পড়িনি ত ! সেই মুহূর্তে যেন একটি হিমপ্রবাহু নেমে এল, গুড়ো গুড়ো সাদা বরফে সেই ষর, সেই বাসর ছেয়ে গেল ৷ আমার সব পেশী কঠিন হল । “চিরুনিটা টেবিলের sits ঠুকে ঠুকে ভূতুড়ে ভয়টাকে দূর ray ৷ নিজেকে ধমক দিয়ে বললুম-_এ কী ছেলেমানষি করছ! ১৩



Leave a Comment