অধিকলাল [সংস্করণ-১] | Adhiklal [Ed. 1]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
wae গেল সে । বলিল স্টেশনে তুমি যে বেতন পাইতে আমি তাহার অপেক্ষা এক টকা বেশী বেতন দিব। তুমি Sif আমার গোলার কাজকর্ম কর। গ্রামের মাঝখানে অনেকখানি জায়গা কিনিয়৷ রামগোবিন তাহার গোলা আরম্ভ করিয়৷ দিয়াছিল। শিবলালের দোকানের গঙ্গা কিছু লেখা-পড়া জানিত। সেও প্রত্যহ সন্ধার পর দোকানের কাজকর্ম কমিয়৷ গেলে গোলায় যাইত এবং সমস্ত দিনের হিসাবপত্র একট। খাতায় লিখিত । তখনই দেখা গেল রামগোবিনের স্মৃতিশক্তিও অনাধারণ। প্রত্যেক দিনের সমস্ত খুটিনাটি-কাহাকে কত পয়সা দিল, কাহার নিকট হইতে কত পয়সা পাইল, কে কত ধান চাল ডাল প্রভৃতি লইয়!ছে এ সমস্তই সে মনে করিয়া রাখিত এবং তাহার মুখ হইতে শুনিয়া গঙ্গা সে সব bien afew রাত্রি নয়টার পর আসিতেন ছুবেজি । স্থানীয় মাইনার স্কুলের হেড পণ্ডিত । তাহার নিকট রামগোবিন ইংরেজি, হিন্দী এবং অঙ্ক শিখিবে প্রস্তাব করিয়।ছিল | দুবেজি বলিলেন-_ ওসব তো তুমি অধিকল।লের কাছেই শিখতে পারবে। ওর কাছে পড়া যখন শেষ ইয়ে যাবে তখন অ।মি AoA) এখন আমি বরং রোজ তোমাকে রামায়ণ পড়ে শোনাই | নয়টার পর ছুবেজি রামগোলায় za Shan তুলসীদাসের রামায়ণ পাঠ করিতেন । রামগোবিন জোড় হস্তে বসিয়া তাহা শুনিত। শুনিতে শুনিতে রামগোবিনের স্থরেশ্বরীকে মনে পড়িয়৷ যাইত বার বার। স্থরেশ্বরী সমস্ত অশুদ্ধ জিনিসের উপর গঙ্গ।জলের ছিটা দিয়৷ সেগুলিকে শুদ্ধ করিয়া! লইতেন ৷ দুবেজি তেমনি রামনামের ছিটা fen তাহার সমস্ত পাপকে পুণ্যে রূপান্তরিত করিতেছেন মনে করিয় ভারি একটা তৃপ্তি হইত রামগোবিনের। ছুবেজির অদেশও অমান্য করে নাই সে । অধিকলালের নিকটই সে হিন্দী ও ইংরেজি অক্ষরের প্রথম পাঠ AeA অধিকলাল রামগোবিনকে 22



Leave a Comment