দুই বাংলার কিশোর গল্প | Dui Banglar Kishure Galpa

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
যেন ভেসে আসছে। কখনও আর্তনাদ, কখনও অট্টহাসি, কখনও আবার করুণ কান্নার স্বর। AHA জোর দিয়ে বলল, “নিশ্চয় ভিতরে ঢুকবার কোনও-না-কোনও পথ আছে। এ তো প্রাকৃতিক ব্যাপার, কেউ বানায়নি। কাজেই নিশ্ছিদ্র এ-কথা আমি মানতে রাজি AS! একটু খুঁজে দেখতে হবে। তাছাড়া ভেতরের ফাঁকা জায়গাটাকে উপত্যকা বলা হলেও মনে হচ্ছে খুবই ছোট। লম্বায় একশো মিটার বা ওইরকম, চওড়াও তার কাছাকাছি” আশ্চর্য, একটু খুঁজতেই দেখা গেল দুটো পাহাড়ের জোড়ের মুখে কয়েকটা বড়-বড় গাছ ঘন-সন্নিবিষ্ট হয়ে দাড়িয়ে আছে। দেখলেই বোঝা যায় গাছগুলির বয়সও নেহাত কম নয়। কিন্তু গাছ গজিয়েছে, তখন একটা ফাটলও নিশ্চয়ই আছে। বোধহয় গাছের আড়ালে চাপা পড়ে গেছে। দু'জনেই গাছে উঠতে GBM | রঙ্কুলাল ব্যাগটা পিঠে ঝুলিয়ে awa করে উঠে পড়ল একটা গাছে। পেছন-পেছন কঙ্কাবতীও। সত্যি, যা ভেবেছিল তা-ই। গাছের আড়ালে চাপা রয়েছে একটা সরু ফাটল। চেষ্টা করলে কাত হয়ে তার ফাকা দিয়ে ঢুকে পড়া যায়। খানিকটা কসরত করে ওরাও ঢুকে গেল সেই ফাটলে, তারপর গাছ, বেয়েই নেমে পড়ল সেই ফাকা উপত্যকায়। তারপরেই ভয়ে ওদের মুখ শুকিয়ে গেল। যে আওয়াজটা বাইরে থেকে এতক্ষণ অস্পষ্ট ভাবে শোনা যাচ্ছিল, এবার তা-ই শোনা যেতে লাগল বিকটভাবে। কী অদ্ভুত শব্দ! যেন একসঙ্গে হাজারটা লোক চেচামেচি করছে। কখনও হাসির শব্দ, কখনও গোঙউানি। তারই মধ্যে চলেছে দুর্বোধ্য ভাষায় চিৎকার, শাসানি, বহুলোকের একসঙ্গে VAT | “দিদি, ভয় পাচ্ছিস'১” ভয়ে-ভয়ে প্রশ্ন করল রক্কুলাল। “না, ভয় কিসের! ভয়ার্তকণ্ঠে বলল কঙ্কাবতী। তারপরেই হঠাৎ যেন প্রচণ্ড একটা দম নিয়ে বলল, “কিন্তু HS শোনা যাচ্ছে শুধু। বোধহয় পায়ের দুপদুপ আওয়াজও আছে তার মধ্যে, কিন্তু চোখে তো কিছুই দেখতে পাচ্ছি না! নিশ্চয় একটা রহস্য আছে এর মধ্যে” রঙ্কুও যেন এবার একটু দম নিয়ে বলল, “সেইটিই তো উদ্ধার করতে হবে। কী নাম বলল যেন এ-জায়গাটার? গোস্ট ভ্যালি, অর্থাৎ প্রেতাত্মার উপত্যকা? তুই কি প্রেতাত্মা মানিস?” PRINS ততক্ষণে একটু সামলে নিয়েছে। এবার বিজ্ঞের মতো বলল, “বিজ্ঞানীরা কখনও হাতেনাতে প্রমাণ না পেলে কিছু মানে ATI” ১৮



Leave a Comment