রবীন্দ্রজীবনী ও রবীন্দ্রসাহিত্য-প্রবেশক [খণ্ড-১] | Rabindrajibani O Rabindrasahitya-prabeshak [Vol. 1]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
নব্য হিন্দুসমাজ ১৬৯ বাঙালি এই প্রথম অধিবেশনে cater বিশেষ অংশ গ্রহণ করে নাই। রবীন্দ্রনাথের মনে কি এই বেদনা ছিল, ষথন তিনি লিখিলেন, পৃথিবী জুড়িয়৷ “«বজেছে বিষাণ, শুনিতে পেয়েছি ওই-- AME এসেছে লইয়া] নিশান, কই রে বাঙালি কই | এই কবিতাটি পাঠকগণ পুনরায় পাঠ করিলে কবির মনোভাবের নিখুত চিত্রটুকু পাইবেন । নিখিল ভারতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে বাঙালির অসম্মান হইয়াছে বটে, কিন্তু কবির sani বাঙালি . তাহার শ্রেষ্ঠ আদন পাইবে গানের মধ্য দিয়া, মাতৃভাষার মধ্য দিয়া উঠ বঙ্গকবি, মায়ের ভাষায় মুমুযু'রে দাও প্রাণ-_ বিশ্বের মাঝারে ঠাই নাই ব'লে, কাদিছে argh, জগতের লোক BAT আশায় সে Stal করিবে পান। গান গেয়ে কবি জগতের তলে স্থান কিনে দাও তুমি । চাহিবে মোদের মায়ের বদনে, ভাসিবে নয়নজলে, একবার কবি মায়ের ভাষায় গাও জগতের গান, বীাধিবে জগৎ গানের বীাধনে মায়ের চরণতলে । সকল জগৎ ভাই হয়ে যায়--ঘুচে যায় অপমান |? একদিন কবিই বাড়ালির সে-অপমান দূর করিয়| তাহাকে বিশ্বের সিংহাসনে বসিবার অধিকার দিয়া গেলেন | নব্য হিন্দুসমাজ বন্ধিমের সহিত রবীন্দ্রনাথের মসীযুদ্ধ অল্পতেই শেষ হইয়া যায়; কিন্তু চন্দ্রনাথ বস্তুর সহিত যে ae শুরু হয়, তাহা বছকাল বাংলার সাময়িক সাহিত্যাকাশকে কখনো ধুম্রে অন্ধকার, কখনো আলোকে উজ্জ্বল করিয়৷ রাখিয়াছিল। চন্দ্রনাথ 'নবজীবন” মাসিকপত্রে হিন্দুদমাজের জাতিভেদের জয়গান করিয়| এক প্রবন্ধ প্রকাশ করেন; ইহাতে রবীন্দ্রনাথের উদ্বেজিত হইবার কোনো কারণ ছিল না; Wear, উহার কোনো জবাব তিনি লেখেন নাই। কিন্ত 'বঙ্গবাসী” সাপ্ডাহিকে প্রসঙ্গত্রমে “তত্তবোধিনী পত্রিকার বিরূপ সমালোচনা প্রকাশিত হইলে আদি ব্রাম্বসমাজের তরুণ সম্পাদকের পক্ষে তাহা নীরবে উপেক্ষা কর| সম্ভব হইল না; 'সঞ্জীবনী” সাপ্তাহিকে রবীন্দ্রনাথ তাহার এক কড়া জবাব লিখিলেন। নব্য হিন্দুসমাজের সহিত বিরোধের ats হয় এইভাবেই | কিন্তু বিরোধের কারণ ছিল আরও গভীরে; চন্দ্রনাথ এই সময়ে শশধর তর্কচূড়ামণির frog গ্রহণ করিয়া হিন্দুধর্মের বৈজ্ঞানিক ও আধ্যাত্মিক মৃতন ব্যাখ্যা দানে প্রবৃত্ত ইইলেন। তর্কচূুড়ামণি দিগ্িজয়ার ম্যায় কলিকাতায় আসিয়া শিক্ষিত বাঙালী হিন্দুসমাজে আসর জমাইয়া৷ বসিলেন। বাংলার তরুণদের উপর চূড়ামণির ary পণ্ডিতের প্রভাব কিরূপে সম্ভব হইল, তাহা ভাবিবার বিষয়; যে-লোকের না ছিল পাণ্ডিত্য, না ছিল আধ্যাত্মিক বল, সে-লোক কি জাদুবলে বাংলার চিত্তকে মুগ্ধ করিয়াছিল ৷ বন্কিমপ্রমুখ সকলেই চূড়ামণির আঙ্গুবি ধর্ম ও বিজ্ঞানের বিরোধী ছিলেন; স্বামী বিবেকানন্দ পরযুগে এইসব আন্দোলনের কঠোর সমালোচন৷ করেন। দুখের বিষয় শ্রোতাদের মধ্যে অধিকাংশের হিন্দুধর্ম সম্বন্ধে জ্ঞান, পাশ্চাত্য বিজ্ঞান সম্বন্ধে জ্ঞানের সমতুল্য ছিল; স্থতরাং তাহারা শাস্ত্র ও বিজ্ঞান, দুইই সমান বুঝিতেন বা কিছুই বুঝিতেন না; সেইজন্য নির্বিচারে সবই বিশ্বাস করিতেন। কারণ বিশ্বাস করিতে হইলে, সাধারণ মানুষের কোনপ্রকার মানসিক মেহন্নত করিতে হয় না । আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যে শিক্ষা প্রদত্ত হইত, তাহা হইতে ভারতীয় দর্শন, সাহিত্য, ধর্ম ও সংস্কৃতি সম্বদ্ধে কোনো জ্ঞান ছাত্রদের আয়ত্ত হইত না, > আঁহ্বান-সীত, কড়ি ও কোমল পূ ১৬৮। ২২



Leave a Comment