সে এলো | Se Elo

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
শয়তানেরও একটা না একটা যুক্তি থাকেই । তখন ইংরিজি সিনেমার যুগ । আসলে যে সে বিলিতি মেয়েদের দেখতে যেতো সেটা সে মুখে প্রকাশ করতো না। ইংরিজি পিনেমাতে চুমু খাওয়ার দৃষশ্ত থাকতো, বিকিনি পরে স্নান করার দৃশ্য থাকতে। সেই সবই ছিল বিলিতি সিনেমার প্রধান আকর্ষণ। দিশা সিনেমাতে তো ও-সব কড়া হাতে CHAAA Sal হতো | তখন Yaar পুরে৷ পরিবারটাই কলকাতায় এসে গেছে। আর তারও নিজের আয় বেড়েছে। সেই আয়ের টাকায় তখন সে-ই বা কে আর জগদীশ্বরই বা কে 1 আমার সঙ্গে তখন আর আগেকার মতো স্থজয়ের দেখা হতো না। যখন দেখা হতো তখন কেবল একটা কথাই হতো - সেটা হচ্ছে তার নিজের প্রশংসা । মানে নিজের চেহারার প্রশংসা | AACSI— AACS কেমন দেখাচ্ছে রে আজ ? আমি বলতাম-_ কেন, ভালোই তো দেখাচ্ছে-_ সুজয় তবু খুশি হতো না আমার ওই মামুলি জবাব শুনে-_ বলতো-__ স্পেশ্যাল কিছু দেখছিস না ? আমি আরো মনোযোগ দিয়ে তাকে দেখতাম | কিন্তু “স্পেশ্যাল” কিছুই দেখতে পেতাম না। স্বজয় বলতো-_ কিছুই স্পেশ্যাল দেখতে পাচ্ছিস না ? বলতাম - কই, না তো_ QAI বলতো-_ দূর, তোর চোখটা খারাপ হয়ে গেছে, তুই Sra i এই শার্টটা নতুন করিয়েছি। আড়াই টাকা করে কাপড়ের গঞ্জ, তা জানিস 2 তখনকার দিনে শাটের কাপড়ের গজ আড়াই sisi করে- সেটা বড় মামুলি কথা নয়। তখন টাকার দাম ছিল খুব। আমরা সাধারণত বাজার থেকে রেডিমেড শার্টই কিনতাম । কিন্তু সুজ্বয় তো আমাদের মতো সাধারণ মানুষ নয়। সে ছোটবেলা থেকেই অসাধারণ | অসাধারণ হওয়ার জন্যে সে ছোটবেলা থেকেই চেষ্টা করে আসছে। ১৮



Leave a Comment