আধুনিক শিল্পশিখা | Adhunik Shilpashiksha

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
শিক্ষা ও শিল্প ৫ সে সময় ধারা প্রচুর অর্থ উপার্জন ছি, প্রধানত তারাই ছিলেন এই-সব শিল্পীর পৃষঠপোষক। এই-সব শিল্পীর সংস্পর্শে বাস্তবতার যে পরিবেশ সুষ্টি হয়েছিল তারই প রবর্তা প্রকাশ পাশ্চাত্য-রীতিতে শিল্পবিদ্যালয়-স্থাপন। এই সময় নূতন ধরনের কারিগরেরও প্রয়োজন দেখা দিয়েছিল। ছাপাখানার সঙ্গে যুক্ত নানা রকমের ছবি নক্শা ম্যাপ ইত্যাদি লিখো প্রেসে ছাপার ব্যবস্থা কলকাতা শহরেই প্রথম হয়েছিল । এই-সব ছাপাখানায় দেশীয় কারিগররা হুয়তো সহকারীরূপে নিযুক্ত হয়েছিলেন। তবে দেশীয় ভাষায় বই ছাপার জন্য যখন অক্ষর তৈরির আয়োজন হয়েছিল সেই সময় থেকে সত্যকারের পাশ্চাত্য-রীতিতে শিল্পশিক্ষা শুরু হয়। এই প্রসঙ্গে উইলকিন্স সাহেব ও তার অধীনে শিক্ষিত Fane fara নাম উল্লেখ করতে হয়। কৃষ্ণচন্দ্র মিষ্ত্রী সম্ভবত স্বর্ণকার ছিলেন। উইলকিন্স সাহেবের কাছ থেকে তিনি অক্ষর কাটার কাজ শেখেন ও অল্পকালের মধ্যে নিপুণ কারিগররূপে পরিচিত হন। ক্বষ্ণচনজ্ের কাছ থেকেই তার পুত্র ও জামাতা কাজ শেখেন এবং শ্রীরামপুরে চিত্রিত পঞ্জিকা ইত্যাদি ছাপাতে শুরু করেন। বলা যেতে পারে, ছাপাখানাকে কেন্দ্র করেই বিদেশ শিক্ষা দেশীয় কারিগর-সমাজে প্রচলিত হয়েছিল । অর্থনৈতিক অবস্থার wae করবার জন্য ইংরেজ কর্তৃপক্ষ কারিগরি শেখবার জন্য একটি সমিতি গঠন করেন। আ্যাংলো-ইণ্ডিয়ানদের জন্যই এই সভা প্রতিষ্ঠিত হয়। এই সভার অবদান, এবং শিল্পবিদ্যালয় নাম দিয়ে যে প্রতিষ্ঠান শুরু হয় তা থেকে কলকাতা শহরে শিল্পশিক্ষার পত্তন হল বলা চলে । তৎকালীন বিখ্যাত ধনী হীরালাল শীলের বাড়িতে এই স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়। এই স্কুলে হিন্দু মুদলমান আ্যাংলো-ইণ্ডিয়ান সকল রকমের ছাত্রই প্রথম নেওয়া eal কিন্তু হঠাৎ ছাত্রসংখ্যা বৃদ্ধি না পেয়ে ক্রমে ক্রমে হ্রাস পেয়েছিল। সে সময়ে শিল্পবিষ্ঠালয়ে কী কী বিষয় শিক্ষা দেওয়া হত তর একটা তালিকা দেওয়া গেল :



Leave a Comment