চিত্রকর | Chitrakor

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
চিত্রকর " ছ্াড়ি-কলসি-জাল।--সেধানে আমি সহজে ঢুকি না আরশোলার ভয়ে ৷ চৌবাচ্চার কাছে যেতে ভয় কেঁচো-কেন্নোর | ছাতের ওপর দাদাদের পড়বার ঘর। আমার ' ডাক্তার দাদার ঘরের এখানে-সেখানে মানুষের হাড়, দেওয়ালে টাঙানো কেশব সেনের ছবি, জানলার ধারে বড় একখানা আয়না | এঘরে ঢুকতে আমার ভয় করে না। কিন্তু সম্ধেবেলা রাস্তার আলো জ্বললে বাইরে নারকেল গাছের পাতার ছায়া আয়নার ওপর যখন FCS থাকে তখন আর আমি সেথরে দাঁড়াতে পারি না। দিনের বেলা এক তলার কেঁচো-কেন্নে৷ আর আরশোলা, আর Acasa ওপর তলায় নারকেল গাছের ছায়। -এইরকম ঘরে ও WH ভয় জমাট হয়ে থাকত এবং আমার শৈশবের অনেক গুলো দিন জড়দড় ক'রে রেখেছিল | আকাশে বিরাট ধুমকেহচু উঠেছে। প্রত্যেক বাড়ির ছাতে ছেলে বুড়ো, মেয়ে- জোয়ান জমা হয়েছে ধূমকেতু দেখতে। ভয় এবং fray মিলে কি প্রচণ্ড শক্তির ge হয় তার প্রথম পরিচয় আমি পেলাম আকাশে ধূমকেতু দেখে । বাবা, দাদা সকলেই জিজ্ঞাসা করেন, ‘cota কিসের ভয় ?”” বলতে পারি নি কিসের ভয়, কিন্তু ধূমকেতুর্‌ দিক থেকে চোখও ফেরাতে পারি নি। ছেলেবয়সের আরো| অনেক কথা মনে পড়ছে, কিন্তু কোনটা প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা ও কোনটা অপরের কাছে ধার করা, আজ তা Seat করা অসম্ভব | ছেলেবয়সের বিশেষ একটি দিন আমার মনে পড়ে। QI ওপরের ঘরে আমি একাগ মনে দাদাদের একখানি ইংরেজি খাতা থেকে নকল SAR | অক্ষরগুলো উচুনিচু, তাই সবচেয়ে আকর্ষণের বস্তু ছিল। ' 0] 1, অক্ষরগুলো কিরকম উচুনিচু হয়ে চলেছে আর তার নিচে গোল ইঞ্জিনের চাকার মতো হরফ এবং তারই ওপর এধথানে সেখানে ফৌোটা। এই লেখা নিয়ে নিচে এসে মাকে দেখালাম। মা ভারি খুশি। স্কুল কলেজের পর দাদারা বাড়ি ফিরতেই মা উৎসাহ ক'রে আমার IN ভাইদের দেখালেন, বললেন, “ate, ঠিক তোদের মতো ইংরেজি লিখেছে ।” গুরুজ্নের৷ কিন্তু খুশি হলেন all বিরক্ত হয়ে বললেন, Fe wie এরকম ক'রে লিখেছে।” গুরুজনদের কথা ব্যর্থ হবার নয়, তাই তাঁরা যা বলেছিলেন তাই ঘটেছে। আমি ওই রকম উচুনিচু লাইন আর ফোটা সাজিয়েই ৭১ বছর বয়স কাটালাম। শৈশবের যে অংশ ঝাপসা! আলোয় ঢাকা সেই অংশের আরো ছু-চার Fal মনে পড়ে। আমাদের বাড়ির আর এক অংশে যারা থাকতেন তাঁদের সঙ্গে আমাদ্দের



Leave a Comment