বইয়ের লেখক
বইয়ের আকার
36 MB
মোট পৃষ্ঠা
530
ধরণ
For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)আরোগ্য-নিকেতন > Wifes কথাগুলি | একটা দীর্ঘথনিশ্বাস ফেললেন fora | কত মুত্যু, কত কান্না, কত নীরব মর্মান্তিক শোক তিনি দেখেছেন। রোগীর Haars
ঘটেছে--তিনি ভারী পায়ে স্থির পাক্ষেপে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এমেছেন। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত
চেষ্টা তিনি করেছেন, কিন্তু জেনেই ca, চেষ্টা ব্যর্থ হবে। মনকে প্রস্তুত রেখে করেছেন;
এমন রোগীর বাড়ি থেকে চলে আসতেন-_-ভাবতে তাবতেই পথ চলতেন। তখন পথে অতি
অস্তরঙ্গ-জনও চোখে পড়ত না। রোগের কথা, চিকিৎসার কথা ভাবতেন; কখনও কখনও
মৃত্যুর কথাও তাবতেন। মশায়ের ভাবনামগ্ন চিত্ত তখন বিশ্বলোক থেকে দৃষ্টি ফিরিয়ে
চিকিৎসা-বিজ্ঞানের পাতার পর পাতা উলটে যেত। তাই বাইরের দৃষ্টিপথে মানুষ পড়েও পড়ত
AV) বহু ক্ষেত্রে, বিশেষ করে দুরের গ্রামে, রোগীর মৃত্যুর পর বাধ্য হয়েই সেখানে প্রতীক্ষা
করতে হত; শোকবিহ্বল পরিবারটির মধ্যে বসে থাকতেন অচঞ্চল হয়ে, গুমোটে ভরা
বায়ুপ্রবাহহীন গ্রীগ্ম-অপরাহ্নের fer বনস্পতের মতো। লোকে এই সব দেখে ডাক্তারদের
বলে থাকে--ওরা পাথর। খুব মিথ্যে বলে না Salt পাথর খানিকটা বটে ডাক্তারেরা।
মৃত্যু এবং শোক দেখে চঞ্চল হবার মতো মনের বেদ্লাবোধও নষ্ট হয়ে যায়। মনে খাটা
পড়ে; সাড় হারিয়ে যায়। “MCSA মৃত্যু-রোগে মৃত্যু সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে ঘোষণা করতে
গিয়ে আঘাত তিনি পেয়েছেন কিন্তু চিকিৎসকের কর্মে কর্তব্যে ত্রুটি তিনি করেন নি। তার
নিজের পুত্ব--। আবার একটা দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে বিষ হাসি হাসলেন । নিজের পুত্রের হাত দেখেও তিনি
তার মৃত্যু ঘোষণ! করেছিলেন | তিন মাম আগে থেকেই বুঝতে পেরেছিলেন তিনি | একথা
তিনি তার স্ত্রীকে বলেছিলেন। ছেলে ছিল ডাক্তার, তাকেও ইঙ্গিতে বুঝিয়েছিলেন। আজ
ভাবেন--কেন বলেছিলেন একথা 1 চিকিৎসা-বিদ্তায় পারঙ্গমতার "US ? তাই যদি না হবে, সত্যকে ঘোষণা করে মনের কোণে আজও এমন বেন] অন্ুশোচন1
সঞ্চিত হয়ে রয়েছে কেন ? ওই স্মৃতি মনের মধ্যে জেগে উঠলেই একটি “ছি-ছি-কার” wary
THEA থেকে বেরিয়ে আমে কেন? TATA মাধব'কে মনে পড়ে না কেন? উদ্বাস দৃষ্টি
তুলে মশায় তাকিয়ে থাকেন আকাশের নীলের দিকে। অথচ জানাতে হয়, বলতে oF |
তার বিধি আছে। চিকিৎসকের কর্তব্য সেটা। তার ক্ষেত্র আছে। এক্ উনিশ শে পঞ্চাশ সাল--বাংলা তের শে ছাগ্পীন্ন সালের এক শ্রাবণ-অপরাহ্ণে জীবনমণায়
এমনি করেই তাকিয়ে ছিলেন আকাশের দিকে। পথের উপর থেকে কেউ যেন তাকে
ডাকলে |