বন্দে মাতরম : প্রেরণা ও বিতর্ক [সংস্করণ-১] | Bande Mataram Prerana O Bitarka [Ed. 1]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
ভূমিকা ৯ অধিবেশনে স্বর্ণকুমারী-দুহিতা সরলা দেবী ও Sra মহিলা সহশিল্পীবৃন্দ সমস্বরে 'বন্দে মাতরম্‌” গানটি করেন। এই গান শুনে সমবেত সকলেই মুগ্ধ হয়ে গেলেন এবং তাঁদের হৃদয়ে এক অভূতপূর্ব ভাবধারাও প্রবাহিত হল। এদিকে স্যার শুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায়, সুরেশচন্দ্র সমাজপতি সভায় বন্কিমচন্দ্রকে “বন্দে MSA মন্ত্রের ঝষি বলে প্রচার করলেন। অরবিন্দ ঘোষও (পরে শ্রীঅরবিন্দ) লিখে এবং ASO BARI CHA খষিত্বের ও ACH MSA’ AAA ব্যাখ্যা করে বোঝাতে লাগলেন। ভবিষ্যৎদ্রষ্টা বঙ্কিমচন্দ্র তার বঙ্গদর্শন প্রেসের পণ্ডিত মহাশয়, বৈবাহিক ওঁপন্যাসিক দামোদর মুখোপাধ্যায় প্রভৃতিদের কাছে একাধিকবার বলেছিলেন যে, “এই বন্দেমাতরম্‌ গান নিয়ে বাঙালী একদিন মেতে GI) এতদিনে তা অক্ষরে অক্ষরে ফলল। বঙ্গভঙ্গরদ আন্দোলন চলেছিল ১৯১১ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত এবং শেষ পর্যন্ত বঙ্গবাসী বঙ্গভঙ্গ রদ করতে সক্ষমও হয়েছিল | এই বঙ্গভঙ্গ রদ আন্দালনের সময়েই বাঙালি “বন্দে মাতরম্‌* শব্দকে দেশাত্মবোধের বীজমন্ত্র হিসাবে এবং বন্দে মাতরম্‌ সঙ্গীতকে জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে গ্রহণ করেছিল। এই সময় থেকেই ভারতের জাতীয় কংগ্রেসও “বন্দে MSA ধ্বনি এবং “বন্দে মাতরম্‌* সঙ্গীত গ্রহণ করল। তবে বঙ্গভঙ্গের সময় বাঙালি যেমন ATH ASAT’ নিয়ে মেতে উঠেছিল, কংগ্রেসও তেমনি মহাত্মা গান্ধির নেতৃত্বে ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে যখন অসহযোগ আন্দোলন আরম্ভ হল তখনই সমগ্র ভারত “বন্দে মাতরম' ধ্বনি ও সঙ্গীত নিয়ে মেতে উঠেছিল। স্বাদেশিকতার বীজমন্ত্র হিসাবে “বন্দে মাতরম্‌* ধ্বনি এবং জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে ACH মাতরম্‌' সঙ্গীত বছ বছর ধরে কংগ্রেসে চলে আসতে লাগল। হঠাৎ ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দে কয়েকজন স্বার্থান্বেষী মুসলিম লিগপন্থী মুসলমান ধুয়া তুলল যে, “AHH মাতরম্‌ সঙ্গীত পৌত্তলিকতাগঞন্ধী। CHO মধ্যে অনেক মুসলমান থাকায় তাঁদের প্রতি লক্ষ করেই, সত্যিই বন্দে মাতরম্রে মধ্যে কোথাও পৌত্তলিকতার ইঙ্গিত আছে কিনা, সে সম্বন্ধে কংগ্রেসও বিশেষভাবে চিন্তা-ভাবনা শুরু করে দিল। কংগ্রেসের মধ্যে কেউ কেউ “বন্দে মাতরম্‌*কে পৌত্তলিকতা val বলে স্বীকারও করলেন। এমনকি স্বয়ং রবীন্দ্রনাথও বন্দে মাতরম্‌ সঙ্গীতকে পৌস্তলিকতাগন্ধী বলে অভিমত দিলেন। সেই সময় বাংলার অনেক সাহিত্যিকের সঙ্গে ব্রাহ্মধর্মাবলম্বী রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় কিন্তু “বন্দে মাতরম্‌* সঙ্গীতের মধ্যে যে পৌত্তলিকতার গন্ধ নেই এমত প্রকাশ করেছিলেন। যাইহোক কংগ্রেসের বিচারে শেষ পর্যন্ত 'বন্দে মাতরম্‌* পৌত্তলিক্কতাগন্ধী বলে স্বীকৃত হয়। অবশেষে ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দে হরিপুর কংগ্রেসে “ACH মাতরম্‌” সঙ্গীতের সমস্ত শেষাংশ বাদ দিয়ে মাত্র প্রথমাংশটাকে জাতীয় সঙ্গীতরূপে গ্রহণ করা হবে স্থির হল। এতদিন “সপ্তকোটি' ও “দ্বিসপ্ুকোটি Ste’ এর বদলে সর্বভারতীয়-র উপযোগী করে 'ত্রিংশকোটি কণ্ঠ ও দ্বিত্রিংশকোটি ভূজৈ' করা বন্দে মাতরম্-২



Leave a Comment