বইয়ের লেখক
বইয়ের আকার
25 MB
মোট পৃষ্ঠা
415
ধরণ
For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)সুলেখা সান্যাল :জীবন ও সাহিত্য
তরুণ সান্যাল জীবনের ঘটনা কখনও কখনও কপোলকল্পনাকেও ছাড়িয়ে যায়, নইলে সাধারণ
মধ্যবিত্ত পরিবারে জাত সুলেখা সান্যালের জীবন এত আশ্চর্যজনক হবে কেন।
বহুবার আমার মনে হয়েছে, তার সৃষ্ট নায়িকাদের সঙ্গে তার চরিত্র ও জীবনের
বহু মিল আছে, তার সাহিত্য যেন আত্মজীবনীমূলক। তবুও শিল্পকে যদি জীবনের
চেয়ে বড়ো বলেও মান, সূলেখা সান্যালের ব্যক্তিজীবনের পাদপীঠে তাদের ম্লান
বলেই মনে হবে। বিশেষত তার ১৯৫৮ সালের পরবর্তী রচনাসমূহে এত বেশি
পরিচিত মানুষের মিছিল দেখা গেল যে আমি সুলেখা সান্যালের সঙ্গে অত্যত্ত
ঘনিষ্ঠভাবে পরিচিত ছিলাম বলেই তাঁদের সাম্প্রতিক সাহিত্যকর্মকে প্রায়
আত্মজীবনী রচনা বলে মনে হয়েছে। এসব কথা আজ Aine মনে পড়ছে, তথাপি
যাঁকে সুলেখাদি' বলে ডাকতুম সেই অতি পরিচিত লেখিকাকে অনেক লেখক-
লেখিকাদের থেকে তফাৎ করে দেখতে আমি অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি। তিনি জীবনের
শেষদিকে কলকাতার পরিচিত সাংস্কৃতিক সমাজ থেকে এত দূরে এবং এত
বিচ্ছিন্নভাবে বাস করতেন যে নানা সংঘর্ষ ও নিন্দা-প্রশংসার বাইরে সাহিত্যকর্ম,
কেবলমাত্র জীবন ও সাহিত্যের জন্য বেঁচে থাকতে, তিনি মৃত্যুর কৃষ্ণ যবনিকার
মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আশ্চর্য মানসিক শক্তি নিয়ে আত্মপরীক্ষা দিয়ে গেলেন। শ্রীযুক্তা
সুলেখা সান্যাল দুরারোগ্য লুকোমিয়া বা রক্তের SEG রোগে মাত্র ৩৫ বছর বয়সে
বর্ধমানে তার পিত্রালয়ে, গত ৪ ডিসেম্বর মধ্যরাত্রে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। সাহিত্যকর্মীর সাহিত্যই তার একমাত্র পরিচয়, এ-কথা মেনে নিয়েই আমরা
বলব, সাহিত্যিকের সৃষ্টিতে তার আত্মজীবনের বছ ঘটনার বিশ্বন দেখা যায়।
সুলেখা সাম্যালের অধিকাংশ রচনাই আত্মজীবনীমূলক একথা পূর্বেই উল্লেখ
করেছি। যে ভাগ্যের সঙ্গে দ্বৈরথে SA সান্যাল পরাজয় স্বীকার করেননি; সেই
ভাগ্য যদি পুরুষশাসিত--কী প্রচলিত, কী প্রগতিশীল-_সংস্কৃতিসেবীদের বিচারের সুলেখা সান্যালের তিরোধান ঘটে ১৯৬২ সালের ৪ ডিসেম্বর। ১৬