রহস্যভেদী বাসব [খণ্ড-১১] | Rahasyabhedi Basab [Vol. 11]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
দু'পাশে ছিল জঙ্গল। মাইল দুয়েক থকে রাস্তা! ঘন ঘন মোড় নিয়েছে। এক ধারের জঙ্গলও সরে গেছে অনেক দূরে। এখন প্রাকৃতিক খাদ রা স্যার পাশে পাশেই চলেছে। দ্রুতগতিতে গাড়ি চালাতে গেলে অবধারিতভাবে খাদে পড়তে হবে। অধিকাংশ যাত্রীর শঙ্কিত দৃষ্টি ঘনঘন জানলার দিকে ফেরাচ্ছেন। তাদের মনের ভাব এই বুঝি দুর্ঘটনা ঘটে গেল। সোমনাথ বাইরেব দিকে তাকাচ্ছে না। সে এক- আধনার দেখে নিচ্ছে সামনের সীটে বসা তরুণীকে। পিছন থেকে সমস্ত মুখ চোখে ধরা দেয় না। মুখের একপাশ দেখা যাচ্ছে শুধু। দীপক সোমনাথকে লক্ষ্য করছিল। চাপা গলায় বলল, কি দেখছ? কি আবার দেখব? দেখছ বৈকি! সুন্দর জিনিসের দিকে অবশ্য তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে করে। তবে... এই মেয়েটি আমাদের কলেজে একদিন এসেছিল। প্রথমে অবশ্য বঝতে পারিনি। মৃদু হেসে দীপক বলল, তাই বার বার দেখে সিওর হয়ে নিচ্ছিলে? তুমি ঠাট্টা করছ! বিলিভ মী, আমি একদিন প্রিন্সিপালের ঘরে pre দেখি... মেয়েটি দীড়িয়ে রয়েছে। এতে আশ্চর্য হবার কিছু নেই। আডমিশন সংক্রান্ত বিষয়ে হয়তো অনুসন্ধান করতে এসেছিল। হতে পারে। তুমি মণিময় "সান্যালকে চেনো? না। কে তিনি? তরুণীর পাশে অর্থাৎ ঠিক তোমার সামনে যিনি বসে আছেন, উনিই হলেন মণিময় সান্যাল! অতি set প্রকৃতির' লোক। তৃমি বারে বারে তার পার্শ্ববর্তিনীর দিকে তাকাচ্ছ বঝতে পারলে CTSA বাধিয়ে দেওয়া অসম্ভব নয়। জ-কৃচকে সোমনাথ বলল, এই ধরনের লোককে দলে নেওয়া তোমার উচিত হয়নি-_ আহা-হা, তৃমি যা ভাবছ তা নয়! গুণ্ডামী করে বেড়ানো ওর পেশা নয়। ধনী ব্যবসাদার লোক-_-আসল কথা হল, আঁতে ঘা লাগলেই ABA করে ওঠেন। পরিমল মুখার্জির গলা পাওয়া গেল। পার্থবাব, আপনি তো কিছু বলছেন না? এতটা পথ সম্পূর্ণ চুপচাপই কাটিয়ে দিলেন, ব্যাপার কি মশাই? পার্থ HATS) সত্যি চুপচাপ আছেন। MAG! ভাবে মাঝে মাঝে যে আলাপের সূত্রপাত হচ্ছে, তাতে তিনি মোটেই (যোগ caf) জানলার বাইরের সঁদকেই তার দৃষ্টি, প্রসারিত | এক শ্রেণীর মান্য দেখা যায়, যাদের বয়স অনুমান করা রীতিমত কঠিন! পঁয়ত্রিশও হতে পারে, আবার পঞ্চান্নও হাতে পারে। mel চক্রনতী সেই জাতীর প্রুষ। তবে যাটের কোঠায় প৷ (দেননি এটা ঠিক। মুখে শ্রী saree ঢোখে মোটা ফ্রেমের ওয়াইন কালারের ঢশমা। তাবুক প্রকতির। ছবি আঁকা অভ্যাস আছ. ঘথঢ পেশায় তিনি রেডিও এঞ্জিনীয়ার | ১৬



Leave a Comment