রাঢ়ের সংস্কৃতি ও ধর্ম ঠাকুর [সংস্করণ-১] | Rarher Sanskriti O Dharmathakur [Ed. 1]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
৮০ রাঢ়ের সংস্কৃতি ও ধর্মঠাকুর আওতা থেকেও এ বিমুক্ত নয়। বৈদিক stay care গুপনিষদ্‌ ভাববাদের রসে এই গ্রাম- দেবতাটিকে আচারবহুল পুজার মাধ্যমে সঞ্জীবিত করে অদ্যাবধি টিকিয়ে রেখেছে | রাঢ়-ঝাড়খণ্ডের সংস্কৃতির তুলনামূলক আলোচনা প্রসঙ্গে একদ। আমি বলেছি, “ওরাও দের “ধর্মে-পূজা লক্ষণীয় ব্যাপার। শরৎচন্দ্র রায় মহাশয় ANAT করিয়াছেন, ছোটনাগপুরের ওরাগঁ জাতি যে ‘are বা ধর্মদেবতার পুজা করেন, ভগবানের সেই নাম বৌদ্ধদের নিকট হইতে গৃহীত | তাহার মতে, বিহার হইতে এই “ধর্মে' নামটি আসিয়াছিল ৷ কিন্তু মনে রাখা দরকার, বুদ্ধদেবের “ধর্ম নাম হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মহাশয়ের সাম্প্রতিক আবিষ্কার মাত্র । পক্ষান্তরে, দ্রবিড়-ওরাগঁদের “'ধর্মে-ঠাকুর-_'বিড়িবেলাস” বা নৈরাকার স্র্য-দেবতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সুর্য-ধর্মের পদ্ম ও কুর্ম-পীঠের কল্পনা, নিঃসন্দেহে এদেশের আদিবাসিন্দা ভ্রবিড়-কোলদের দান। TOS ধর্মদেবতাবিশেষের “ARGH কোলা” নাম, এই দৃষ্টিতে তাৎপর্যময়। ওরাওঁদের ধর্মে- দেবতার স্ত্রী AASB সীতা । শ্বেতছাগ ও শ্বেত-কুক্কুট তাহার প্রিয় বলি । মদ, দুধ, আতপ চাউল তাঁহার প্রিয় উপচার | অস্ধ-কুষ্ট-ক্ষত নিরাময় করেন ওরাগু-মুণ্ডাদের ধর্মঠাকুর । “হারে বা “কচ্ছপ”-কুলের ওরাওঁদের মুণা-পাহানের পুজায় তাহার পরিতুষ্টি। তাহার পুরাণ-কাহিনী একদিকে যেমন VAS TA ও পুরাতন লৌহযুগের লৌহজীবী বা cafes ব্রাত্য অস্ত্র- বিনাশনের afeafes, অন্যদিকে, “দিক্ডাক”-সমেত তাহার পুজাপদ্ধতি ও মৌলিক ভাবরূপেও যথেষ্ট ত্রুম-বিবর্তন লক্ষিত হয়। এমন-কি, তাহাডে গুপনিষদ্‌ প্রতিধ্বনি অতি স্থস্পষ্ট।---“বাবা বাবা বাদর হারে oral, বাবাস্‌ নামহাই, জিয়ান্ুম রাদস্‌ হারে, tera, বাবাস্‌ নামহাই STU AHA, “বাবা “Ata Aes হারো, ধর্মে বাবাস্‌ faatay রাদস্‌ ।*-_অর্থাৎ হে ভাই, তুমি মুখে ভগবান্কে “বাবা” “বাবা” বলিয়া ডাকিয়া থাক; কিন্তু, সেই 'বাবা” তোমার প্রাণের ভিতরেই আছেন, [ কুর্মরূপী ] “ধর্মে বাবা” তোমার শরীরের ভিতরেই আছেন ।-_বলা বাহুল্য, এই “ধর্মে বাবা” বুদ্ধদেব কদাচ নহেন। ইনি পরমেশ্বর, এবং ব্রহ্মা বিষ্ণু মহেশ্বরের জনক-_দীপক বাঘ ও অজগর-নাগ-বাহুন আদ্দিদেব ধর্মদেবতা। পক্থর ঘোড়া, মহিষ, বাঘ, সাপ, মশা, শ্ে্বেতমাছি পরিবৃত, “নওয়া-চেতি”-পুজায় পরিতৃপ্ত, ধানচাযী শিব-ধর্মের স্বরূপ রাঢ়ীয় কোল-দ্রবিড় সভ্যতার বিবর্তনের মধ্যেই নিহিত আছে। ইহাতে [ কেবল ] “বোধি- ধর্মের? প্রলেপ-লেপন, কল্পনাবিলাসমাত্র।--( পুঁথে-পরিচয়, তৃতীয় খণ্ড, ১৩৬৯, ভূমিকা, 948] ৩৭-৩৮)। মুদ্রিত ধর্মপুজাবিধান' ও “ধর্মপুরাণ'-গ্রন্থমালায় ধর্মচাকুরের স্বরূপ-সম্পর্কে যে-সকল প্রকাশ্য ও সংগুপ্ত ইঙ্গিত রয়েছে, বা শাসনদেবতাসমেত ধর্মঠাকুরের পুজা-পদ্ধতিতে যে-সমস্ত পুরাতন রীতি-নীতির বিধি-বিধান দেওয়া রয়েছে, সেগুলি নিঃসন্দেহে aM শতাৰ কালের জাতীয় সংস্কৃতির এতিহাসিক পরম্পরার ইঙ্গিতবাহী aise stay খোলস ছাড়িয়ে সে- গুলিকে ধৈর্ষয-যসহকারে পাঠ ক'রে পু্খাহপুজ্খরূপে বিচার করা উচিত । এ ছাড়া, ধর্মঠাকুরের পুজা-পদ্ধতি, পুরাণ-কাহিনী এবং ধর্মমঙ্গল-সাহিত্যের অপ্রকাশিত বহু দলিল-দস্ডতাবেজ এখনও পাঙুলিপির আকারেই রয়ে গেছে। সেগুলি নিবিষ্ট মনে পাঠ করে বুঝতে চেষ্টা করলে তা



Leave a Comment