বাংলা পাণ্ডুলিপি পাঠপরিক্রমা | Bangla Pandulipi Pathparikrama

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
৮ বাংলা পাগুলিপি পাঠপরিক্রমা খোদিত বিভিন্ন প্রতীক (যেমন হস্তী, সূর্য, ছটি বাছবিশিষ্ট চিহ্ন, ওপরে জোড়া মাছসহ জলাশয় ও নিচে পর্বত, পর্বতের ওপর খরগোশ ও যীড়, স্বস্তিক, ত্রিশ্ল, বক্ররেখা, নৌকা, শকটচিহ্, পর্বত শীর্ষে চন্দ্র) এদেশে লৌকিক সমাজে প্রধানতঃ ধর্মীয় আল্পনায় আজও ব্যবহৃত হয়, সাঁওতালী কুটিরের ফ্রেসকোতেও দেখা যায় | পশ্চিমবঙ্গের বহু প্রত্নস্বল থেকে অনুরূপ চিত্র খোদিত ভগ্ন মৃৎপাত্র, পোড়ামাটির ফলক ও মুদ্রা পাওয়া গেছে | বিশেষতঃ দক্ষিণবঙ্গের নদী ও HW SATS] অঞ্চল থেকে প্রাপ্ত পুরাবস্তুতে বর্ণমালার পাশাপাশি যুপ, নৌকা, শস্যের শীষ, শঙ্খ, স্বস্তিকচিহ্ন দেখা গেছে । এশিয়াটিক সোসাইটিতে রক্ষিত উত্তরপ্রদেশের সৌহগৌড়া তাম্রলিপিতে (Ae পুঃ ৩য় শতক) অঙ্কিত চিহৃগুলিও তো অনুরূপ প্রাচীন ভারতীয় চিহ্ন | ভূমধ্যসাগরের ক্রীট দ্বীপে প্রাপ্ত প্রত্ননিদর্শনের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের thy রাজার টিবি, তমলুক, হরিনারায়ণপুর ইত্যাদি স্থানের প্রত্ননিদর্শনের সাদৃশ্য তো এদেশের প্রত্নতান্ততিকদের এই সিদ্ধান্তে অনুপ্রাণিত করেছে যে, রাজা মাইনোস ও তাঁর সংস্কৃতি (যেমন মহিযাসুর ও সিংহবাহিনী এক মাতৃদেবী) বাংলাদেশ থেকেই গেছে হয়তো । তারা দু'ধরণের চিত্রলিপি ও রেখা ব্যবহার করত মূলতঃ বাণিজ্যিক লেনদেনের হিসেব লিখতে | প্রমাণ পাওয়া গেছে যে, খ্রীঃ পৃঃ ২০০০ OCH ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের সঙ্গে বাঙালীদেরও যোগাযোগ ছিল নিবিড় (দ্র- Pre history and beginings of civilization in Bengal. A. K. Sur, 1970, p. 11 ) | পূর্বভারতের প্রাচীন বণিক 'কলিত থেকে ক্রীটের নামকরণ হয়েছে হয় তো | তাহলে, সিদ্ধুলিপির Cures বিষয়ে দ্রাবিড় বা আদি ভারতীয় প্রচেষ্টা ও ভূমধ্যসাগরীয় প্রভাব কোনটাকে গৌণ করে দেখা চলে না । যাই হোক না কেন, সিদ্ধুলিপি বিষয়ে দেশী বিদেশী পণ্ডিতদের সিদ্ধান্তগুলি এই রকম ঃ গ মিশরীয় চিত্রলিপির মতো | এগুলি ডান থেকে বামে বা ডান-বাম-বাম-ডান রীতিতে Oss | দ্রাবিড়দের সৃষ্টি, “হিয়েরোগ্লিফিক | whee প্রাণী বা প্রতীকগুলির ব্যাখ্যা পৌরাণিক সাহিত্যে কিছু কিছু দেখা যায় । আর্যরা বেদ রচনার সময় এ লিপি গ্রহণ করে থাকবে | ব্রহ্ম »ব্রাম্মী লিপি | সুতরাং বৈদিকযুগে এই লিপি প্রচলিত ছিল । “ব্রাহ্মণ” spate হয়তো এই লিপিতে লেখা হয় । আচার্য সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে অনার্যালপি Praia’ আর্য-ব্রাহ্মীলিপির জননী (বাংলা ভাষাতত্তেবের ভূমিকা, ১৯৯৬, পৃঃ ৯৭) | @ আবার অন্যদিকে এন. GF. রাজারাম, এম. ডি. কৃষ্ণরাও, এস. আর. রাও, ভগবান সিং, কচ্ছের রাণ অঞ্চলের হরগ্পাকালীন ধোলাবিড়রা প্রত্নক্ষেত্রের উৎখনন আধিকারিক আর. এস. Fay প্রমুখগণের মতে ‘These are the Vedic Aryans who creted both the Vedas and the great material civilization of the people we know call Harappans (‘The Harappan Riddle’, Swami Mukhanandaji, The Sunday Statesman, 17.12.2000) | প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য, স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন, মাদ্রাজের তামিল জাতির “সভ্যতা সর্বপ্রাচীন,যাদের সুমের নামক শাখা ইউফ্রেটিস তীরে প্রকাণ্ড সভ্যতা বিস্তার অতি প্রাচীন কালে করেছিল | তারাই আসিরীয় ও ব্যাবলনীয় সত্যতার ভিত্তি স্থাপন করে | তাদের 'আর একশাখা মলবার উপকূল হয়ে অদ্ভুত মিশরী সত্যতার সৃষ্টি করেছিল , যাদের কাছে আর্যেরা অনেক বিষয়ে খণী, স্বোমীজির বাণী ও রচনা , ৬ষ্ঠ, খণ্ড উদ্বোধন, ১৩৮৮, পৃঃ ৮৫) । এই খযিবাক্যের



Leave a Comment