অগ্রন্থিত রচনা | Agranthita Rachana

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
হইল--_ এখন বকশিষ পাই আর নাই পাই আপনাদের সকলকে সেলাম করিয়া এবারকার সভা হইতে বিদায় লইব। সকল শোতার মধ্যে একটি শ্রোতা অদৃশ্য হইয়া বসিয়া আছেন, তিনি যদি খুসি হইয়া থাকেন ত নিত্যকালের কাছে আমার দাবী রহিয়া গেল-_ কোনো প্রচণ্ড পণ্ডিত বা কোনো wise মূর্খ তাহা মারিতে পারিবে না।” “আমার পালা ত প্রায় শেষ করিবার সময় হইল-_ রবীন্দ্রনাথের সে কালের এ ধারণাটি যে অলীক তার প্রমাণ, এ চিঠি লেখবার পরেই তিনি পদ্যে 'বলাকা* ও গদ্যে ঘরে বাইরে' লিখেছেন। তার পালা শেষ করবার সময় দশ বৎসর পূর্বেও আসেনি, আজও আসেনি, আশা করি আর দশ বৎসর পরেও আসবে না। তারপর তিনি যে-অদৃশ্য শ্রোতাটির কথা বলেছেন, যিনি খুশি হলে নিত্য কালের কাছে তাঁর দাবি রয়ে যাবে, সে অদৃশ্য শ্রোতাটি ভৌতিক জগতের কোন অজানা দেশে বসে নেই, কিন্তু তিনি বসে আছেন প্রত্যেক যথার্থ শ্রোতার অন্তরে। আর আবহমানকাল শ্রোতা-পরম্পরার অন্তরে সে শোতাটি অদৃশ্য ভাবে অধিষ্ঠান করবেন এবং রবীন্দ্রনাথের বাণী শুনে তিনি নিত্যকাল খুশি হবেন। প্রচণ্ড পণ্ডিত ও দাস্তিক মূর্খেরা যে তাহা মারিতে পারিবে না, এ কথা এতই সত্য যে তা বলাই বাছল্য। ও-জাতীয় বীরপুরুষরা যদিচ কিছুই মারতে পারে না, তা হলেও জীবনে ও মনে যা কিছু সত্য ও সুন্দর, তাকে মারতে তারা নিয়ত ঘোর চেষ্টা করে। বোধ হয় তাদের স্বধর্মমত হচ্চে এই, ফলে তাদের কদাচন অধিকার না থাকলেও কর্মে তো আছে। THAT ফল, সকলেরই সকল কর্মে যে অধিকার আছে, এমন কথা আর যে-শাস্ত্রেই বলুক, গীতায় বলে না। এ মতটা হচ্চে একেলে ডিমোক্রাটিক এবং এই ডিমোক্রাটিক যুগে এ হেন কথার প্রতিবাদ করা কঠিন। তবে সত্যের খাতিরে এ কথাটা স্বীকার করতে বাধ্য হচ্চি যে কাউকে প্রচণ্ড ভাবে ও দাস্তিকতা সহকারে অনধিকারচর্চা করতে দেখলে আমার হাসিও পায়, aera ধরে। এই হাসি, এই বিরক্তিই হচ্চে বীরবলী লেখার প্রাণ। এই বিরক্ত হাসি হচ্চে এক রকম সাহিত্যিক অস্ত্র। সে অস্ত্র যার গায়ে পড়ে, তার পাণ্ডিত্য ও মূর্খতা OPA থাকলেও তার প্রচণ্ডতা ও দাস্তিকতা কতক পরিমাণে নিস্তেজ হয়। আপনার জানা আছে যে, রবীন্দ্রনাথের কাব্যের আততায়ীদের দেহে এ অস্ত্র নিক্ষেপ করতে আমি কখনও কুষ্ঠিত হই atl আপনার পূর্বোক্ত ইচ্ছাদ্বয়ের ALAA অন্তর্নিহিত কারণ হচ্চে আপনার এই পূর্বজ্ঞান। যীরা রবীন্দ্রনাথের বাণী- যজ্ঞের বিস্নকারী, যে-অস্ত্র দিয়ে তাদের উপদ্রব শাস্ত করা যায়, সেই অস্ত্র কি ইচ্ছামতো বীণাযস্ত্রে পরিণত করা যায়? Ana তার অবশ্য লোকের গায়ে ফোটানো যায অর্থাৎ সে তারকে ছুঁচ করা যায়ঃ কিন্তু ছুঁচকে বীণার তার কিছুতেই প্রমথ চৌধুরী 1 অগ্রনষ্থিত রচনা।। ১৬



Leave a Comment