রহস্য সপ্তক | Rahasya Saptak

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
১৬ Ly AGH নীল আর ওখানে অপেক্ষা না কবে ভেতর-বাড়ির দিঁকে পা বাড়াল। পিছন পিছন আমিও চলে GAT | দরজার মুখেই আর একজন কনস্টেবল আমাদের পথরোধ করল,-_অন্দর যান মানা হ্যায়, বাবুজি। মৃদু হেসে নীল জিজ্ঞেস কবল.--কৌন মানা কিয়া? ইন্সপেক্টব সাহাব তো? —S} হাঁ। Fea হ্যায়, বলে নীল পকেট থেঞে একটা কার্ড বেব কলে কনস্টেবলের হাতে দিয়ে বলল, এটা আপনার ইল্সপেক্টরকে পৌছে দিন। কনস্টেবলটি সেটা হাতে নিয়ে যখন কি করবে ভাবছে, অর্থাৎ গেটে সে একা। BAA হুকুম না পেলে গেট ছেড়ে যাবার উপায় নেই তান, অথচ নীলের হ।বভাব আব চেহারা দেখে তাকে খুব একটা ফালতু ভেবে উড়িয়েও দিতে পাবছে না, এমন সময ভেতর থেকে একজন যুবক এগিয়ে এসে নীলকে জিজ্ঞেস করলেন, -__আপ মানে আপনাদের তো ঠিক চিণলাম না। কোথা থেকে আসছেন? আসলে আজ এ বাড়িতে একটা মিসহ্যাপ হযে গেছে, তাই, কনস্টেবলের হাত থেকে কার্ডটা ফেরত নিয়ে নীল,সেটা যুবকটির হাতে দিয়ে বলল,-_আমি জানি। আপনি কাইন্ডলি এটা ইন্সপেন্টরের হাতে দিযে fer) তাহলেই হাবে। যুবকটি কার্ডটা নিয়ে চোখ বুলিয়েই নলে উঠলেন,--আই Fy আপনিই মিস্টাব নালাগান ব্যানার্ডি? একটু আগে মিস্টার Pl আপনাকেই ফোন কর্বেছিলেন? ঘাড় কাত করে নীল সম্মতি জানাল। OFA, আসুন আমাব সঙ্গে । উনি আমাকে বলে বেখেছিলেন আপনি এলেই ওপরে নিয়ে যেতে | তারপর কনস্টেবলকে উদ্দেশ করে এণলেণ,--একে ছেড়ে fire হবে। ইনি আপনাদের সিন্হা সাহেবের লোক। কনস্টেবলটি একবার নীল আর একবাব ona দিকে wifey are ছেড়ে দিল। সাদা সাবেকি পাথরের সিঁড়ি বেয়ে উপবে উঠতে উঠতে একটা অদ্ভুত থমথমে নিস্তব্ধতা অনুভব করলাম। এত বড় বিয়ে-বাড়ি। লোকভানও নেহাঙ মল হয়নি। কিন্তু কোথাও কোন সাড়াশব্দ নেই। চিৎকার-টেঁচামেচি দূরের কথা, মানুষেব পাযেব শব্দগুলোও যেন থেমে 'গেছে। অদ্ভুত একটা চাপা বিষণ্নতা মাঘের এই ভরা তিথব Pata) রাতকে (য়ন হত্যা করেছে বলে মনে হল। দোতলার লম্বা বারান্দা পার হতে, হতে দেখলাম, প্রত্যেকটা ঘরেই পর্দা ফেল৷ রযেছে। কয়েকজন উৎসাহী মহিলার মুখ ক্ষণিকেব জনো পর্দায় এসে দেখা দিয়েই লুকিয়ে গেল। তিনতলার সিঁড়ির মুখেই দেখি একটি পাঁচ-ছ বছবের ফুটফুটে ছেলে। অবাক চোখে সে আমাদের দিকে তাকিয়ে ছিল। সামনের যুবকটিকে দেখতে পেয়েই ছেলেটি 'বাপি' বলেই ছুটে এসে ভাড়িয়ে ধরল। --না বাপি, এ রকম কোর না। তুনি এখন মণির কাছে যাও। সিঁড়ির পাশেই একটি ঘরের দরজা খুলে চবিবিশ-পচিশ এছব বযেসেব এক YAS) বধূ বেরিয়ে এসে বাচ্চাটিকে কোলে তুলে নিয়েই ভেতরে চলে গেলেন। তিনতলার সিঁড়িতে পা দিতেই চাপা Baa আওয়াজ পেলাম। এই প্রথম শোকের বহিঃপ্রকাশ। এতক্ষণ ছিল ঝড়ের পূর্বাভাস। একটা থমথমে ভাব। ঝড় যে AA গেছে তার প্রমাণ এই কান্না। কিন্তু উৎথ্থাল-পাতাল নয়। চাপা। সংযমে বেঁধে রাখার চেষ্টা। আওয়াজটা যে কোন ঘর থেকে আসছে বুঝতে পারলাম না! নীল ততক্ষণে অনেকগুলো ধাপ উপরে উঠে গেছে। অগত্যা আমিও তিনতলায় চলে এলাম। ঘরে পা দিয়েই সর্বনাশের সংকেত পেলাম। | APA ফলটূল দিয়ে সাজানো হয়েছে। দারুণ মিষ্টি একটা সুবাস ঘরের সর্বত্র ছড়ানো থাকলেও বুঝলাম, মৃত্যুর বাতাস একটু আগেই এই ঘরের মধ্যে দিয়ে বয়ে গেছে। এক মুহূর্তের জন্য হলেও নীল থমকে দাঁড়ালো। আমার মতোই ও এতক্ষণ নীববে সব কিছু দেখতে দেখতে আসছিল। যে যুবকটি আমান্দর নিয়ে আসছিলেন, তিনি এগিয়ে গিয়ে সোফার ওপর নিবিষ্টচিত্তে বসে থাকা সিংহীমশাইয়ের কানে কানে কিছু বললেন। ভদ্রলোক এ মোটা শরীরেও তড়াক



Leave a Comment