For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)ভারতের সাধুবাদ পাইয়াছেন, মণিপুরের সেই অদ্বিতীয় পণ্ডিত শ্রীযুক্ত আতোমৃবাপু শর্মা
সাহিত্যরত্ন পন্ডিতরাজের নাম এই সম্পর্কে সর্বপ্রথম শ্রদ্ধার সহিত উল্লেখযোগ্য | মণিপুরের দেব-কথা ও মণিপুরের ইতিহাস, কি ভাবে হিন্দু ভারতীয় দেব-কথা ও ইতিহাসের
সহিত মিলিত হইয়া গিয়াছে, কিভাবে মণিপুরের দেব-কথা ও এঁতিহ্যের টানার উপরে
ভারতীয় মিশু আর্য্যানার্য্য হিন্দুদের দেব-কথা ও এঁতিহ্যের পড়িয়ান আনিয়া, মণিপুরী
হিন্দুত্বের অভিনব ধুপছায়া বস্ত্র বয়ন করা হইয়াছে, তৎসম্বন্ধে কিঞ্চিৎ আলোচনা করা
যাইতেছে। এই ভাবে, মিশ্র মণিপুরী (মেইতেই বা কুকি-চিন) ও হিন্দু-শাস্ত্রীয় পুরাণ-
কাহিনীকে আমরা "মণিপুর-পুরাণ” আখ্যায় অভিহিত করিতে পারি | বলা বাহুল্য এই পুরাণ
কথা সংস্কৃত ভাষায় অথবা বাঙ্গালায় লিপিবদ্ধ হয় নাই আংশিকভাবে নৃতত্তববিদ্যার পুস্তকে
ইংরেজীতে ইহা আসিয়া গিয়াছে, কিন্তু ইহা এখনও মণিপুরীতেই লিপিবদ্ধ অবস্থায় আছে।
PAH হইতে আগত আসামের শান-গোষ্ঠীর অহম বা অসম জাতির পুরা-কথা লইয়া
তেমনি একখানি অলিখিত “অসম-পুরাণ”-ও আছে । বাঙ্গালার ভগিনী, আর্য্য অসমীয়া
ভাষায় ইহার সংক্ষিপ্ত-সার পাওয়া যায় । অনুরুপ অলিখিত “ক্লিপুর-পুরাণ"” সম্ভবত ক্রিপুরা
বা টিপ্রা জাতির প্রাচীন ধর্মের পুরোহিতগণের মধ্যে চেস্তাই-গণের মধ্যে) অনুসন্ধান
করিলে মিলিবে; এবং কাছাড়ীদের 'হিড়িম্বা' বা “হেরম্ব-পুরাণ” এবং খাসিয়া ও
জৈন্তিয়াদিগের “জয়ন্তী-পুরাণ”-ও অনুসন্ধানের বিষয় হইয়া আছে | নিম্নে এই “মণিপুর-পুরাণ” এর কতকগুলি লক্ষণীয় উপাখ্যান সংক্ষেপে প্রদত্ত হইতেছে | মণিপুরীদের প্রাচীন দেবতারা হিন্দুশোস্তোক্ত দেবতাদের সহিত অভিনু বলিয়া গৃহীত হন।
“ta” হইতেছেন san, “ইশিঙ” হইতেছেন বিষ্ণু, ও “qe fie” শিব; তেমনি *“শোরারেল্”
বা “শোরারেন্” হইতেছেন ইন্দ্র “মার্জিঙ” কুবের, “খোরিফাবা” বরুণ, “বাঙ্বেল্” যম,
“ইকুম্” অগ্নি, এবং “তাওরোইনাই” হইতেছেন নাগ-রাজ TAT | শিব ও পার্বতী বিশেষ করিয়া মনিপুরে অবস্থানের জন্য অবতীর্ণ হইলেন | তাহারা প্রথমে
asa “নোঙ্মাইজিঙ্” বা নীলকণ্ঠ-গিরিতে আসিয়া উপস্থিত হইলেন, এবং কতকগুলি
পর্বত বাসের জন্য তাহাদের মনঃপূত হইল ৷ এই পর্বতগুলি এখন মণিপুরে বিভিন্ন তীর্থ-
রূপে পরিচিত, এইসব স্থানে সহস্র-সহস্র যাত্রীর সমাগত হইয়া থাকে । মণিপুরে শিব নূতন
করিয়া আসিয়াছিলেন বলিয়া, তাহার একটি নতুন নাম হইল “পোইরেইতোন্” অর্থাৎ 'যিনি
নূতন স্থানে আসিয়াছেন”। শিব মণিপুরে আসিয়া সপ্তশীর্ষ “সানাজিঙ্” বা স্বর্গভুমি হইতে সাত জন দেবতার আবির্ভাব
ঘটাইলেন | ইহারা সাতটি গ্রহের রূপে বিদ্যমান আছেন- (>) “নোঙ্মাইজিঙ্” বা সূর্য্য, (2) “নিঙ্থোউকাবা” অর্থাৎ চন্দ্র, (৩) “লেইপাক্পোক্প”
অর্থাৎ মঙ্গল, (8) "যুম-সাইকে-সা” অর্থাৎ বুধ, (৫) “সাগোলসেল্” অর্থাৎ বৃহস্পতি, (৬)
“ইরাই” অর্থাৎ শুক্র, ও (9) “থাঙ্জা” অর্থাৎ শনি | ইহাদের মধ্যে মঙ্গলের মহিষমুস্ড, বুধের
গজমুষ্ড, বৃহস্পতির হরিণমুন্ড ও শুক্রের WW | ১৪