নূরজাহান | Nurjahan

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
শাহ্‌ তমাস্পের দরবারে গুণীর কদর ছিল সকলের আগে | বাপ-ছেলের এই প্রতিপত্তি, পাণ্ডিত্য আর লক্ষ্মীমন্ত ভাগ্য দেখে অনেকেরই সেদিন মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল | হঠাৎ যেন কেমন সব গোলমাল হয়ে গেল। বাপ মারা গেলেন--আর তার সঙ্গে সঙ্গে অত ক্ষমতা, অত যে টাকা, সব যেন শয়তানে শুষে নিল। wees যারা বন্ধু ছিল, তারা ঘোর শত্রু হয়ে দাড়াল । গিয়াসের বিরুদ্ধে তারা চক্রান্ত করতে লাগল। গিয়াস কেবল ভাবতে লাগলেন, নসিবের তখ্‌ত্‌কে আবার কি করে ফিরিয়ে আনা যায়! দারিদ্্য আর ছুর্তাগ্য তখন নিদারুণভাবে ঘিরে ধরল গিয়াসের পরিবারকে । অভাবের বিভীষিকা গিয়াসকে যখন প্রায় হতচেতন করে ফেলল-_ঠিক সেই সময়ে গিয়াসের মনে আলোর রেখার মতো খেলে গেল একটি দেশের ATT সে দেশের নাম হিন্দুস্থান । লোকে বলে, সোনার দেশ-_ছুধ আর মধুর দেশ। কত ইরানী-তুরানী ও দেশে গিয়ে আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ পেয়েছে--রাতারাতি ভাগ্য ফিরিয়েছে, তার ঠিক নেই । ধুলোমুঠি নাকি সেখানে সোনামুঠি হয়। গিয়াস লাফিয়ে উঠলেন । এই তো তিনি পথ খুঁজে পেয়েছেন । এই পথ চলে গেছে পুৰ দিকে-_মোনার হিন্দুস্থানে । নসিব ঠুকে গিয়াস যাত্রা করলেন। সঙ্গে স্ত্রী, BF ছেলে, এক মেয়ে । মাল বইবার জন্য কয়েকটি খচ্চর । স্ত্রীকেও একটি খচ্চরের পিঠে চাপিয়ে দেওয়া হল-- শ্রী আসন্নপ্রসবা । স্বাভাবিক ছর্বলতায় তিনি রুগ্ন | প্রথম কয়েকদিনের যাত্রা ছিল বিপদ-বাধাহীন। তার পরেই গিয়াসের ভাগ্যদেবী আবার মুখ বাকালেন । নির্জন পথে রে-রে ITA একদল way aca ঝাপিয়ে পড়ল গিয়াসের পরিবারটির ওপর | ৬



Leave a Comment