প্রাচীন বাংলার সামাজিক ইতিহাস : সেনযুগ | Prachin Banglar Samajik Itihas : Senyug

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
৪. " প্রাচীন বাংলার সামাজিক ইতিহাস : সেনযুগ স্বীকার করা যায় Te কিন্তু রমেশচন্দ্র মৃজুমদারের উক্ত অভিমতটি ড. মমিন চৌধুরী প্রত্যাখ্যান করিয়াছেন।১৫ তাহাছাড়া ড. নীহাররঞ্জন WIG আবুল Paes ব্যাখ্যাটি একেবারে অযৌক্তিক মনে করেন TAP’ সুতরাং আবুল ফজলের ব্যাখ্যাটি কতটুকু যুক্তিসঙ্গত তাহার জন্য ভবিষ্যতে এই সম্পর্কে সুস্পষ্ট আরো ব্যাখ্যা ও প্রমাণ না পাওয়া পর্যন্ত আমাদেরকে অপেক্ষা করিতে হইবে। যাহাই হউক মোঘলদের প্রদত্ত নামের অনুকরণে AGMA বাংলাদেশকে বেঙ্গালা নামে অভিহিত করিত। পরবর্তীকালে এই বাংলাদেশ অথবা বাংলা ভাষাভাষী অঞ্চলটি ইংরেজ শাসন কবলিত হইবার সঙ্গে সঙ্গেই বেঙ্গল নামে পরিচিত VP? তখন ইহা বাংলাভাষায় বাংলাদেশ ও বাংলা উভয় নামে ব্যবহৃত হইত। এই প্রসঙ্গে সুকুমার সেনের অভিমত প্রণিধানযোগ্য। তিনি মনে করেন, বঙ্গ হইতে বাঙ্গালা, বাঙ্গালা হইতে বেঙ্গালা এবং CIS এই বেঙ্গালাই বেঙ্গল হইয়াছে PY অতঃপর ইংরেজ শাসনাধীন বেঙ্গল প্রদেশটি ১৯৪৭ সালে দ্বিখণ্ডিত হইয়াছে-_যাহা পূর্বেই বলা হইয়াছে। তাহার একটি বৃহৎ অংশ আজ স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ হিসাবে পৃথিবীর মানচিত্রে স্থান লাভ করিয়াছে। সুজলা সুফলা বাংলা পৃথিবীর বৃহত্তম Tale অঞ্চল। ইহার অধিকাংশ ভূভাগই গঙ্গা- *ভাগীরথী-পদ্যা-মেঘনা-যমুনা-বুন্মপুত্র নদী বাহিত পলিমাটিতে গড়িয়া উঠিয়াছে। এই জন্য বাংলার ভূভাগের বেশি অংশই নবসৃষ্ট। অবশ্য ইহার পশ্চিম, উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে প্রাচীন বা পুরাভূমির বন্ধনীও বিদ্যমান। বাংলার পশ্চিমাংশের পুরাভূমি রাজমহল হইতে সমুদ্র পর্যন্ত বিস্তৃত হইয়াছে। এই পুরাভূমির অন্তর্গত রাজমহল, সাওতাল পরগণা, মানভূম, Prey ধলভূমের জঙ্গলাকীর্ণ পার্বত্য অঞ্চল অবস্থিত। অবশ্য মেদিনীপুর, বাক্ড়া, বর্ধমান, বীরভূম ও মুর্শিদাবাদের উচ্চতর অঞ্চলও ইহার অস্তর্গত। আবার এই পুরাভূমির একটি শাখা উত্তর বাংলায় বিস্তৃত হইয়াছে। ইহা মালদহ, রাজশাহী, দিনাজপুর ও রংপুরের মধ্যদিয়া ব্রহ্মপুত্রের তীর সংলগ্ন অঞ্চল ধরিয়া আসামের পার্বত্য অঞ্চল পর্যন্ত ব্যাপ্ত হইয়াছে। পূর্বদিকে ত্রিপুরা ও চট্টগ্রামের পার্বত্য অঞ্চল উত্তর হইতে দক্ষিণে নামিয়া গিয়াছে। এই তিন দিকের পশ্চিম, উত্তর ও পূর্ব) Marella বন্ধনী বাদ দিলে মধ্যবর্তী অংশ, যাহা সমুদ্র পর্যন্ত বিস্তৃত হইয়াছে, সবটুকু প্রায় নবসৃষ্ট। ইহাই প্লাবন সমভূমি এবং বদ্বীপ বা ডেল্টা নামে পরিচিত। বাংলার এই প্রাকৃতিক ভূমি বৈশিষ্ট্যের আলোকে ড. মমিন চৌধুরী ইহাকে পাচ ভাগে ভাগ করিয়াছেন। ইহা যথাক্রমে ১. উত্তর বাংলার সমভূমি, ২. TAY GNA মধ্যবরতী অঞ্চল, ৩. ভাগীরথী মেঘনা মধ্যবর্তী ভূ-ভাগ, ৪..চট্টগ্রামাঞ্চলের অনুচ্চ পার্বত্য এলাকা, এবং ৫. বর্ধমানাঞ্চলের অনুচ্চ পার্বত্যভূমি” হিসাবে উল্লেখিত হইয়াছে।*৯ এই সকল বিষয় বিশ্লেষণ করিলে বলা সম্ভব যে, বাংলার চতুদিকে একটি সীমান্তবর্তী বন্ধনী অংশ ছাড়া প্রায় সবটাই ভূঁতন্ত্বের আলোকে নবসৃষ্ট সমতলভূমি। বাংলার এই সমতলভ্মি গঙ্গা-যমুনা-বদ্দমপুত্র ও ইহাদের অসংখ্য শাখা-প্রশাখা বাহিত পলিমাটি দ্বারা গড়িয়া উঠিয়াছে। এই মাটি গুণাগুণের দিক হইতে বালিমাটি, দোআশ মিশ্রিত বালিমাটি, পলিমাটি ও নদীবাহিত লোনামাটিতে পরিপুষ্টি লাভ করিয়াছে। এই ধরনের মাটি



Leave a Comment