For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)ভুমিকা . . নয়ন
মঞ্জিঠা ও নীলের দ্বার] val পাক! লাল ও নীল রঙ করার প্রণালী ভারতবর্ষে
স্মরণাতীতকাল থেকেই চল্তি ছিল। ফিটকারী নামক রাগবন্ধনীর সাহায্যে
ম্তরিটার দ্বার] তার] বেশ টকটকে পাকা লাল রঙ প্রস্তুত করত। রাগবন্ধনীর
এবং নীলের পাতা থেকে নীল রঙের আবিষ্কারও হিন্দুদের । ফলিত রসায়নের
এই ATT ও অন্যান্য আবিষ্কারের ফলে জগতের ব্যবসা ক্ষেত্রে তারতবর্ষ শ্রেষ্ঠ
স্থান অনিকার করেছিল। বরাহ্মিহিরের বৃহৎ-সংহিতায় নানাপ্রকারেরগন্ধদ্রব্য, .
প্রসাধনের জিনিস, চুলের কলপ ইত্যাদি প্রস্তুতের প্রণালী রয়েছে।
AEST ক্ষেত্রে তো কথাই নেই! এমন সাহিত্য হুষ্টি প্রাচীন জগতে আর
কোথাও হয়নি। শুধু SIE নয় জগতের যে কোনো আধুনিক সাহিত্যের পাশেও
ভারতায় প্রাচীন সাহিত্য স্থান পেতে পারে। ব্যাকরণেও হিন্দুদের সমবক্ষ
প্রাচীন জগতে কোনো জাতি ছিল না। বর্তমান ভাবাবিজ্ঞানের হুষ্টির মূলে
তারতীয় বৈয়াকরণিকরা--একথা নিঃসঙন্কোচে বলা যেতে পারে। তারতীয়
সাহিত্যের উৎকর্ষের কারণ সম্বন্ধে জামান পণ্ডিত হার্টমুট পিপার লিখেছেন
'এই অপুর্ব সাহিত্য কঠোর পরীক্ষা ও নৈতিক শিক্ষা সংযুক্ত খুব উন্নত ধরনের
বিচারবুদ্ধি প্রণোদিত শিক্ষাপ্রণালীর পরিণত ফল। gafes আচার্যের কাছে
ছাত্র] নিজেরাই এসে জুটে যেত, ফলে বহু বিশ্ববিদ্যালয় আপনি গড়ে
উঠেছিল। এই সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হয় সরকারী সাহায্যে নতুবা দেশের
লোকের ব্যক্তিগত বদান্যতার উপর নির্ভর করে চলত |’
Sra], উজ্জরিনী, অমরাবতী, নালান্দা, কাশী, কাঞ্চী, বিক্রমশীলা, মাছুরা,
vast প্রভৃতি বহু বিশ্ববিদ্যালয় প্রাচীন ভারতের গৌরব বৃদ্ধি করেছিল।
স্প্রসিদ্ধ বৈয়াকরণিক পাণিনি, খ্যাতনামা! চিকিৎসক alee ও অর্থশান্ত্র-
প্রণেতা স্থপণ্ডিত ও চতুর রাজনীতি-বিদ কৌটিল্য--তক্ষশিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের
এই তিনজন ক্বতী ছাত্র_জগতের যে কোনো দেশের যে কোনো যুগের শ্রদ্ধার
পাত্র। প্রাচীন গ্রীসে এ্যাথেন্স যেমন সত্যতার কেন্দ্র ছিল, প্রাচীন ভারতে
তক্ষশীল! ঠিক তেমনি--অবস্য তক্ষশীলা এ্যাথেন্সের চেয়ে প্রাচীনতর, পরবর্তী
যুগে নালান্দাও বেশ খ্যাতিলাত করেছিল। ইউয়ান চোয়াং যখন সপ্তম
শতাব্দীতে ভারতবর্ষে আসেন সেই সময় নালাম্দায় দশছাজার ছাত্র
ওুরুদের সঙ্গে একত্র বাস করে পড়াশুনা] saws খাওয়া, পোশাক, বিছানা
ও ওষুধের থরচ ছাত্রদের বহুন করতে হত না--ঘরাভাড়া তো ছিলই না,