ভিষক-দর্পণ | Vishak-Darpan

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
জুলাই, ১৯১৩ ] বৈজ্ঞানিক ঈশ্বর । é নিজ্ছ্বাৰ জড় পদার্থ বলিয়৷ মনে করি, বাস্ত- , few ote নহে। প্রত্যেক পরমাণুর শক্তি আছে ও তাহারা জীবন্ত পদার্থের ty কণ্ঠ, শক্তিময় ও বুদ্ধিমান | তাহার gets এই যে, গর্ভের মধ্যে যখন SQ শুক্রকীটের সহিত সংযুক্ত হইয়া ভৌতিক নিয়মে পরিবর্তিত, পরিবর্ধিত ও গঠিত হয়, তখন তাহা এরূপভাঁবে বুদ্ধির সহিত গঠিত হয়, যাহাতে আমরা! দেখিতে পাই যে, কোন জীব জসন্তরই চক্ষু পাঁয়ের তলায় হয় না। উহা এমন স্থলে হয়, যাহাঁতে চতুর্দিকে তালরগে দৃষ্টি কর! যায়। আবার আরো wat দেখিতে গেলে তাহার মধ্যে (Iris) আইরিছ নামে একটি পর্ধা আছে, যাহার মধ্যস্থিত fey দিয়৷ আলো চক্ষুর মধ্যে প্রবেশ করে, যদি এই. আলো প্রথর হয়, তাহা! হইলে, এ foul প্রতিফলন faa দ্বার! সন্কু চিত হইয়া অতি- রিক্ত আলো চক্ষু মধ্যে প্রবেশ করিতে দেয় না। সেইরূপ যখন পাকাশয় শক্ত বস্ত পরিপাক করিবার উপযুক্ত হয়, তখনই “দবস্তোদগম"” হয়। এই সকল দত্তের মৌলিক অংশ মাড়ির হাড়ের ভিতর অবস্থান করে, সময় অনুসারে বাহিরে বিগত হইয়া উহার নিজ নিজ ath সম্পাদন করে। এইরূপ মনুষ্য দেহে দেখিতে গেলে এত কারুকার্য ও বুদ্ধির সমাবেশ দেখা যায় যে, পরমাণু সকল যে কেবলমাত্র শক্তি বিশিষ্ট, তাহা নহে, তাঁহাদের fee আছে। তবে কিনা 'য্ৎন Sam বিকাশ হয়, তখন আমরা উহার অস্তিত্ব বুঝিতে পারি। কিন্তু এই বিকাশ পরমাণুর সমাবেশের তারতম্য অন্সারে বেশী ' ও কম হইয়া থাকে। যথা ;--মন্তিষ্কের গঠন- প্রকৃতি গরমাণু সমাবেশের তারতম্য অঙ্থ্সারে, বুদ্ধি ও বিচক্ষণতা, ধারণা, মেধা, বিচারণক্তি প্রভৃতির তারতম্য হইয়া থাকে। আবার ষখন মৃত্যুর পর এই সমাবেশ বিচ্ছিন্ন হইয়া যায়, তখন Q সকল পরমাণু নিজ্জাৰ, বুদ্ধি" হীন, মৃতিকাঁবৎ হইয়া মৃতিকায় মিশিয়া যায়। পুনরায় এ সকল পরমাণু ভিন্ন ভিন্ন জীব, ae, উদ্ভিদ্‌ প্রতৃতির দেহ নির্মাণ করিয়| তাহাদের Bq arta fox ভিন্ন শক্তির ও বুদ্ধির পরি- চয় দেয়। কোন কোন বিজ্ঞানবিদ্‌ পণ্ডিত বৃক্ষ লতাদির agoy শক্তি আছে বলিয়া প্রমাণ করিয়াছেন। এমন কি পার্বত্য পাথর গুলিতেও সেইরূপ প্রমাণ করিয়াছেন। কিন্তু আমার বিবেচনায় প্রত্যেক পরমাণুকে বুদ্ধিমান সজীব aw বলিয়া জ্ঞান কর! উচিত। এই বুদ্ধিমান সজীব পরমাণু সমষ্টি দ্বারাই অসীম ব্রহ্মাগু ees হইয়াছে। আমরা যদিও ইহাদিগকে ভিন্ন ভিন্ন পৃথক্‌ বস্তু বলিয়া মনে করি, কিন্তু বাস্তবিক পক্ষে ইহা এক প্রকাণ্ড অসীম মহাশক্তিশালী, মহাবুদ্ধিমান বস্তু , যাহাঁকে শিবশক্তি অথবা পরমেশ্বর বল৷ যায় | কেহ কেহ বলিতে পারেন, আমি একটি fon বস্তু, সে ala একটি ; ইহারা ষদি সক- লেই ঈশ্বর হন, Stel হইলে “আমি” “তুমি,* এই জ্ঞান কেন? আমি সুখী aad, কি সে সখী আমি geet এই ভিন্ন জ্ঞান কেন 1 ইহ| কেবল অল্পকালের জন্ত পরমাণু সমা- বেশের বিভিন্নতাবশতঃ ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তির বা জীব জন্ত প্রভৃতি প্রত্যেককে ভিন্ন ভিন্ন মনে করে ; কিন্তু কালের গতিতে সেই তিন্ন তাৰ কিছুকাল পরে পুনরায় বিলীন হইয়া



Leave a Comment