বাজীকরের পুতুল | Bagikarer Putul

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
মিটিয়ে দেওয়া ছাড়! তার আর কোনো উপায় রইল না ৷ এদিকে স্বামীর অপঘাতে মৃত্যুর শোক সামলাতে Al পেরে অল্প দিনের মধ্যেই অরুণাভর মাও মারা গেলেন । কিছুদিনের জন্য অরুণাভর সমস্ত জগত যেন অন্ধকার হয়ে গেল | অরুণাভর হাতে তখন ক্যাশ টাকা নেই । ক্যাশ টাকার অভাবে TA চালানে৷ অসম্ভব। ইতিমধ্যে পাওনাদারদের পাওন1 মিটিয়ে দেওয়ার Gy সবই বিক্রী হয়ে গেছে কেবল সম্বল আছে বসতবাড়িট। | অরুণাভ অনেক ভেবে দেখল, এই বাড়িট! বিক্রি করা ছাড়া তার আর কোনো উপায় নেই । সাত পাঁচ ভেবে সে বাড়িটা বিক্রী করে দিল ৷ পরিবর্তে পেল মোট। ক্যাশ অবশ্যি মূল বসতবাড়িটা বিক্রী হলেও অরুণাভর এনণ্টালী অঞ্চলে একটা ছোট্ট দোতলা বাড়ি রয়ে গেল ৷ বাড়িটা খুবই ছোট । ওপর নীচে মিলিয়ে মাত্র পাচখান। ঘর । তা-ও নিচের তিনখানা ঘর ভাড়া দেওয়া । এই ছোট্ট বাড়িটাতে আগের বাড়ির বিশাল বিশাল আসবাবপত্র আনার কোনো প্রশ্নই ওঠেনা। তাই সে পুরোনো আসবাবপত্রও বিক্রী করে দিল ৷ নতুন করে বাঁচার সন্কল্ নিয়ে Stal ঘরের দোতলায় চলে ace সে । ঠিক করল, বড় ব্যবসাদার হয়ে বাবার অপমানের শোধ তুলবে | কিন্তু নতুন করে ব্যবসা শুরু করার আগে সে ভাবল সৌম্যেন্দুর আর একবার খোঁজ sal দরকার। তবে এবার আর চিঠি লিখে খোজ নেবে না, সোজা চলে যাবে বেনারসের আশ্রমের কানায় । বেনারসে যাওয়ার আগের দিন রাত্রে সে ডায়েরীতে লিখল, “পিতৃদেবের আত্মহত্যার ব্যাপারটা আমি কিছুতেই মন থেকে সরাতে পারি না। আত্মহত্য৷ মানেই জীবন থেকে পলায়ন । পলায়নকে কখনোই সমর্থন Fa যায় না। পলায়ন মানেই FAAS! ৷ তবু কোথায় যেন খটকা! থেকে যায়। পিতূদেব যে-অবস্থার মধ্যে পড়েছিলেন তাতে awe aol অন্য কোন পথ ছিল কি? মানুষের জীবনে এমন -একটা সময় আসে যখন জীবন সম্বন্ধে তার ১৮



Leave a Comment