ত্রিপুরার গণ-আন্দোলন ও কমিউনিষ্ট পার্টির ইতিকথা [সংস্করণ-২] | Tripurar Gana Andolan O Communist Partir Itikatha [Ed. 2]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
অন্যদিকে ঠাকুরলোক ও ব্রিপুরী ছেলেদের মধ্যে শিক্ষার সামান্যতম প্রসার সত্তেও কিছু CUS ছেলেদের মধ্যে কিছু কিছু সমাজ সংস্কারমূলক কাজের জন্য আগ্রহ নানাভাবে আত্মপ্রচার করে। এই কাজে অগ্রণী ভূমিকা যিনি পালন করেন তিনি ছিলেন প্রয়াত অমরেস্দ্র দেববর্ম: ওরফে ংশী ঠাকুর | পরবর্তীকালে তার সংস্পর্শে ত্রিপুরী ছেলেদের মধ্যে অনেকেই এসেছেন এবং বিভিন্ন ভাবে তাঁর দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন। তিনি বিভিন্ন প্রকার গণ-আন্দোলনের সূচনা করেন - মতপার্থক্যও মতান্তর HOGS | আমাদেরও ছাত্রাবস্থাও জেল থেকে মুক্তি (দ্বিতীয় দশকের শেষ, তৃতীয় দশকের মাঝামাঝি ও চতুর্থ দশকের প্রথম ভাগ পর্যন্ত) এই সময়টা ছিল মহারাজার শাসনকালের এক অন্ধকারময় যুগ। ছাত্র ও Faas নিপীড়ন অব্যাহত বেখে মহারাজা তখন ব্রিটিশ শাসনের বুনিয়াদ শক্ত করবার চেষ্টায় বাস্ত। প্রজাদের উপর শোষণ ও নির্যাতিন অব্যাহত রেখে তিনি তখন নিজের শাসন ব্যবস্থাকে আরও মজবুত করে তুলে রাজত্বের শ্রীবৃদ্ধি সাধনে fre | দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের প্রাক্কালে মহারাজার ইউরোপ ভ্রমণ এবং মুসোলিনীর সাথে তার আলাপ আলোচনা এবং পরবর্তঁকালে রাজপ্রাসাদে মুসোলিনীর মর্মর মুর্তি স্থাপন প্রমাণ করে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গীর বৈশিষ্ট্য। যা ছিল প্রবৃত প্রস্তাবে প্রতিত্রিয়াশীলতার নামাস্তব। মনে রাখা প্রয়োজন যে সময়টা ছিল স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অগ্নি গর্ভ যুগ | সাইমন কমিশনের বিরুদ্ধে আন্দোলন, চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন, গান্ধীজীর সত্যাগ্রহ আন্দোলন (লবণ আইন ভঙ্গ), মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা, ভগৎ সিং ও তাঁব সহকর্মীদের ফাঁসী, নিরাপত্তা আইনে অনির্দিষ্টকালের জন্য হাজার হাজার যুবককে বন্দী কবে রাখা — এসব কিছুই ছিল এক বিরাট আলোড়নের সূচনা। আমিও এ সময় এক ষড়যন্ত্র মামলায় ধৃত হই এবং বহুদিন ধরে এক বিশেষ আদালতে ট্রোইবুন্যাল) বিচার হ'বার পব ১৯৩৭ সনে সশ্রম BAM দণ্ডিত হই। উল্লেখ প্রয়োজন যে, আমি ১৯৩৩ সনে প্রথম দিকেই আত্মগোপন করে কাজ করে চলি এবং ১৯৩৫ -এর ৩০শে ডিসেম্বর গোপন আড্ডাতে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে আলিপুরে সেন্ট্রাল জেলে বন্দী অবস্থায় থাকি। এ অবস্থায়ই আমি ও আরও অনেকে বিটিশ সরকারকে উচ্ছেদ ষড়যন্ত্র ও নানাবিধ ধারায় অভিযুক্ত হই। এই মামলায় আমার আট বছর সশ্রম কারাদণ্ড হয়। এই যখন পরিস্থিতি ও ভারতব্যাপী এক গণ বিক্ষোভের প্রকাশ তখন এই রাজ্যেও ছোটখাট নানারকম আন্দোলন গড়ে ওঠে। একদিকে গড়ে উঠে বিপ্লবীদের গুপ্ত সংগঠন এবং অন্যদিকে সমাজ সংস্কারমূলক নানাপ্রকার আন্দোলন IA এই অবস্থারই প্রেক্ষাপটে পরবর্তীকালে প্রজা আন্দোলন। এই সময় আমরা দেখতে পাই কৃষকদের মধ্যে সামস্ততন্ত্রের বাবস্থাপনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং ত্রিপুরা রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে কৃষক সমাবেশ। এই কৃষক আন্দালনের সাথে স্বভাবতই পাহাড়ী জনসাধারণের কোন অংশের সেরূপ সংশ্রব ছিল না। পরবর্তীকলে অবশ্য বিশেষ রাজনৈতিক মতবাদের প্রভাব ছাড়াই স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে রতনমণির নেতৃত্বে উপজাতিদের মধ্যে বিদোহ আত্মপ্রকাশ করে। এ সম্পর্কে আমরা পরবর্তী অধ্যায় আলোচনার সুযোগ ATA এই সময়ের কৃষক আন্দোলন বিভিন্ন খাতে প্রভাবত হতে থাকে ফলে এই SEM কৃষকদের দাবী দাওয়া নিয়ে খুব একটা সফলতা লাভ করেনি। তবে রামনগর এলাকায় বস্তি উচ্ছেদের বিরুদ্ধে ১৪



Leave a Comment