জীবনলীলা | Jibanlila

প্রস্তাবনা ১৬ প্রভৃতি দাহ পদার্থ একত্র করিয়া শরীরের অগ্নিসংস্কার করি। এ পর্যন্ত সবই ঠিক, কিন্তু জীবননিষ্ঠ সংস্কৃতির ইহাতেও সম্তভোষ নাই। অগ্নিসংস্কার হইয়া গেলে যে অস্থি ও ভস্ম অবশিষ্ট থাকে, তাহা যখন পবিত্র জলাশয়ে বিসর্জন করি তখন আমাদের পরম সন্তোষ হয় | মহাত্মাজীর অস্থি ও চিতাভম্ম আমর সমস্ত দেশে, যেখানে যেখানে পবিত্র জলাশয় আছে সেখানেই পৌছাইয়া দিয়াছি। হিমালয়ের পরপারে, কৈলাসের পথে, whet মানস সরোবরেও কিছু কিছু অস্থিভশ্ম বিসর্জন করা হইয়াছে | প্রয়াগের মত উপযুক্ত স্থানে বিসর্জন করিবার পর অবশিষ্টাংশ কিছু সমুদ্রতীরেও লইয়া যাওয়া হয়, বিশেষ করিয়া মনে রাখিবার কথা যে, যে আফ্রিকা খণ্ডে গান্ধীজী সত্যাগ্রহের মত দৈবী শক্তি খুজিয়াছিলেন ও তাহার জীবনের ব্রত শুরু করিয়াছিলেন, সেই আফ্রিকায় নীলনদের উৎস প্রবাহেও এই অস্থি wy বিসর্জন করা হইয়াছিল । জলের পবিত্রতা এইক্ূপে সর্বতোভাবে স্বীকার করা হয়। জলের এরূপ পবিত্র দর্শনের আনন্দ যাহাতে উচ্ছলিত হইয়াছে তাহার বর্ণনাই এই সংগ্রহে গ্রহণ করা হইয়াছে । সংগ্রহ করিবার সময় আমার 'স্মরণ- যাত্রা” হইতে ক্ষুদ্র এক অধ্যায় মাথা উচু করিয়া জিজ্ঞাসা করিতে লাগিল, 'আমাকে কি ইহাদের মধ্যে লইবেন না?” অনবধানতার wa মাপ চাহিয়া বলিলাম, 'নিশ্চয়, নিশ্চয়। জীবনলীলায় তোমারও স্থান হইবে ।” মানসী স্ষ্ট, কল্পনার ZR, মায়াবী যাদুকরের স্ষ্লিও পরিণামে পাখিব wha মত xP তো বটেই | স্তুতরাং মানুষের চোখে ও FTAA চোখে যাহা জলের মত মনে হয়, আর যাহার প্রবাহ এই দুইটিকে নিজের দিকে টানিয়। লয়, তাহা প্রাণবায়ু ও উদজান বায়ূর we হউক না কেন, তথাপি জীবনলীলায় উহার স্থান হওয়াই চাই-_এই কথা ভাবিয়া ছেলেবেলায় ভ্রমণকালে তেরদালের যে মরীচিকা দেখিয়াছিলাম, তাহার বর্ণনাও ইহার মধ্যে গৃহীত হইয়াছে। সাহারা মরুভূমির কাছাকাছি যদি দ্বিপ্রহরের সময় যাইতাম, তাহা হইলে সেই বিরাট মরুভূমি আর সেখানকার মরীচিকার বর্ণনা অবশ্যই ইহার মধ্যে স্থান পাইত। কিন্তু পশ্চিম আফ্রিকা হইতে উত্তর দ্বিকে যাইবার পথে সময় ও প্রাণ বাচাইবার জন্য রাত্রির অন্ধকারেই আফ্রিকার মরুভূমি সমস্তটা পার হইলাম | তাহাও হাওয়াই জাহাজ saa) পশ্চিম আফ্রিকার মধ্যযুগের নগরী “কানে” হইতে রওয়ানা হইয়া মধ্যরাত্রির পর ট্রপোলিতে পৌছিলাম।