ইউরোপ ও বিশ্ব ইতিহাস পরিক্রমা | Europe O Bishwa Itihas Parikrama

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
সূচনা ( Introduction ) ইতিহাস প্রবহমান। কোন নির্দিষ্ট কাল ও স্থানের গণ্ডীর মধ্যে ইতিহাসকে আবদ্ধ করা যায় না। ভলতেয়ার এজন্যে universal history বা সর্বজনীন, বিশ্বজনীন ইতিহাসের কথা বলেছেন। ইতিহাসের মধ্যে যুগোত্তর, সর্বকালীন দৃষ্টিভঙ্গীর অনুসন্ধান এখন অনেক এঁতিহাসিকের লক্ষ্য। এই সর্বকালীন প্রবহমান ইতিহাসের বিপুল স্রোতের একটু দিক উদঘাটন করে মানুষ কিভাবে তার সমাজ, রাষ্ট্র, সভ্যতাকে যুগে যুগে গড়ে চলেছে তা উপলব্ধি করা যায়। ইতিহাসের ধারা অবিচ্ছিন্ন ও প্রবহমান হলেও তার গতিপথে বিশেষ ধারা বিশেষ ভাবে প্রভাব বিস্তার করে। জনসংখ্যার Basie, চিত্তাধারার পরিবর্তন. অর্থনৈতিক কাঠামো ও উৎপাদন ব্যবস্থার পরিবর্তন ইতিহাসের কালের মন্দিরায় নতুন সুরে Ve তোলে। তাতে ইতিহাসের তাল ভঙ্গ হয় না। কারণ এই সামগ্রিক সর্বব্যাপী গতির ধারাই তো ইতিহাস। এভাবে pret ভাবধারা, নতুন অর্থনৈতিক কাঠামো, নতুন উৎপাদন-ব্যবস্থা ও WSS সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে আধুনিক যুগের ইতিহাস। রেনেসাস বা জাগৃতি আন্দোলনের যুক্তিবাদ ও মুক্ত মানসিকতায় তার আবির্ভাবের wea বেজে ওঠে। মধ্যযুগের গীর্জা-শাসিত ইওরোপের অন্ধবিশ্বাসের OTA দূর করে যেনেসাসের যুক্তিবাদ, আত্মবিশ্বাস ব্যক্তির মনের ও চিন্তার স্বাধীন বিকাশ ঘটায়। এই যুক্তিবাদকে আশ্রয় করে যে মুক্তির হাওয়া বইতে থাকে, তার ফলে সাহিত্য, শিল্প, বিজ্ঞান, দর্শন ও ভৌগোলিক আবিষ্কার প্রভৃতি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইওরোপীয় জাতিগুলির প্রতিভা ও উদ্যম ছড়িয়ে পড়ে। CIS, বোকাচ্চিও, ইরাসমাস, বেকন প্রভৃতি মনীষীর দানে ইওরোপীয় সাহিত্য সমৃদ্ধ হয়। লিওনার্দো দা ভিঞ্চি, মাইকেল এ্যাঞ্জেলো, রাফায়েল প্রভৃতি পঁচত্রশিল্পীর শিল্পরচনায় নতুন যুগের সূচনা হয়। আধুনিক যুগের প্রধান ঘটনা হল জাতীয় রাষ্ট্রের উৎপত্তি। মধ্যযুগের পবিত্র রোমান সাম্রাজ্যের আদর্শের স্থলে ফ্রান্স, জার্মানী, ইংলন্ড, রাশিয়া প্রভৃতি দেশে জাতীয় রাজতন্ত্রের বিকাশ হয়। ফ্রাঙ্সে বুরবৌ, অস্ট্রিয়ায় হ্যাপসবাগ, প্রাশিয়ায় হোহেনজোলার্ন, রাশিয়ায় রোমানভ এবং Bele হ্যানোভার রাজবংশের নেতৃত্বে জাতীয় রাষ্ট্রের অগ্রগতি হয়। আধুনিক যুগের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল সাম্রাজ্য ও উপনিবেশ দখলের জন্যে ইওরোপীয় ভাতিগুলির প্রতিদ্বন্দবিতা। অষ্টাদশ শতকের মার্কান্টাইলবাদী অর্থনীতি এবং তারপর শিল্প-বিপ্লব এই ATPASE জোরদার করে। উপনিবেশ দখলের জন্যে ইংলন্ডের সঙ্গে ফ্রান্স ও স্পেনের দীর্ঘকাল লড়াই চলে। শেষ পর্যন্ত ইংলন্ড তার নৌবলের সাহায্যে জয়লাভ করে CD ৬পনিবেশিক শক্তিতে পরিণত হয়। আধুনিক যুগে শিল্প-বিপ্লবের ফলে উৎপাদন-ব্যবস্থায় বিপুল পরিবর্তন ঘটে। কুটিরশিল্পের স্থলে বড় বড় কল-কারখানায় শিল্প উৎপাদন আরম্ভ হয়। এক শ্রেণীর লোক এই কল-কারখানা ও উৎপাদন-ব্যবস্থাকে তাদের একচেটিয়া অধিকারে এনে মুনাফার পাহাড় জমায়। সমাজে MOUs অর্থনীতির প্রসার হয় এবং রাষ্ট্রের উপরও তার প্রভাব পড়ে। সামস্তশ্রেণী একদা যে ক্ষমতা ও প্রতিপত্তি ভোগ করত, তা ধীরে ধারে এই নবোদিত পুঁজিবাদী শ্রেণী অধিকার aa: এই শ্রেণীকে বলা হয় বুর্জোয়া। কল-কারখানায় বহু শ্রমিক কাজ করে জীবনধারণ করে। শ্রমিকেরা যৎসামান্য পারিশ্রমিক ও অস্বাস্থ্যকর বাসস্থানে বাস করতে বাধ্য হয়। এর ফাল শ্রমিক-সমস্যা দেখা দেয়। কল-কারখানাকে কেন্দ্র করে বড় বড় শিল্প-শহর গড়ে ওঠে গ্রাম ইওরোপ (দ্বাদশ) -১



Leave a Comment