হট সামার | Hot Summer

সইতে না পেরে তার শ্বশুরবাড়ি থেকে প্রায় এককাপড়ে চলে আসা! | গরমের সময় ফি বছর আর শ্বশুর বাড়ির ধার মাড়ায় না fear) পিলার যায়। বালে জায়গাটা ওর ভাল লাগে। লাগাই স্বাভাবিক সে ত এ বাড়িরই মেয়ে। দেয়ালে কনুই ঠেশ দিয়ে দাঁড়িয়ে ডিয়ানা হাতের তালুর পিঠে fF রাখা। একটা ছোট মালবওয়া জাহাজ ধীরগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে দেখে নিজের Wale চাপা দীর্ঘশ্বাস ফেলল। “মা, ওখানে ঠাণ্ডার মধ্যে কি করছ?” পিলারের গলা পেছন থেকে ভেসে এল। পায়ের নিচে মোজেইকের চামড়া-জমে যাওয়া ঠাণ্ডার রেশ মেয়ের কথাতেও যেন ঝরে পড়ল বলে তার মনে হল। “ও কিছু না”, জাহাজের দিকে একপলক Wien ঘাড় ঘোরাল ডিয়ানা,” এখানে আমার বেশ আরাম লাগছে। তাছাড়া, যাব কি করে, সকাল থেকে আমার চটিজোড়াই খুঁজে পাচ্ছিনা যে!” বলে মুখ নিচু করতেই পিলারের পায়ে হারা'না চটিজোড়া দেখাতে পেল সে। “যাক, চটিজোড়ার বরাত ভাল,” মেয়ের চোখে চোখ রেখে হাসল ডিযানা, "তুমি TUE ও দু'টো খুঁজে পেয়েছো।” চটি হারানোর প্রসঙ্গ সাতসকালে পাছে অশান্তির চেহারা নেয় সে কথা ভেবেই ডিয়ানা ইচ্ছে করে হালকা রসিকতার গলায় বলল কথাটা। “ভাবছ ভারি মজার ব্যাপার, তাই না, মা?” ডিয়ানা নিজেকে শাত্ত রাখার চেষ্টা করলেও পিলারের চোখে মুখে কথার ঝাঝে যুদ্ধের ভাব ফুটে বেরোল, “আলমারির ভেতরে এত হাতড়েও একটা ভাল সোয়েটায়-এর হদিশ পেলাম না। তারপর তোমার দর্তি, সেও ত হয়েছে তেমনই, জানে আজ সকালে রওনা হব তব্‌ কালো স্কার্টটা এখনও দিয়ে যাবার সময় ওর হলনা |” বলতে বলতে লালচে সোনালি লম্বা চুলগুলো পেছনে ফেলে অভিযোগের চাউনি মেলে মায়ের দিকে তাকাল পিলার। আড়চোখে ঘড়ি দেখল ডিয়ানা। সাড়ে সাত্টা। এই সকালে মেয়েকে এত AME দেখে অবাক হল সে। নিছক ছেলেমানুযি নাকি নারী হিসেবে সে এখনই মার্ককে আরও কাছে পেতে চায়, অস্তিত্ব-তাই অসহা হয়ে উঠেছে তার কাছে? সাতসকালে পিলারের বিদ্রোহের মূলে এ দু'টি কারণের কোনটি সক্রিয় অনেক ভেবেও বের করতে পারলনা পিলার তার ওপর যত খুশি রাগতে ACA | এখানে তার কিছুই করার নেই৷ হাতে আরও কিছুদিন গেলে সময়ের সঙ্গে মানসিক দিক থেকে আরও বেড়ে উঠলে তখন মাকে ঠিকঠিক চিনতে পারবে, পিলার বুঝবে মায়ের মত সেরা বন্ধু এই বিশ্বসংসার তার আর একজনও নেই। সেই দিনটি কবে আসবে সেই আশায় ডিয়ানার নিজেকে বাঁচিয়ে. রাখতেই হবে। এ আশা যে কিছুতেই ধ্বংস হতে দেয়া যায় না। “দর্জি জানে তুমি আজ রওনা হবে”, স্বাভাবিক গলায় জবাব দিল ডিয়ানা, “তাই হট সামাব--_২ ১৭