রবীন্দ্রনাথের জীবনবেদ | Rabindranather Jibanbed

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
রবীন্দ্র অধ্যয়নের নূতন দৃষ্টিকোণ Ss প্রকাশ দেখলুম অমনি পরম সৌন্দর্যকে অনুভব করলুম। মানব সম্বদ্ধের যে বিচিত্তয ante, আনন্দ, অনির্বচনীয়তা, তা দেখলুম সেইদিন । সে দেখা বালকের কাঁচা লেখায় আঁকু বাকু করে নিজেকে প্রকাশ করেছে কোনো রক্মে, পরিস্ফুট হয়নি। সে সময়ে আভাসে যা অঙন্নভব করেছি তাই লিখেছি আমি যে যা-খুশি গেয়েছি তা নয়। এ গান ছু'দণ্ডের নয়, এর অবসান নেই । এর একটা ধারাবাহিকতা আছে। এর অঙ্গবৃত্তি আছে মানুষের AWE Se | আমার গানের সঙ্গে সকল মানযের যোগ আছে। গান থামলেও সে যোগ ছিন্ন হয় না ।” (এ, ৮৩৮৪ পৃঃ ) কবি সেদিন বুঝতে শুরু করেছিলেন মাননযের বিচিত্র সপ্পদ্ধের মধ্যে আনন্দের রসটিকে। সকলের মধ্যেকার এই আনন্দ-রসকে নিয়েই হয় মহারসের প্রকাশ | সেদিন তিনি তাকে পেয়েছিলেন রসের খণ্ড খণ্ড প্রকাশের মধ্যে। সেই অনুভূতিকে প্রকাশের জন্য উন্মুখ হয়ে উঠেছিলেন। তখন তিনি যা বলেছেন তা অসম্পূর্ণ, তাকে ভালরকমভাবে প্রকাশ করতে পারেন নি। কিন্তু বৃহত্তর মানব-এঁকে/র অভিমুখে যে asl সেদিন গুরু হল তা এগিয়ে চলেছে অশ্রান্ত গতিতে, sires পথ হারায়নি এংং শেষ ate গিয়ে পৌঁছেছে বিশ্বমানব হৃদয়ের সাগর সঙ্গমে। যে নিঝরের স্বপ্নভঙ্গ হল, Si বেগবতী মদীর আকার ধারণ করে মিলেছে গিয়ে মহাসাগরে। সেই বাণীই রবীন্দ্রনাথ রেখে গিয়েছেন “আত্ম-পরিচয়* এর পৃষ্ঠায় Ba) “আমি বিশ্বাস করেছি Maras সত্য মহা- মানবের ac যিনি “সদ জনানাং হৃদয়ে সর্নিবিষ্টট। আমি আবাল্য অভ্যস্ত এঁকান্তিক সাহিত্য সাধনার গণ্ডী.ক fea করে একদা সেই মই|মানবের উদ্েশ্যে যণাসাধ্য আমার কর্মের WH, আমার ত্যাগের মৈবেষ্য আহরণ করেছি- তাতে বাইরের থেকে যদি বাধা পেয়ে থাকি অন্তরের থেকে পেয়েছি প্রসার | আমি এসেছি এই ধরণীর মহাতীর্থে এখানে সর্বদেশ সর্বজাতি ও সর্বকালের ইতিহাসের মহাকেন্দ্রে আছেন সেই নরদ্বেবতা, তারই বেদীমূলে নিভূতে বসে আমার অহঙ্কার, আমার cove ক্ষালন করবার দুঃসাধ্য চেষ্টায় sree ATS Ale (রচনাবলী, দশম খণ্ড, ২১৭ পুঃ ) ন্‌ উপনিষদের প্রভাব যেভাবে কবির foata উন্মেষ থেকে শুরু করে সারা- জীবনের কৃতীকে প্রভাবিত করেছে সেই বিষয়টিকে সামাজিক প্রগতির দৃষ্টি- কোণ থেকে অধ্যয়ন করা বিশেষ প্রয়োজন, এমন কি অপরিহাধ বলা অন্যায়



Leave a Comment