পিতা পুত্রকে | Pita Putrake

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
একান্নবর্তা পরিবার ও বাড়ীর অন্য শরিকদের ছেলেদের । fcr আমার দেহ মন জলে যেত, কিন্তু মুখফুটে কিছু বলবার অধিকার বা সাহস ছিল না। আমার যখন জন্ম হল তখন রজনীকান্ত মধ্যাহ্নের আহারে বসেছিলেন । আমাদের বসতঘরটা ছিল বাড়ীর দক্ষিণ কোণে। তার নাম ছিল দক্ষিণের ঘর । বিরাট আটচালা ঘর ৷ খুব উচু মাটির ভিত, মেঝেও মাটির । চারদিকের দেওয়াল ও ছাত মোটা টিনের । ঘরের মধ্যে ছিল অনেক ঘর, বাশের বোন! দেওয়াল দ্রিয়ে আলাদা করা। খুব বড় বড় মোটা কাঠের চারটে দরজা আটচালার চারদ্বিকে। শোওয়ার জন্য ছিল কাঠের তক্তপোষ। রজনীকান্তর wet দক্ষিণে, বিরাট wi ছ'টা লোহার শিকওয়ালা কাঠের জানলা, রজনীকান্তর তক্তপোষের ওপরে ছুটো, তার মধ্যে যেটা দক্ষিণ দিকে সেটা দ্রিয়ে দেখা যেত দুটো বড় বড় কামিনী ফুলের গাছ, দশ- বারোটা নারকেল গাছ এবং দুরে পুকুর পাড়ে বড় বাশঝাড়। এই জানলা দিয়ে প্রায় সবসময়ই VI বাতাস আসত, আর ay যেত আকাশ, বর্ষায় ক্বষ্ণকঠিন, শরতে সীমাহীন নীল, হেমস্তে সে নীল অনেকখানি হালকা, শীতে আকাশের রঙ প্রায়ই cm বর্ণ, বসস্তে সাদা মেঘের নৌকো চড়ে নীলের প্রত্যাবর্তন, গ্রীষ্মে প্রচণ্ড রোছ্বে তাপে 'আকাশ ক্লান্ত ও বিষণ্ণ | যে রবিবারে আমার জন্ম এক ভাদ্রমাসের শেষ atte, দেদিন সকাল থেকে আকাশ পরিষ্কার, TH শেষের রোদ তেজহীন ৷ রঙ্গনীকান্তর দুপুরের আহার প্রতিদ্নিনের এক একটি সমারোহ ৷ বিরাট Spa থালাতে বাটি দিয়ে তৈরি মাঝারী সাইজের ভাতের গোল মণ্ডল, তাতে একটি ভাতেরও স্থানচ্যুতি অমার্জনীয়। একই সাইজের পাঁচটি বাটিতে সাজানো পঞ্চব্যাঞ্। তার মধ্যে থাকবে অন্তত asim মাছের একখানা বা ছু'খানা টুকরো, নিখুত আকার ছুটোরই, এক্‌কোণে একটু ভাঙ্গনও গ্রনহণীয় নয় । অবশেষে একবাটি RT| চারদিকে বাড়ীর স্ত্রীলোকরা দ্বিরে বসবে, আহার তত্বাবধানের TH i একজন হাত পাখা দ্বিয়ে বাতাস করবে অঙ্গব্যাঞ্জনে মাছি ন| পড়ে, অন্য একজন হাওয়া করবে রজনীকাস্তকে । যে রেধেছে সে আগাগোড়া উপস্থিত থাকবে ত্ৰুটি-ব্চ্যুতির কৈফিয়ৎ দিতে, প্রশংসা কুড়োতে। er জমিদার হলেও রজনীকান্তর জমিদারী মনোভাব, আজকাল যাকে বলে “লাইফ স্টাইল”, ছিল পুরোপুরি বড় জমিদারদের | এ হেন Tate ভোজন বাধা পড়ল যখন আমার এক বিধবা পিসিমা হঠাৎ হাজির হয়ে খবর দিলেন পুত্রবধূ ননীবাল৷ একটি পুত্রসস্তান প্রসব করেছে। রজনীকান্ধ ১৮



Leave a Comment