বন্দর | Bandar

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
—F যদি না পাও করব না বিয়ে। যেমন তেমন একটা বিয়ে করতেই হবে এটা কোন কথা নয়। I AS কি বলছিস তুই বিস্ভী? বিয়ে না করার হয়েছে কি? ভয়াহত শোনায় যোগমায়া দেবীর গলা। তার ভাবভঙ্গী দেখে হাসবেনা ভেবেও হাসি চাপতে পারে না অবস্তী। মাকে ত্বরিতে ANT করে সে অল্প হেসে। -_-ভয় পেওনা মা। বিয়ে করবনা বলিনি। বিয়ে নিশ্চয়ই করব। তবে এখন না। আর যেমন তেমন কোন লোককে না। দুই সকাল থেকেই ধুকপুকুনি শুরু হোল অবস্তীর। তার যাতায়াতের পরিধি বরাবরই সীমিত। প্রথমে পাড়ার স্কুলে, পরে পাড়ায় না হলেও বাসপথে মিনিট দশ পনেরর দূরত্বে কলেজে তার স্নাতক পর্ব শেষ করেছিল সে। বাবার মৃত্যুর পর আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগ অনেক কমে গেছে। তারাও MOA | অবস্তীরাও যায়না। একমাত্র উৎসব অনুষ্ঠানে যেখানে নিতাস্ত না গেলেই নয় সেখানে যেতে হয়। নিমন্ত্রণ বা ভদ্রতা রক্ষার দায় অবশ্য পড়ে HIE) আর তার দাদা অরিন্দমের ওপর | অরুম্ধতীর তো প্রশ্নই ওঠে ati আর BAN এমনিতে যথেষ্ট মিশুকে হলে কি হবে? আত্মীয়স্বজনদের সান্নিধ্য এড়িয়ে চলতেই ভালবাসে। পাড়া প্রতিবেশী কিংবা বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে কিন্তু সম্পূর্ণ অন্য রকম তার সম্পর্ক | হাসি গল্পে ঠাট্টা তামাসায় আসর সরগরম করে রাখার আশ্চর্য ক্ষমতা দেখে মনে হবে একই শরীরের খোলসে দুটি পরস্পরবিরোধী চরিত্র সহাবস্থান করছে। যোগমায়া দেবী বরীবরই কিছুটা ঘরকুনো স্বভাবের। স্বামীর মৃত্যুর পর সেটা বেড়েছে অনেকখানিই। প্রথম প্রথম লজ্জায় বেরোতে চাইতেন না। বৈধব্যের জন্য সঙ্কোচে মরে থাকতেন যেন। পরে অবশ্য সময়ের সাথে সাথে নিজের পরিবর্তিত অবস্থার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিচ্ছিলেন একটু একটু করে। বাড়ির কাছাকাছি শিবমন্দিরে কিংবা কালীমন্দিরে গিয়ে বসে থাকতেন মাঝে মাঝে। পাড়ায় কোন কথকতা বা কীর্তন গানের অনুষ্ঠান, হলে সেখানে গিয়ে উপস্থিত হতেন। নিজের দুঃখপীড়িত হৃদয়ের যন্ত্রণা ভুলে থাকার চেষ্টা করতেন।' পাড়াপ্রতিবেশীর সঙ্গে খুব গভীর ছিলনা তার সম্পর্ক । নির্বোরোধী শাস্ত স্বভাবের জন্য কারুর সঙ্গেই কোন বিরোধ বা অবনিবনা ছিলনা। কিন্তু তাদের ১৬



Leave a Comment