বাংলার ছোটগল্প [খণ্ড-৮] | Banglar Chhoto Galpa [Vol. 8]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
পঞ্চাননতলার মোফিদ কানাই রেজিনা বাতাসীরা সরকার বাড়ির সম্প্রসারিত অংশের কাজে fre রাজমিস্ত্রি জোগাড়েদের সঙ্গে একরকম খণ্ডযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ল। নিহত হয়নি কেউ, তবে রক্তপাত ঘটল। সরকার বাড়ির যাবতীয় কাজে-_ সে বংসারাষ্তে সংস্কারের কাজই হোক কিংবা নতুন কোনো অংশের নির্মাণের কাজই হোক. সরকারবাড়ির জন্মকাল থেকেই পঞ্চাননতলার Hye করে এসেছে। এবার সরকার বাড়ির বার-মহল নতুন করে সম্প্রসারিত হচ্ছে। নতুন বাড়ির 'নির্মাণ কাজের' ওপর পঞ্চাননতলার eras অলিখিত অধিকার জন্মেছিল। কিন্তু কলকাতা ফেরত সরকার বাড়ির মেজোবাবু “ভিনদেশি' ওপারের মানুষদের” সঙ্গে চুক্তি করে নির্মাণের কাজে নিযুক্ত করে দিলেন। মোফিদ কানাইরা ব্যাপার-স্যাপার দেখে সরকারবাড়ির মেজোবাবুর কাছে গিয়েছিল মনের ক্ষোভ জানাতে -— এইটা কেমন বিবেচনা হইল বাবু! এই বাড়ির কাজ আমরা তিনপুরুষ ধইরা বইরে আসছি। হঠাৎ করে আমাগো ভাতে মারনের ব্যবস্থা ক্যান করলেন? মেজোবাবু মোফিদ কানাইদের কথার সরাসরি উত্তর দেননি। ঘুরিয়ে বলেছেন, আচ্ছা মোফিদ, ধর তুমি বাজারে গেছ আলু কিনবে বলে। বাজারে গিযে দেখলে রামের আলুর দর পাঁচ টাকা কেজি, আর শ্যামের কাছে তিন টাকা কেজি। তুমি কার কাছ থেকে আলু কিনবে? ঘুরিয়ে বললেও মোফিদ কানাইরা কলকাতা ফেরত মেজোবাব্র কথার মর্মার্থ Fave পারবে না, তেমন অশিক্ষিত নয় তারা। তাই গলা নামিয়ে বলেছিল,-_ বামের আলুব গুণ আর শ্যামের আলুর গুণ একবার যাচাই Seca দেখবেন না বাবু? হো হো করে হেসে উঠেছিলেন মেজোবাবু। হাসতে হাসতেই বলেছিলেন,-_ ভারি তো fa কাজ। তার আবার গুণাগুণ। তোমরা কি নিজেদের শিল্পী-টিপ্পী 'ভাব নাকি যে তোমাদের হাতে যে সুর বাজবে, সেই AS ওদের হাতে বাজবে না? বড় তীক্ষ, আত্মমর্যাদায়- আঘাত করার মতো কথা। শিল্পের অতশত জানে না মোফিদ কানাইরা। জানে না হাতের কাজ ঠিক কোন মানে পৌঁছলে সেটি শিল্প হয়। আর ঠিক কোন কোন কাজ শিল্পের বিভাগে পড়ে, কিংবা পড়ে না। তবে এটা দীর্ঘাদনের তালিম এবং অধ্যবসায়ের মাধামে আজ তারা Aaya স্তরে পৌঁছাতে পেরেছে। যখন হাতে কর্ণি নিয়ে বালি সিমেন্টের পাচ একের মিশেলের মশলা সহযোগে একটির পব একটি ইট গাথে তারা, তখন তাদের মনে থাকে না যে, তারা দৈনিক মন্জুরির চুক্তিতে কোনো ধনী মালিকের গৃহের দেওয়াল গাঁথছে। তখন নিজের কাজে এতটাই মগ্ন হয়ে পড়ে যে, মনে হয় ইটের দেওয়াল নয়, হয়তো বা তাদের কোনো সম্ভানের শরীরই গড়ে তুলছে ।...এই প্রক্রিয়ার নাম কী? শিল্পের গুঢ় কথা তারা ঠিক বোঝে না। হঠাৎ করে মাথায় রক্ত লাফিয়ে উঠেছিল মোফিদ কানাইদের। সব Bet, সব অপমানের উৎস তো এ 'বর্ডার a’ Sea আসা মানুষগুলি। ফলে তাদের ওপর মারমুখী হয়ে ঝাপিয়ে পড়েছিল পঞ্চাননতলার রাজমিস্ত্রি জোগাড়ে, কর্মচ্যুত Warts দল। সরকাব বাড়ির মেজোবাবু তার পারিবারিক বন্দুক থেকে আকাশে গুলি ছুঁডেছিঙ্পন দাঙ্গা থামাতে থানায় ডায়েরিও করেছিলেন। তারই জোরে মোফিদ BABA এখন জেলহাজ্ততে। সবচেয়ে DAB খবর এল করিমগঞ্জের বাসস্ট্যান্ড থেকে। HRA বাসে বাসে ঘুরে যাত্রীদের কাছ থেকে অন্ধ কানা খোঁড়া ভিখারির দল ভিক্ষা চ্েঁয়ে আসছে সেই কোন কাল থেকে। তাদের বাজ্ারও নিরাপদ রইল না। অনুপ্রবেশ ' ঘটল ঝাক-াক ভিখারির। যারা সকলেই 'বর্ডার a” করা। ফলে ভিখারিদের মধ্য শুরু হলো বচসা। ১৬



Leave a Comment