অসুখলতার ফুল | Asukhlatar Phul

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
মিস্টার স্মিথ বিয়ার গলায় নামিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, “কী নাম ভদ্রলোকের?” “ডক্টর হনুমানপ্রসাদ শর্মা।” মালিক বললেন। একটা বাজতে না বাজতেই রেস্টুরেন্ট গমগম করে। আজ রনির কপাল মন্দ। মাত্র তিনটে টেবিলে মহিলারা পুরুষসঙ্গীর সঙ্গে বসে খাচ্ছেন। ফলে বাকিগুলোতে চরকির মতো ঘুরতে হচ্ছে রনিকে। ওই সব টেবিলের ওয়েটাররা কিচেন থেকে খাবার এনে রনিকে দিচ্ছে, রনি সেগুলো টেবিলে পরিবেশন করছে। শেষপর্যন্ত ফারুকদের অনুরোধে আকবর গেল মালিকের কাছে। ওরা দূরে দাঁড়িয়ে দেখল প্রথমে খুব মাথা নাড়ল মালিক, শেষে হাত ওলটাল। আকবর ফিরে এসে জানাল, “যে যার টেবিলের অর্ডার নাও। রনি, তুমি এক-দুই-তিন টেবিলে।” রনি বলল, “থ্যাঙ্ক ইউ আকবরভাই।” বিকেল সওয়া তিনটের মধ্যে লাঞ্চ শেষ করে কাস্টমাররা বেরিয়ে যান। তখন রেস্টুরেন্ট প্রায় ফীকা। দু'-একজন আধা-মাতাল হুইস্কির গ্লাস নিয়ে বসে থাকে। তাদের নিয়ে কোনও দুশ্চিন্তা নেই। এখন আর ওয়েটারদের দাঁড়িয়ে থাকতে হয় না। কিচেনে গিয়ে একে একে খেয়ে নিয়ে সেখানেই বিশ্রাম নেয়। কিচেনআন্টি রনিকে দেখে হাসে, “কেমন GH? রনি মুরগি চিবোতে চিবোতে BY নাচায়। মুখে কিছু বলে না। কাউসার জিজ্ঞাসা করল, 'কাল কী ফাতরামি করছিলা?' “ছাড়ো তো। আমার মেজাজ গরম আছে!" আকবরভাই বলল, “এই জন্যে বলি, মেয়েমানুষ বহুত ডেঞ্জারাস।' কিচেনআন্টি ঝাঁঝিয়ে উঠল, 'আকবরভাই! আপনি আমেরিকায় আছেন। এখানে মেয়েদের অশ্রদ্ধা করে কেউ কথা বলে A’ 'আরে! আমি কী বললাম?” আকবর অবাক VA “মেয়েমানুষ আবার কী?” “মেয়েরা মেয়েমানুষ না?” ১৮



Leave a Comment