প্রেমের গল্প | Premer Galpo

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
“তাই নাকি?” “তবে কি! “মণিমালা ঠিক গেয়েছে?' হ্যা মামী। মেয়েটি ভারি সুন্দর গেয়েছে। খাওয়া-দাওয়ার পর মামী আলাপ করিয়ে দিয়েছিলেন ওদের । “এদিকে শোন TET মালা কাছে এলে বললেন, 'আমাদের ভাগ্নের সঙ্গে আলাপ নেই তো তোর?” মণিমালা শুধু মাথা নেড়ে জানাল, না। 'আমাদের ভাগ্নে প্রজ্বল। জামিয়া মিলিয়াতে ইসলামিক হিস্ট্রি নিয়ে এম. এ. পড়ছে। তারপর রিসার্চ করবে। তোর গান ওর খুব ভালো লেগেছে।' মণিমালা লম্বা বিনুনির শেষে রবার ব্যান্টটার মধ্যে একটা আঙুল দিয়ে নাড়তে নাড়তে মাথা নীচু করে বলল, “বোধহয় সূচিত্রা-কণিকার চাইতেও ভালো গেয়েছি, তাই না বড়মাসী?' প্রজ্বল বলোছল, “তা তো কেউ বলেনি। তবে সত্যি আপনি ভালো গেয়েছেন। মণিমালা এক মুহূর্তের জন্য ওর দিকে তাকিয়ে বলেছিল, “ধন্যবাদ বেশ লেগেছিল প্রজ্জ্বলের। সহজ সরল ব্যবহার। অথচ তার চারপাশে একটা সলজ্জ আবরণ। মনে হল দু'চোখ দিয়ে যা দেখল, তার চাইতে বোধহয় ওকে বেশি অনুভব করতে হয়। এ যেন ভোরের সূর্যের আলোয় কাঞ্চনজঙঘা দেখা। আনন্দ হলেও মন ভরে না। শতবার শতরূপে দেখেও আশা মেটে না। মিটতে পারে না। একেই বলে মাধুর্য? নারীর মাধুর্য? প্রজ্জ্বল মনে মনে কথা বলে। মামা-মামীর সংসারে থেকে একদল সাধারণ মানুষের মধ্যেও কেমন যেন একটু অসাধারণত্বের স্বাদ পায় MEH) মাসের শেষে সবারই টানাটানি। তবু বড়ি দিয়ে পালঙের তরকারি পাঠিয়ে দেন মণিমালার মা! কলকাতা থেকে এক শিশি কাসুন্দি এলেও ভাগাভাগি হয় সবার মধ্যে । মাস ছয়েক পরে ছুটিতে কলকাতা যাবার আগে মামী TTS জিজ্ঞাসা করলেন, “হ্যারে মানা, কলকাতা থেকে ফিরে এসে এখানে আসছিস তো? প্রজ্জবল পাল্টা প্রশ্ন করেছিল, 'কেন? তুমি কি আমাকে না তাড়িয়ে শাঙ্তি পাচ্ছ না?' মামী হাসতে হাসতে বলেছিলেন. “ঠিক বলেছিস। তোকে আর সহ্য করতে পারছি না।' পরের বার তুঘলকবাদে পিকনিক করতে গিয়ে ae আর চুপ করে কোণায় বসে থাকেনি সুূনীলবাবুর হুকুম মতো মাংসে নুন দিয়েছে, গোরাবাবুর ফরমায়েশ মতো জল টেনে AAR! তারপর গানের আসরে সবার সামনে জয়াকে বলেছে, 'গতবারের মতো পুরো প্যারাগ্রাফ বাদ দিয়ে গাইলে এবার আর সহ্য করছি না।' জয়া চুপ করে থাকেনি। 'তুমি কি রবিঠাকুরের নাতজামাই যে তোমার কথামতো আমাকে রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইতে Bray’ মণিমালা বলেছিল, 'মানাদাকে অমন করে চিমটি কাটিস না জয়া। জামিয়া মিলিয়াতে RX



Leave a Comment