শেষের কবিতা | Shesher Kabita

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
একদিন ওদের বালিগঞ্জের এক সাহিত্যসভায় রবি ঠাকুরের কবিতা ছিল আলোচনার বিষয়। অমিতর জীবনে এই সে প্রথম সভাপতি হতে রাজি হয়েছিল ; গিয়েছিল মনে মনে garter প'রে। একজন সেকেলে গোছের অতি ভালোমানুষ ছিল বক্তা। রবি ঠাকুরের কবিতা যে কবিতাই এইটে প্রমাণ করাই তার উদ্দেশ্য। দুই-একজন কলেজের অধ্যাপক ছাড়া অধিকাংশ সভ্যই স্বীকার করলে, প্রমাণটা একরকম সন্তোষজনক | সভাপতি উঠে বললে, *কবিমাত্রের উচিত পাঁচ বছর মেয়াদে কবিত্ব wal; পঁচিশ থেকে ত্রিশ fe এ কথা৷ বলব না যে পরবর্তাদের কাছ থেকে আরো ভালো কিছু চাই, বলব অন্য কিছু চাই। ফজলি আম ফুরোলে বলব না, আনো ফজলিতর আম; বলব, নতুন বাজার থেকে বড়ো দেখে আতা নিয়ে এসে! তো হে । ডাব-নারকেলের মেয়াদ অল্প, সে রসের মেয়াদ ; ঝুনো নারকেলের মেয়াদ বেশি, সে শীাসের মেয়াদ। কবিরা হল ক্ষণজীবী, ফিলজফরের বয়সের গাছপাথর নেই... রবি ঠাকুরের বিরুদ্ধে সব চেয়ে বড়ো নালিশ এই যে, বুড়ে ওয়ার্ড স্বার্থের নকল করে ভদ্রলোক অতি অন্যায়রকম বেঁচে আছে। যম বাতি নিবিয়ে দেবার জন্যে থেকে থেকে ফরাশ পাঠায়, তবু লোকটা পাড়িয়ে দাড়িয়েও চৌকির হাতা আকড়িয়ে ace) ও যদি মানে মানে নিজেই সরে না পড়ে, আমাদের কর্তব্য ওর সভা ছেড়ে দল বেঁধে উঠে আসা। পরবর্তী যিনি আসবেন তিনিও তাল ঠুকেই গর্জাতে গর্জাতে আসবেন যে, তার রাজত্বের অবসান নেই, অমরাবতী বীধা থাকবে মর্তে ১৮



Leave a Comment