বিদ্যাসাগর [সংস্করণ-১] | Vidyasagar [Ed. 1]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
সে-মব ঘটনার উল্লেখ করেছেন। সারাদিন অভুক্ত থেকে 'কাতর হয়ে পড়লে ক্লান্তি ভুলবার জন্য ঠাকুরদাস মাঝে মাঝে শুরু করতেন। এমনই একদিন হাটতে হাটতে তিনি বড়বাজার 1! ঠনঠনিয়ায় এসে পৌঁছলেন। তখন ছুই পা তার অসাড়। পেটে Nua ত্বলছে। মুখে কথা নেই। ঠাকুরদাস চলৎশক্তিহীন। সামনে মুড়ি-মুড়কির দোকানে এক বিক্রেতা নারী ঠাকুরদাসকে এই অবস্থায় দেখলেন Gro এসে ঠাকুরদাসকে festa করলেন-- তুমি এমন করে দাড়িয়ে আছ কেন? উত্তরে ঠাকুরদাস শুধু একটু জল চাইলেন। সেই নারী সহজাত বোধ দিয়ে বুঝতে পেরেছিলেন যে, অনাহারের ক্লাস্তিতে বালক আচ্ছন্ন। ঠাকুরদাসকে তখনই এনে acer | তারপর দই কিনে এনে চিড়ে ও মুড়কি দিয়ে মেখে ঠাকুরদাসকে পেট ভরে খাওয়ালেন। এক অশিক্ষিত ব্যবসায়ী নারীর sete সেদিন ঠাকুরদাসের প্রাণ wel হয়েছিল। বিদ্যাসাগর এ কাহিনী চিরকাল মনে করে রেখেছিলেন | আর একটি নারী বড়বাজারের জগদ্দূর্লভ সিংহের বোন রাইমণি। তার কর্মক্ষেত্র থেকে একদিন বাসায় ফিরে ঠাকুরদাস দেখলেন যে, বালক ঈশ্বর পড়ার বই সামনে রেখে ঘুমিয়ে পড়েছে। cantata হয়ে তিনি তাকে প্রচণ্ডভাবে মারতে লাগলেন | শব্দ শুনে রাইমণি দোতলা থেকে নিচে নেমে এলেন। ঈশ্বরকে বুকে জড়িয়ে ভেতরে নিয়ে গেলেন। এই রাইমণির অফুরন্ত সনেহের নির্বরে তার ছাত্রজীবন সিক্ত হয়েছে। পরবর্তা কালে এই রাইমণির উল্লেখ করে বিদ্যাসাগর বলেছেন--“আমি শ্রীজাতির পক্ষপাতী afer অনেকে নির্দেশ করিয়৷ থাকেন। আমার বোধহয় সে নির্দেশ SRS নহে। যে ব্যক্তি রাইমণির crema সৌজন্য প্রভৃতি প্রত্যক্ষ করিয়াছে এবং এ সমস্ত সদ্গুণের ফলভোগী হইয়াছে, সে যদি স্ত্রীজাতির পক্ষপাতী না হয়, তাহা হইলে তাহার তুল্য FOR পামর ভূমগুলে নাই ।” মানবতার সহজপ্রকাশের এই অনুভব বিদ্যালাগরের চেতনাকে মানব- মুখী করে তুলেছিল। জননী SATS দেবীর চারিত্রিক প্রভাব সম্ভবতঃ তার জীবনে সবচেয়ে বেশী কার্যকরী হয়েছিল। এই ভগবতী দেবী সাধক পুরুষের মেয়ে-_ ৫ পটভূমিকা



Leave a Comment