জাগৃহি | Jagrihi

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
ধর্ম ও সাহিত্য রোমান্টিক যুগের কিছুকাল পূর্ব পর্যন্ত সাহিত্য ও eta অবস্থা এইরূপে শোচনীয় হইয়াছিল । সাহিত্যের এই প্রকার অধঃপতনের কারণেই ধর্শ্বেরও অধঃপতন সম্ভব হইয়াছিল । কারণ সৎ-সাহিত্য ef নাশ করে না, বরং উন্নত করে; ধর্শ্মের আদর্শকে পরোক্ষভাবে মহনীয় করিয়া তুলে I ধর্শ্মের নামে সাহিত্যের মুণুপাত করা কোন ক্রমেই উচিত নহে। কিছুদিন হইতে এদেশে একটা কথা উঠিয়াছে যে, সাহিত্যকে ধর্শ্মের ছাঁচে গড়িয়া তুলিতে হইবে; সাহিত্যকে ধর্শ্মের বাহক ও ধারক করিয়া প্রচার করিতে হইবে। যেমন ব্যবস্থাপক সভার গৃহীত আইন, ABET ভোটের জোরে দেশবাসীর ঘাঁড়ে চাপাইয়া দেওয়া হয়, সেইরূপ কতকগুলি ধর্মাচার্য্যের মর্জি মত তাঁহাদের আদর্শকেই সাহিত্যের মধ্যে চালাইয়া দিতে হইবে। তাহাদের মতে সাহিত্য হইবে ধর্শ্মের প্রচারক, সমর্থক ও sista | ata ভিত্তি ব্যতীত অন্য কিছুরই উপর সাহিত্য দীড়াইতে পারিবে না। হিন্দুর লেখা হইবে হিন্দু-সাহিত্য, মুসলমানের লেখা হইবে মুসলিম-সাহিত্য। এইভাবে ধর্মম-সম্প্রদায়গত আদর্শ হইবে সাহিত্যের ভিত্তি । ইহাই যদি হয় সাহিত্যের আদর্শ ও fee, তবে একজনের বা এক সম্প্রদায়ের রচিত সাহিত্য অপর সম্প্রদায়ের পড়িবার কোনও আবম্যক থাকে না। আপন আপন ধর্্ম-সম্প্রদায়ের সাহিত্যই তাহার জন্য Tee | এইরূপ মনোভাবকেই বলা হয় 'সাহিত্যে-সাশ্রদায়িকতা”। সাহিত্যকে ত তাহারা ধর্ম হইতে পৃথক ভাবিতে পারেন না। সুতরাং নাস্তিক ও জড়বাদী, কোন সাহিত্যই রচনা করিতে পারে না; আর যদি করিয়াই থাকে, তবে নাস্তির ও জড়বাদী ব্যতীত অপরের পক্ষে তাহা পাঠ করা পাঁপ। রাজ- নীতিতে সাম্প্রদায়িকতা ক্রমশঃ: মহ্‌ হইতেছে, কিন্তু সাহিত্যে এই প্রকার সাম্প্রদায়িকতা একেবারে অমহনীয়। এইরূপ মনোবৃত্তির প্রধান কারণ এই ৭



Leave a Comment